OrdinaryITPostAd

রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ

রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর বেশি খোঁজাখুঁজি না করে আমার এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটু সময় নিয়ে পড়ুন। আমি আশাকরি আপনি আপনার জানার ইচ্ছাটাকে পূরণ করতে সক্ষম হবেন।

ছবি-১

আম একটি খুব রসালো এবং ভিটামিনের ভরপুর একটি মৌসুমী ফল, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সেজন্য আপনার মত সবারই এই ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণাগু, উপকারিতা, খাবার নিয়ম এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। সেসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যই আমি আপনাদের মাঝে এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

এই পোস্টে আরো যা যা থাকছেঃ রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ

রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ

রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। কাঁচা আম ও পাকা আম উভয়ই কম ক্যালরিযুক্ত এবং উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল। আপনি যদি দৈনিক এক কাপ (১৬৫ গ্রাম) পাকা আম খেয়ে থাকেন তাহলে ইহা আপনার দৈনিক ক্যালোরির প্রায় ৫% পূরণ করবে। পাকা আমের ক্ষেত্রে যেসব পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় সে সম্পর্কে এখন জেনে নেওয়া যাক-

ক্রমিক নং পুষ্টি উপাদান পরিমান (প্রতি ১০০গ্রামে) ক্যালোরি অবদান দৈনিক চাহিদা পূরণ মাত্রা
ক্যালোরি ৬০ - ৭০ Kcal ৬৫ Kcal ৩.২৫%
কার্বোহাইড্রেট ১৫ - ১৮ গ্রাম ৬৪ Kcal ৩.২%
চিনি ১৩ - ১৫ গ্রাম ০ Kcal X
ফাইবার ১.৬ গ্রাম X X
ভিটামিন সি ২০ - ২৭ মিঃগ্রাঃ X X
ভিটামন এ ১,০৮০ - ১,২০০ IU X X
পটাশিয়াম ১৫০ - ২০০ মিঃগ্রাঃ X X
প্রোটিন ০.৮ গ্রাম ৩.২ Kcal ০.১৬%
চবর্ি ০.৫ গ্রামের কম ৪.৫ Kcal এর কম ০.২% এর কম

হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমের উপকারিতা

হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে আমের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন।রসালো আম ফলটি সাধারণত ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের কি দারুন উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা পটাশিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হার্টের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তনালীকে সচল রাখে ও ও খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

বিশেষ করে পাকা আমে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি রক্তে ফ্রী রেডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে, ফলে হার্টের সেলগুলো সুরক্ষিত থাকে। আপনি যদি নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে আম খেয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করবে, যা হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করবে। তবে অতিরিক্ত চিনি থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।

চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে আম খাওয়ার উপকারিতা

চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে আম খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আমের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন এবং জেক্সানথিন উপাদানগুলো চোখের পুষ্টিগুণ বজায় রাখে এবং চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো সাধারণত রেটিনার কেন্দ্রে ঘনীভূত হয়, যাকে রেটিনার ভিতরে ম্যাকুলা বলা হয়। এই উপাদান দুটি সাধারণত প্রাকৃতিক সানব্লক হিসেবে কাজ করে, যা অতিরিক্ত আলো শোষণ করে।

এছাড়াও এই উপাদানগুলো ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আম ভিটামিন এ-এর একটি ভালো উৎস, যা চোখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমে যায় এবং চোখের নিচে কালো দাগ জমা হওয়ার প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। এছাড়াও আমি থাকা ভিটামিন সি এবং ই আপনার দৃষ্টিশক্তি ক্ষয় রোধে ও চোখের কোষের বার্ধক্য প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে রসে ভরা আমের উপকারিতা

অনেকের মত আপনারও যদি ধারণা থাকে আম যেহেতু মিষ্টি ফল পাকা সেহেতু্ এটি ডায়াবেটিস বাড়ায়। তাহলে আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে রসে ভরা আমের উপকারিতা লক্ষ্য করার একটি বিষয়।অন্যান্য ফলের তুলনায় তাজা আমের প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিকভাবেই চিনি থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব ব্যক্তি ১২ সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন তাদের খাদ্যতালিকায় ১০ গ্রাম সংরক্ষিত শুকনো আম রাখেন তাদের রক্তের শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও আরেকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি ডায়াবেটিসের শুরু হওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। মজার ব্যাপার আমে এই দুটি উপাদানই বিদ্যমান রয়েছে। এতে থাকা পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা অগ্নাশয়ের এর কোষগুলোকে সুরক্ষিত করে। 

এছাড়াও এতে থাকা ম্যাঙ্গিফেরিন উপাদানটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে রসে ভরপুর আম খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণ ও সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি একবারে খালি পেটে আম না খেয়ে, দিনে ১-২ টুকরো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উত্তম। সাধারণত খাওয়ার শেষে উল্লেখিত পরিমাণে আম খেলে এটি অনেক সময় হজমে সাহায্য করবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিনে ভরপুর আম খাওয়ার উপকারিতা

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিনে ভরপুর আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই, যা কোষে জমে থাকা ক্ষতিকারক ফ্রি-র‌্যাডিক্যাল দূর করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সারের মূল উৎস হিসেবে পরিচিত। 

ছবি-২

এতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ম্যাঙ্গিফেরিন, যা কোষের ডিএনএকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে।একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে আমে থাকা উপাদানগুলো ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, কোলন এবং ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস হজমতন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং টক্সিন বের করে দেয়, যা অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রসালো আমের উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রসালো আমের উপকারিতা অনেক রয়েছে। এতে ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকা কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও ভিটামিন এ ও বিটা-ক্যারোটিন ত্বক ও মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষিত করে, যা আপনার শরীরের প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে কাজ করে।

এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ম্যাঙ্গিফেরিন ও লুটিন শরীরের কোষগুলোকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং ফ্রি-র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি কমায়। নিয়মিত পরিমিত আকারে আম খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে, যা লিভার পরিষ্কার ও শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্যাপকভাবে সহায়তা প্রদান করে।

গর্ভাবস্থায় ভিটামিনে ভরপুর পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ভিটামিনে ভরপুর পাকা আম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের জন্য আবশ্যক। গর্ভাবস্থায় পাকা আম খাওয়া গর্ভবতী মায়ের সাথে সাথে গর্ভস্থ শিশুর সুস্থ বিকাশের জন্য খুব উপকারী। পাকা আমে থাকা ফোলেট শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের গঠন সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে ও জন্মগত ক্রটির ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন এ ও সি মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পাশাপাশি ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের প্রচুর হজমের সমস্যা দেখা দেয়, আমে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও ফাইবার গর্ভবতী মায়ের হজমে সাহায্য করবে। এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা গর্ভাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা ডাটাবেটিসের রূপ নিতে পারে। সেজন্য ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত আকারে আম খাওয়াই উত্তম।

রসালো মিষ্টি আম খাওয়ার আগে লক্ষণীয় বিষয় সমূহ

আম পাওয়া মাত্রই খেয়ে নেওয়া ঠিক কাজ হবেনা, রসালো মিষ্টি আম খাওয়ার আগে লক্ষণীয় বিষয় সমূহ সম্পর্কে আপনাকে জনতে হবে। আমের ত্বকে থাকা ইউরোশিওল উপাদানটি একটি বিষাক্ত উপাদান, যা আপনি স্পর্শ করার সাথে সাথে আপনার চুলকানি এবং লাল ফুসকুড়ি হতে পারে। যদিও এই উপাদানটির পরিমাণ তুলনামূলক খুব কম থাকে, তবুও এটির কারণে ফুসকুড়ি ও এলার্জির প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করার মতো একটি বিষয়।

আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে এই ফলটি পাওয়ার সাথে সাথে সাবধানতার সাথে এটিকে খাবেন। এই ফলটি পাওয়ার সাথে সাথে প্রথমে একে ভালোভাবে পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং তারপর এটিকে সাবধানতার সহিত আমের খোসাকে ভালো করে কেটে ফেলে দিতে হবে। আমের এই উপাদানটি সাধারণত আমের বোঁটার চারিপাশে বেশি থাকে। সেজন্য বোঁটার চারপাশে ভালো করে ধৌত করা অথবা কেটে ফেলাই উত্তম।

অতি সহজে ও সঠিক পদ্ধতিতে আম খাওয়ার নিয়ম

অতি সহজে ও সঠিক পদ্ধতিতে আম খাওয়ার নিয়ম নীতি সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন বাংলাদেশে সাধারণত গ্রীষ্মকালেই প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে অন্যান্য সময়ও আম পাওয়া যায় যার পরিমাণ খুব কম হয়ে থাকে। এই ফলটি খাওয়ার সময় আপনাকে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে, তানা হলে আপনার মুখে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রথমে আপনাকে পাকা আমটি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে, যাতে এই ফলটির গায়ে কোনরকম ময়লা অথবা এর বোটা থেকে নির্গত আঠা না থাকে। কারণ ময়না পেটে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং আঠা গলায় খুসখুসে কাশি সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও খালি পেটে আপনি কখনোই পাকা আম খাবেন না কারণ এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সাধারণত খাবারের ৩০ মিনিট পর অথবা বিকেলের হালকা নাস্তা আপনি ইচ্ছে করলে আমকে খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ১-২ টুকরো আম খেতে পারেন। আম খাওয়ার পরপরই পানি না খাওয়াই উত্তম, কারণ এটি হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

পাকা আমের খোসার কেটে ফেলার পরে আমগুলোকে ছোট ছোট আকারে ভাগ করে নিন। এই টুকরোগুলো এভাবেই খেতে পারেন অথবা শরবতের মতো করে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন। আপনার যদি অতিরিক্ত গরম লাগে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি শরবতের মধ্যে কয়েকটি বরফের টুকরো নিয়ে শরবত সেবন করলে শরীর অনেক ঠান্ডা হবে।

রসালো ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি আম খাওয়ার অপকারিতা

আপনি আমের উপকারিতা সম্পর্কে শুধু জানবেন তা হবে না, রসালো ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি আম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কেও আপনাকে জনতে হবে। আমে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও কালোরি বেশি পরিমাণে থাকার কারণে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া আপনার যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে এটি আপনার শরীরে র‌্যাশ, চুলকানি বা মুখ ফুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকবে। অতিরিক্ত আম খেলে কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে আম খেয়ে থাকেন তাহলে অনেক সময় ইহা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আমের খোসায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানটি ত্বকের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এতে থাকা ভিটামিন এ আপনার শরীরের ভিটামিন এ-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা আপনার হাড় ও যকৃতের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। 

এই ফলটি মূলত একটি গরম প্রকৃতির ফল যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবে, ফলে শরীরের উষ্ণতা বেড়ে যাবে এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। পরিমিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত আম খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ইহা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

রসালো ও ভিটামিনে ভরপুর মিষ্টি ফল পাকা আমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমি একটি কথায় বলব, এই ফলটি আসলেই খুব রসালো এবং ভিটামিনে ভরপুর। গ্রীষ্মকাল আসলেই প্রায় সবার মনে এই ফলটি খাওয়ার কথা চিন্তা করা হয়। যদিও বছরের অন্যান্য সময়ে কয়েকটি জাতের আম পাওয়া যায় তবুও গ্রীষ্মকালে সুস্বাদু আম ব্যাপক হারে পাওয়া যায়। আপনি হয়তো জানেন এই ফলটি সাধারণত বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে, যা খুবই সুস্বাদু হয়।

ছবি-৩

তবে অন্যান্য অঞ্চলেও এই গাছ রয়েছে, যা উত্তরবঙ্গের মতো ততটা সুস্বাদু এবং রসালো নয়। এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি পাকা আমের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, উপকারিতা, অপকারিতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার। আর যদি আপনার পছন্দের ফলের একটি হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই পোস্টের সাহায্যে এই ফলটির বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন আশাকরি।

তবে এই ফলটির কিছু অপকারিতা রয়েছে, যা উপকারিতা থেকে খুবই কম। আশাকরি আপনি আমার এই পোস্টটি থেকে আম সম্পর্কে আপনার অজানা বিষয়গুলো জেনেছেন। শুধু ফল খেলেই হবে না সাথে সাথে তার পুষ্টি গুণাগুণ এবং তার উপকারিতা সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। আজ এ পর্যন্তই আগামীতে এই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো


সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবে, প্রয়োজনে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী আম পাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ..........

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url