OrdinaryITPostAd

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আমার এই পোস্টটি সময় নিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুনগুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ২০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা।

ছবি-১

এমনও হতে পারে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পরে আপনার অনেক সমস্যার সমাধান পেয়ে যেতে পারেন। এই পোস্টে আমি চেষ্টা করব অশ্বগন্ধার বিভিন্ন উপকারিতা, অপকারিতা/পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পুষ্টি গুনাগুন এবং অশ্বগন্ধা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার। আশা করি এই পোস্টটি করে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন।

এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে শুধু আপনি নয় সবাইকে জানা প্রয়োজন। এই ভেষজ উদ্ভিদটির অনেক গুনাগুন রয়েছে যা আপনার মত অনেকেরই অজানা। সেজন্য আমি এই অংশে চেষ্টা করব অশ্বগন্ধার কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-

ঘুমের সমস্যা সমাধানেঃ আপনার যদি ঘুমের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অশ্বগন্ধা গুড়া চিনির সাথে মিশিয়ে ঘুমানোর আগে খেয়ে ঘুমাতে পারেন, যা আপনার ঘুমের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতেঃ অশ্বগন্ধা গাছের রসে প্রচুর পরিমাণে শক্তিবর্ধক রয়েছে, যা আপনার শারীরিক গঠনের উন্নতি এবং বেশি শক্তিশালী করবে। এছাড়াও এটি পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি করতে খুব উপযোগী হিসেবে কাজ করে। এই গাছের মূল ও পাতা স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। দুধ ও ঘিয়ের সাথে এই গাছের পাতা ফুটিয়ে খেলে শরীরের শক্তি সঞ্চার হবে, যা আপনার মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি প্রতিদিন ২.৫ গ্রাম করে এক বছর অশ্বগন্ধার গুঁড়ো খেয়ে থাকেন তাহলে তার শরীরের রোগ বালাই কমে যাবে এবং ১০ গ্রাম করে অশ্বগন্ধার গুঁড়োর সাথে তিল ও ঘি মিশিয়ে প্রতিদিন ১/২ গ্রাম করে শীতকালে খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধির পাবে।

সর্দি ও কাশি প্রতিরোধেঃ আপনার সর্দি ও কাশির সমস্যা যদি থেকে থাকে তাহলে অশ্বগন্ধার মূল  বা শেকড় বেঁটে গুঁড়ো করে খেলে সর্দি ও কাশি প্রতিরোধে অনেকাংশে সাহায্য করবে।

পেটের সমস্যা সমাধানেঃ কিছু কিছু মানুষের মত আপনারও যদি পেটের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি অশ্বগন্ধার ফল গুঁড়ো করে খেতে পারেন, যা আপনার অম্বল, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে অপরিশোধিত অশ্বগন্ধার গুঁড়ো পেটের সমস্যার সৃষ্টি করবে ফলে তলপেট ব্যাথা হতে পারে।

হজমের সমস্যার সমাধানেঃ আপনার যদি হজমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে অশ্বগন্ধার শিকড়ের রস খেতে পারেন, যা আপনার হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করবে এবং দ্রুত হজম কার্য সম্পাদন করবে।

শর্করার মাত্রা কমাতেঃ আপনার শরীরে যদি শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। শরীরের শর্করার মাত্র কমাতে আপনি প্রতিদিন অশ্বগন্ধার পাতা ও শিকড়ের রস খেতে পারেন, যা আপনার শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ আপনি জানেন ক্যান্সারের কোন ওষুধ নেই তবে ক্যান্সার যেন না হয় সেজন্য অস্ত্রগন্ধাকে ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধের ভেতরে থাকা উইথফেরিন উপাদানটি ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।

টিউমার প্রতিরোধেঃ এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধার শিকড় ও পাতার রসে থাকা ফাইটোকেমিক্যালস উপাদানটি টিউমার কোষকে ধ্বংস করে এবং সেই কোষে রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে। ফলে টিউমারের কোষের বৃদ্ধি কমে যায়।

মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার যদি স্মৃতিশক্তি কমে যায় তাহলে আপনি অশ্বগন্ধার রস খেতে পারেন। এটি আপনার মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেঃ অনেকের মত আপনারও যদি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনি ভেষজ চিকিৎসা হিসেবে অশ্বগন্ধার শেকড় ও পাতার রস খেতে পারেন, যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমাতেঃ ডায়াবেটিস ও  উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণ অনেক সময় স্ট্রোক হতে পারে। অশ্বগন্ধায় থাকা অ্যানজাটিক। এঞ্জাইলোটিক উপাদানটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

গোপন সমস্যা দূর করতেঃ আপনার যদি যৌন সমস্যা থাকে তাহলে অশ্বগন্ধা সেই সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। টেস্টোস্টেরন পুরুষদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, যা অশ্বগন্ধার সাহায্যে বৃদ্ধি করে বীর্যের পরিমাণ ও গুণগতমান বৃদ্ধি করা সম্ভব। আপনি যদি ১ গ্রাম অশ্বগন্ধার গুঁড়োর ও ১২৫ মিলিগ্রাম চিনি হালকা গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেয়ে থাকেন তাহলে বীর্য শক্তিশালী হবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ অশ্বগন্ধাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান থাকায় ইহা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতেঃ আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে অশ্বগন্ধার শেকড় ও পাতার রসে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদানটি আপনার শরীরের ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং শরীরের লিপিডের পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করবে।

থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতেঃ অশ্বগন্ধা শরীরের থাইরক্সিন নামক হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা শরীরের থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমাতে এবং থাইরয়েডের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

চোখের সমস্যা দূর করতেঃ আপনার চোখে যদি সামান্য সমস্যা থাকে তাহলে অশ্বগন্ধার পাতার রস চোখের প্রাথমিক সমস্যাগুলো দূর করতে সহায়তা করে।

ইনফেকশনের প্রবণতা কমাতেঃ শরীরে অনেক সময় ইনফেকশন দেখা দিতে পারে, যা একটি গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করে। আপনারা আগেই জেনেছেন অশ্বগন্ধায় অ্যান্টি-ইনফ্লোমেটরি রয়েছে, যার শরীরের বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর পাতায় রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ত্বকের ইনফেকশন কমাতে এবং ক্ষত শুকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

রক্ত চলাচল সঠিক রাখতেঃ আপনার হাটের রক্ত চলাচলের ক্ষমতা ঠিক রাখতে অশ্বগন্ধার রস কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

মানসিক সমস্যা দূর করতেঃ অশ্বগন্ধার ভেতরে থাকা অ্যাড্যাপটোজেন আপনার মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

চুল শক্ত ও মজবুত করতেঃ আপনার চুল যদি ঝরে যায় তাহলে অশ্বগন্ধা শেকড় পাতার রস নিয়মিত চুলে ব্যবহার করলে চুল শক্ত ও মজবুত হবে। ফলে আপনার চুলের ঝরে পড়া আস্তে আস্তে কমে যাবে।

চুলের খুশকি দূর করতেঃ অনেকের মত আপনারও যদি চুলে খুশকি থাকে তাহলে নিয়মিত অশ্বগন্ধার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করা তেল ব্যবহার করলে আপনার চুলের খুশকি দূর হয়ে যাবে।

চুলপাকা বন্ধ করতেঃ অনেক সময় দেখা যায় অল্প বয়সে অনেকের চুল পেকে যায়। আপনি যদি এই সমস্যায় না পড়তে চান তাহলে চলে অশ্বগন্ধা গাছের রস ব্যবহার করুন। নিয়মিত ২ থেকে ৪ গ্রাম অশ্বগন্ধা গুঁড়ো দিয়ে তৈরি তেল আপনার চুলে মেসেজ করুন।

দীর্ঘ মিয়াদে জ্বর দূর করতেঃ আপনি যদি অনেকদিন জ্বরে ভুগেন তাহলে ২ গ্রাম অশ্বগন্ধার গুঁড়ো এবং ১ গ্রাম গিলয় রস মিশিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করলে জ্বর ভালো হয়ে যাবে।

ব্যথা দূর করতেঃ আপনার যদি আঘাতজনিত কোন ব্যথা থাকে তাহলে অশ্বগন্ধার গুঁড়োর সাথে ঘি মিশিয়ে দুধের সাথে পার করলে আস্তে আস্তে ব্যথা ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

বাতব্যথার সমস্যার সমাধানেঃ অনেকের মত আপনারও যদি বাতের ব্যথার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ২ গ্রাম অশ্বগন্ধার গুঁড়োর সাথে পরম দুধ/পানি/গরুর ঘি/চিনি মিশিয়ে নিয়মিত খেলে বাতব্যথার সমস্যা আস্তে আস্তে সমাধান হবে।

চর্মরোগ দূর করতেঃ আপনার শরীরের চামড়ায় যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নির্দিষ্ট রুটিন অনুযায়ী অশ্বগন্ধার পাতার পেস্ট দিয়ে টপ করে নিলে ত্বকের কৃমি দূর হবে, যা আপনার বিভিন্ন চর্ম রোগের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি অশ্বগন্ধার গুঁড়ো হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে আস্তে আস্তে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

গলগন্ড রোগ প্রতিরোধেঃ অল্প পরিমাণে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে গলগন্ড রোগ প্রতিরোধ ও সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করবে।

অন্ত্রের কৃমি দূর করতেঃ আপনার যদি কৃমির সমস্যা থাকে তাহলে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করলে কৃমি দূর হয়ে যাবে এবং পেটের অন্যান্য সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

লিঙ্গ সবল করতেঃ আপনার যদি লিঙ্গ সফল হতে সমস্যা হয় তাহলে অশ্বগন্ধার শেকড় পেস্টের মতো করে লিঙ্গে লাগিয়ে লিঙ্গের দুর্বলতা দূর করতে পারবেন। অশ্বগন্ধা করলা দারুচিনি পরিমাণ মতো মিশিয়ে তা গুঁড়ো করে মাখনের সাথে মিশিয়ে লিঙ্গের সামনের অংশে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে লিঙ্গের দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে।

ছেলেদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা

ছেলেদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যদি আপনি পুরুষ হয়ে থাকেন। অশ্বগন্ধা পুরুষদের জন্য একটি বহুমুখী এবং শক্তিশালী প্রাকৃতিক সম্পদ। এই ভেষজ উদ্ভিদটির বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে ছেলেদের বন্ধ্যাত্বতা বা যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উদ্ভিদের মধ্যে থাকা টেস্টোস্টেরন উপাদানটি ছেলেদের প্রধান যৌন হরমোন, যা পেশি গঠন, শক্তি এবং সামগ্রিক পুরুষত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ছবি-২

নিয়মিত সেবনে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শুক্রানুর সংখ্যা, গতিশীলতা ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পুরুষের বন্ধ্যাত্বতা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে মানসিক চাপ একটি বড় সমস্যা, যা অশ্বগন্ধার মাধ্যমে কমানো সম্ভব। ইহা কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

এটি পুরুষদের পেশী শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা পুরুষদের দীর্ঘ সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করতে সহায়তা করে। সমাজ ও পরিবারে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন, এটি খাওয়ার ফলে পুরুষদের জ্ঞানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। নিয়মিত সেবনে পুরুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ইহা শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগজীবাণু প্রবেশ করতে পারে না।

মেয়েদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা

মেয়েদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যদি আপনি মহিলা হয়ে থাকেন। অশ্বগন্ধা আপনার মানসিক চাপ কমাতে, মেজাজের উন্নতি করতে, উর্বরতা বাড়াতে এবং যৌনস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা মাসিক অনিয়ম বা মনোপজের লক্ষণগুলোর সম্মুখীন মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।

আপনার শরীরের হরমোনগুলো বার্তাবাহকের মতো যা আপনার শরীরের অনেকগুলো ফাংশন যেমন মেজাজ , শক্তি এবং প্রজনন নিয়ন্ত্রন করে। যখন আপনার হরমোন ভারসাম্যের বাইরে থাকে তখন এটি ক্লান্তি, মেজাজের পরিবর্তন এবং অনিয়মিত পিরিয়ডের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।আপনার যদি মাসিক চক্র অনিয়মিত, পিরিয়ডের ব্যথা, প্রজনন সমস্যা বা মনোপজের সময় পরিবর্তন হয় তাহলে অশ্বগন্ধার সেবনে উপকার পাবেন।

বৈজ্ঞানিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অশ্বগন্ধা সেসব মহিলাদের সাহায্য করতে পারে যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে। এটি একটি বুস্টার ডোজ হিসেবে কাজ করে, যা আপনাকে যৌবনতার সময় আরো উত্তেজিত এবং সন্তুষ্ট করে তুলবে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতাকে সঠিক করে একজন বন্ধ্যাত্ব মহিলাকে তার সমস্যা থেকে দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি মহিলাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

হোমিওপ্যাথিক অশ্বগন্ধার উপকারিতা

হোমিওপ্যাথিক অশ্বগন্ধার উপকারিতা অনেক রয়েছে। এর জন্য প্রথমেই এই উদ্ভিদটির মূল হতে মাদার টিংচার প্রস্তুত করা হয় এবং পরে এর শক্তিকরণ বৃদ্ধি করা হয়। সাধারণত যেসব পুরুষের সমস্যার কারণে বাচ্চা হয় না সেসব পুরুষদেরকে ওলিগোসফারমিয়া বা এজোসফারমিয়ার রোগী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এসব রোগীদের মেডিকেল সায়েন্সে তেমন কোনো সমাধান বের করা সম্ভব হয় না।

তবে ওলিগোসফারমিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ এসব রোগীদের যদি শুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকে তাহলে অশ্বগন্ধার দ্বারা প্রস্তুতকৃত টিংচার সেবন করলে একজন পুরুষ সন্তান দানে সক্ষম হবেন। এটি বাজারে বিভিন্ন ধরনের শক্তিতে যেমন 3X, 6X, 30C ইত্যাদি আকারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে মাদার টিংচার সবার কাছে খুব জনপ্রিয়, জাপানি সাথে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে সেবন করতে পারবেন।

এর ফলে শরীর ধীরে ধীরে কার্যকর হয়ে উঠবে এবং আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে ঘুমের মান ভালো করবে। আপনি যদি শারীরিকভাবে দুর্বল অথবা দীর্ঘসময় রোগে ভোগার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েন তাহলে এটি দারুন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে যেসব পুরুষদের যৌন দুর্বলতা বা শুক্রাণুর গুণগত মান উন্নত করা প্রয়োজন তাদের জন্য এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাটি অতুলনীয়।

ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট-এর উপকারিতা

ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কারণ অনেক সময় এই গুণসমৃদ্ধ ভেষজ উদ্ভিদটি সাধারণভাবে খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। অশ্বগন্ধা ট্যাবলেট সাধারণত শুকনো অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে তৈরি করা হয়। প্রথমেই আপনাকে এই উদ্ভিদটির মূল ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।

এরপর সেই গুঁড়োকে নির্দিষ্ট উপায়ে পরিশোধিত করে নির্দিষ্ট মান অনুযায়ী ট্যাবলেট তৈরি করতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে এতে অন্যান্য সহায়ক ভেষজ উৎপাদনে মেশাতে পারেন যেমন - শতাবরী, গুঁড়, গন্ধক ইত্যাদি। এর ফলে এর কার্যকারিতা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এই ট্যাবলেটগুলো বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাওয়া যায়। তবে প্রতিটি ট্যাবলেটে নির্দিষ্ট পরিমাণ সক্রিয় উপাদান থাকে তা হলো ২৫০ মিঃগ্রাঃ এবং ৫০০ মিঃগ্রাঃ।

অশ্বগন্ধা ট্যাবলেটটি খাওয়ার ফলে আপনার শুধু শরীরের উপকারই নয় মনেরও উপকার হবে। পূর্বের মতোই এটি দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতাকে দূর করবে এবং মানসিক চাপ কমে ঘুমের গুণগত মান উন্নত করবে। এটি সাধারণত দিনে এক অথবা দুইবার খেতে পারেন, তবে ১ টির বেশি ট্যাবলেট সেবন করবেন না। এছাড়াও বয়স, স্বাস্থ্য ও প্রয়োজন অনুসারে ডোজ কম বেশি হতে পারে।

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আপনাকে একটা কথা মনে রাখতে হবে প্রত্যেক উপকারী গাছেরই কিছু না কিছু অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তবে অন্যান্য ভেষজ উদ্ভিদের তুলনায অশ্বগন্ধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা তুলনামূলক কম। আসুন জেনে নেওয়া যাক অশ্বগন্ধার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে-

  • আপনি যদি নিয়মিতভাবে দীর্ঘদিন অশ্বগন্ধা খেয়ে থাকেন তাহলে ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক ও বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা পরবর্তী সময়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে।
  • আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অশ্বগন্ধা খাওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অশ্বগন্ধা সাধারণত রক্তকে পাতলা করতে সাহায্য করে, যা কোন অস্ত্রোপাচার বা এজাতীয় কোন কর্মকাণ্ডে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে অনেক সময় অধিক রক্তপাতের কারণে মৃত্যু হতে পারে।
  • আপনি যদি কোন ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে অশ্বগন্ধা না খাওয়াই উত্তম, কারণ অশ্বগন্ধা খেলে আপনার ঘুম ভালো হবে।
  • আপনি যদি শর্করা কমানোর কোন ওষুধ সেবন করেন তাহলে অশ্বগন্ধা আপনার জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে, কারণ অশ্বগন্ধা শরীরের শর্করার মান কমাতে সাহায্য করে।
  • আপনার যদি শিশু বাচ্চা থাকে এবং বাচ্চাকে যদি বুকের দুধ খাওয়ান, তাহলে অশ্বগন্ধা না খাওয়াই উত্তম।

ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার পরিচিতি

ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার পরিচিতি সম্পর্কে আপনাকে প্রথমেই ধারণা থাকতে হবে। অশ্বগন্ধার নামটি মূলত এসেছে একটি গাছের শিকড় থেকে। অশ্বগন্ধা গাছের পাতা সিদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মত এক ধরনের গন্ধ বের হয়, সেজন্য এর নাম অশ্বগন্ধা করা হয়েছে। আয়ুর্বেদে অনেকসময় একে বলদা, আমুক্কারা, ভারতীয় জিনসেং, বাজিকরি ও শীতকালীন চেরি নামেও ডাকা হয়। অশ্বগন্ধার পাতা, ফল, বীজ এবং মূল সবই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

এই প্রাচীন উদ্ভিদটি হাজার হাজার বছর ধরে ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার কিছু অংশ জন্মে। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র গবেষণাকারীগণ পুরুষ ও মহিলাদের অনাক্রম্যতা বাড়াতে, স্নায়ুকে শান্ত করতে এবং তাদের স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

বর্তমানে অশ্বগন্ধা গুঁড়া, ক্যাপসুল, চা ও ট্যাবলেট আকারে বাজারে খুব সহজেই পাওয়া যায়, যা নারী ও পুরুষের জন্য সমানভাবে উপকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাধারণত শুকনো ও শুষ্ক অঞ্চলে এই ভেষজ উদ্ভিদটি বেশি পাওয়া যায়। এটি সাধারণত দুই প্রজাতির হয়, একটি জঙ্গলি ও আরেকটি সাধারণ অশ্বগন্ধা। সাধারণ প্রজাতিটি অশ্বগন্ধা হিসাবে সেবন করা হয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে জঙ্গলি প্রজাতির অশ্বগন্ধার পাতা মোটা আর সাধারণ প্রজাতির পাতা নরম ও পাতলা, ফলটি হয় লাল চেরির মতো।

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার পুষ্টিগুণ

আপনারা এরমধ্যেই জেনেছেন অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী ভেষজ উদ্ভিদ, যা বহু শতাব্দী থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদটিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আপনাকে আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পূরণ করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই অশ্বগন্ধার পুষ্টি গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে হবে। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক অশ্বগন্ধা উদ্ভিদে কোন কোন পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে-

ক্রমিক নং পুষ্টি উপাদান পরিমান (প্রতি ১০০ গ্রাম হিসাবে)
ক্যালোরি ২৫০ - ২৬৫ Kcal
প্রোটিন ৩ - ৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৪০ - ৫০ গ্রাম
ফাইবার ২০ - ৩২ গ্রাম
চর্বি ০.৩ - ০.৫ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ২৩ - ৩৫ মিঃ গ্রাম
আয়রন ৩ - ৫ মিঃ গ্রাম
পটাশিয়াম ৪৫০ - ৫৫০ মিঃ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৪০ - ৫০ মিঃ গ্রাম
১০ ফসফরাস ৫০ - ৭০ মিঃ গ্রাম
১১ ভিটামিন সি ৩ - ৪ মিঃ গ্রাম

প্রতিদিনের ক্যালোরি চাহিদা মেটানোর হার (১০০ গ্রাম অশ্বগন্ধা থেকে)

ক্রমিক নং ব্যক্তির ধরণ ক্যালোরি চাহিদা (প্রতিদিন) শতকরা পরিমান (১০০ গ্রাম হতে)
পুরুষ (সাধারণ কর্মব্যস্ত) ২৫০০ Kcal ১০ %
পুরুষ (অত্যন্ত সক্রিয়) ২৮০০ - ৩২০০ Kcal ৭.৮% - ৯.৪%
নারী (সাধারণ কর্মব্যস্ত) ২০০০ - ২২০০ Kcal ১১.৩% - ১৩.২৫%
নারী (অত্যান্ত সক্রিয়) ২২০০ - ২৪০০ Kcal ১০.৪% - ১১.৮%
শিশু (৫-১২ বছর) ১৬০০ - ২২০০ Kcal ১১.৪% - ১৬.৬%
কিশোর কিশোরী (১৩-১৮ বছর) ২০০০ - ২৮০০ Kcal ৮.৯% - ১৩.২৫%
বৃদ্ধ (৬০+ বছর, কম সক্রিয়) ১৮০০ - ২২০০ Kcal ১১.৪% - ১৪.৭%

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধা পাউডার খাওয়ার নিয়ম

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধা পাউডার খাওয়ার একটি সাধারণ ও কার্যকর নিয়ম রয়েছে, যা আপনার শরীরের চাহিদা ও স্বাস্থ্য অনুযায়ী অনুসরণ করা উচিত। সাধারণত আপনার বয়স যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে তাহলে দৈনিক ৩ থেকে ৬ গ্রাম অশ্বগন্ধার গুঁড়ো গ্রহন করা নিরাপদ ও উপকারী বলে বিবেচিত হবে। তবে একটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে এটি সকাল অথবা রাতে খালি পেটে অথবা খাবারের পর খাওয়া যায়।

আপনি রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধ বা হালকা গরম পানির সঙ্গে অশ্বগন্ধার পাউডার মিশিয়ে খেলে আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে, যা আপনার ঘুমকে আরামদায়ক করবে। তবে আপনার মধু বা ঘি খাওয়াতে যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে মধু বা ঘিয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে তা আরো পুষ্টিকর হিসেবে আপনার শরীরে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

সাধারণত প্রতিদিন সকালে খাওয়ায় বেশি উপকারী। তবে প্রথমবার খাওয়ার সময় আপনাকে অশ্বগন্ধার পাউডারের পরিমাণ কম (প্রায় ১/২ টেবিল চা চামচ) নিয়ে শুরু করাই ভালো। পরে আস্তে আস্তে এই পাউডারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারেন। তবে আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি সেবন করতে চান তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধা খাওয়ার অন্যান্য নিয়ম 

ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধা খাওয়ার অন্যান্য নিয়ম সমর্কেও আপনার ধারণা থকতে হবে। অশ্বগন্ধা একটি বহুমুখী ভেষজ উদ্ভিদ, যা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ও পাউডার আকারে বাজারে পাওয়া যায়। এছাড়াও অশ্বগন্ধা মিল্কশেক, লাড়ু ও শ্রীখন্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে আপনারা ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ও পাউডার-এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছেন। এখন আসুন অন্যান্য ব্যবহারগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

অশ্বগন্ধা মিল্কশেকঃ এটি তৈরী করতে আপনাকে প্রথমেই এক কাপ খাঁটি ঘি-এর মধ্যে ৪ টেবিল চা চামচ অশ্বগন্ধা গুঁড়ো নিয়ে কিছুটা ভেজে নিন। ভাজা শেষ হওযার পর তার মধ্যে ১-২ চা চামচ মধু যোগ করুন। খাওয়ার জন্য আপনাকে এক চা চামচ এই মিশ্রণটিকে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধের সাথে মিশিয়ে নিন, যা আপনার খেতে সুবিধা হবে।

অশ্বগন্ধা লাড়ুঃ এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আপনাকে প্রথমে ২ টেবিল চা চামচ অশ্বগন্ধা পাউডারের সাথে ১ টেবিল চা চামচ গুড়ের সাথে মিশিয়ে নিন। আপনার স্বাদের জন্য পরিমানমত কালো লবণ এবং কালো মরিচ যোগ করে মিশ্রণটিকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে ছোট ছোট বলের মত করে তৈরী করে নিন, যা অশ্বগন্ধা লাড়ু হিসেবে পরিচিত।

অশ্বগন্ধা শ্রীখন্ডঃ এই প্রক্রিয়াটি শুরুর প্রথমেই আপনাকে ২৫০ গ্রাম ঘন দইকে পাতলা দইয়ে পরিনত করতে হবে। পরে সেই পাতলা দইকে ৪ ভাগে ভাগ করুন। তারপর প্রতিটি ভাগের সাথে আপনার স্বাদমত চিনি বা মধু এবং ১ টেবিল চা চামচ অশ্বগন্ধা পাউডার মিশিয়ে নিন। এটি ভালভাবে মিশিয়ে খাওয়ার আগে ফ্রিজে কিছুক্ষনের জন্য রাখুন তাহলে আপনার খেতে ভাল লাগবে।  

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার ৩০টি অজানা স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমি আপনাদের একটি কথাই বলব, এই ভেষজ উদ্ভিদটি সেসব পরিবারের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারি যেসব পরিবার সংসারের শারীরিক চাহিদা মেটাতে না পারায় অশান্তিতে থাকে। এই উদ্ভিদটির অন্যান্য অনেক গুণাবলী তো আছেই, তবে এটিই উল্লেখযোগ্য।

এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি গুণে ভরপুর ভেষজ উদ্ভিদ অশ্বগন্ধার বিভিন্ন অজানা উপকারিতা সম্পর্কে অজানা তথ্য দেওয়ার। এই পোস্টে ছেলে ও মেয়েদের জন্য অশ্বগন্ধার বিভিন্ন উপকারিতা, হোমিওপ্যাথিকে অশ্বগন্ধার উপকারিতা, উদ্ভিদটির পরিচিতি, পুষ্টি গুনাগুন, খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে আমি উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ছবি-৩

আশাকরি এই পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং এই পোস্ট থেকে আপনি আপনার অশ্বগন্ধা সম্পর্কে অজানা বিভিন্ন তথ্য পেয়ে উপকৃত হবেন, যা আপনার জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আজ এই পর্যন্তই ভবিষ্যতে এই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।


সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, পরিমিত আকারে প্রয়োজনে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী অশ্বগন্ধা সেবন করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে...........

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url