OrdinaryITPostAd

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি তা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনার জানার ক্ষুধাকে মেটানোর জন্য আমি এই পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ ভালভাবে পড়লে আপনার জনার ক্ষুধা মিটে যাবে এটা আমার বিশ্বাস।

ছবি-১

অনেকের মত আপনারও যদি মধ্যপ্রাচ্যের কোন একটি উন্নত দেশ যাওয়ার স্বপ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি কুয়েত দেশকে বেছে নিতে পারেন। বিশ্বে তেল রপ্তানিতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে সেজন্য দেশটির অর্থনীতি অনেক উন্নত এবং এই দেশের কারেন্সির মূল্য বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের পরিচিতি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের পরিচিতি বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের একটি ধনী ও প্রভাবশালী দেশ, যা আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত। এই দেশটির উত্তর ইরাক, দক্ষিনে সৌদি আরব এবং পূর্বে পারস্য উপসাগর রয়েছে। দেশটির প্রধান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মূল কেন্দ্র রাজধানী কুয়েত সিটিকে ঘিরে।

বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ তেল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে কুয়েতের নাম রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে রেখেছে। সেজন্যই দেশটির মুদ্রা দিনার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান মূদ্রা হিসেবে পরিচিত। দেশটির মূল ভাষা আরবি েএবং রাষ্ট্রধর্ম হলো ইসলাম। কুয়েতে আনুমানিক ৪৫ লক্ষ মানুষ বসবাস করে যার অধিকাংশই প্রবাসী। 

এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটির অধিকাংশ অঞ্চল মরুভূমি হওয়ার কারণে সেখানে তাপমাত্রা অনেক বেশি এবং শুষ্ক। তবে আধুনিক স্থাপত্য এবং তেলের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বিভিন্ন উপায়ের মাধ্যমে ঘরের ভেতরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করা হয়। খুব অল্প সংখ্যক বাড়ীতেই এইসব ব্যবস্থা থাকে না তাছাড়া প্রায় বাসাতেই এই ব্যবস্থা দেখতে পাওয়া যায়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগবে

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগবে তা আগে থেকেই কাগজসহ ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে। কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগবে তা নির্ভর করে সেখানে আপনি কোন কাজের ভিসাতে যাচ্ছেন তার উপর। এছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয় যেমন জাতীয়তার পার্থক্য, কাজের ধরন, ভিসার মেয়াদ ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল।

নিম্নে আনুমানিক একটি হিসাব দেওয়া হল যেখান থেকে আপনারা খুব সহজেই হিসাব করতে পারবেন কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগতে পারে।

ক্রমিক নং বিবরণ কুয়েতি দিনার বাংলাদেশী টাকা
ভিসা এপ্লিকেশন ফি ৩০ ১২,০০০
মেডিক্যাল পরীক্ষা ফি ৩০ ১২,০০০
রেসিডেন্স ফি ১০ ৪,০০০
ওয়ার্ক পারমিট ফি ৫০ ২০,০০০
মোট = ১২০ ৪৮,০০০

উপরে দেওয়া হিসাবের পাশাপাশি আপনার অতিরিক্ত যে সব ‍ফি লাগতে পারে সেগুলো নিম্নে দেওয়া হলঃ 

ক্রমিক নং বিবরণ কুয়েতি দিনার বাংলাদেশি টাকা
মেডিক্যাল পরীক্ষা ফি ৪০ ১,৬০০
হেলথ ইনসুরেন্স ২০০ ৮,০০০
ডিপেডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ১২০ ৪,৮০০
এডুকেশন ভিসার ক্ষেত্রে ৩,৫০০ ১৩,৭৯,০০০
মোট = ৩,৮৬০ ১৫,৩৬,৬০০

এছাড়াও বাংলাদেশীদের জন্য সেখানকার এজেন্সি ফিস, ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র তৈরি করা, মেডিকেল ইন্সুরেন্স ও অন্যান্য খরচ রয়েছে। যারা কুয়েত প্রবাসী তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তারা যা জানিয়েছে তা হলো কোম্পানি চাকরির ক্ষেত্রে তারা যে ভিসা প্রদান করে সেখানে খুব অল্প পরিমাণ ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশীরা তাদের নিজস্ব লাভের জন্য সবকিছু মিলে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা চেয়ে থাকেন।

তবে সরকার যদি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও অন্যান্য দেশের মতো কুয়েতে সরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর ব্যবস্থা করত তাহলে এর পরিমাণ অনেক কমে যেত এবং কর্মীদের গুণগত মান বজায় থাকতো, যা ভবিষ্যতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই যাওয়ার আগেই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কুয়েত সরকার সাধারণত কয়েক ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে। আপনার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে এসব ভিসা নির্ধারণ করতে পারেন। এর মধ্যে কয়েকটি ভিসা সম্পর্কে আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক-

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ আপনি যদি সে দেশে কোন চাকরি করতে চান তাহলে আপনাকে এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই বিষয়টি সাধারণত আপনাকে আপনার নিয়োগকর্তা প্রদান করবে। এক্ষেত্রে আপনার নিয়োগকর্তা আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন মূল্যায়নের মাধ্যমে তারা কুয়েত সরকারের অনুমোদন নিয়ে আপনাকে এই ভিসার জন্য অনুমতি প্রদান করবে। এই ভিসার আওতার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা যেমন কর্মসংস্থান, বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধায় থাকতে পারে।
  • বিজনেস ভিসাঃ আপনি যদি কুয়েতে একটি ব্যবসা শুরু করতে চান তবে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এই ভিসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থনৈতিক সাপোর্ট এবং কুয়েতের ভাষা ভালো হবে জানা জরুরি। এই ভিসার মাধ্যমে কুয়েত সরকার আপনাকে ব্যবসা পরিচালনা ও নিজস্ব কোম্পানির মালিক হওয়ার অনুমতি প্রদান করবে। ব্যবসার জন্য আপনাকে কুয়েতি লাইসেন্স এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
  • রেসিডেন্স ভিসাঃ আপনি যদি কুয়েতে দীর্ঘমেয়াদে বসবাস করতে চান তাহলে আপনার জন্য এই ।।ভিসাটি সর্বোত্তম। সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থেকেই রেসিডেন্টের সাথে রূপান্তরিত করা হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কুয়েতে কর্মস্থলের সময়সীমা গণনা করা হয়। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কর্মরত থাকেন তাহলে আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে এবং তাদের মাধ্যমে স্পন্সারশীপ নিয়ে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • ট্যুরিস্ট ভিসাঃ আপনি যদি স্বল্প সময়ের জন্য অথবা কোন বিশেষ বিশেষ জায়গা দেখার জন্য কুয়েতে যেতে চান তাহলে এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসাটি শুধু আপনার জন্যই প্রযোজ্য হয়ে থাকে। এই ভিসাটির মেয়াদ ১ থেকে তিন মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। এই ভিসার জন্য আপনাকে প্লেনের টিকিট, হোটেল বুকিং এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণাদি জমা দিতে হবে।
  • স্টুডেন্ট ভিসাঃ কুয়েত যেহেতু উন্নয়নশীল একটি দেশে সেহেতু সেখানে পড়াশোনার মান তুলনামূলক ভালো। তাই আপনি ইচ্ছা করলে স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে সেখানে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সেখানকার একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নিজ দেশের আপনার অর্জিত বিভিন্ন ডিগ্রীর প্রমানসহ ডকুমেন্টস্গুলো জমা দিতে হবে।
  • মেডিক্যাল ভিসাঃ কুয়েত যেহেতু উন্নয়নশীল একটি দেশে সেহেতু সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা সাধারণত উন্নত। আপনার যদি উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে এই ভিসার আয়তায় আপনি সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার নির্দেশের চিকিৎসকের পরামর্শের যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিভিন্ন কাজের বেতন

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিভিন্ন কাজের বেতন কত হবে তা আপনাকে অবশ্যই আগে জেনে নিতে হবে। সে দেশের সরকার যেহেতু সেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য ভিসা প্রদান করে থাকে সেহেতু সেখানকার বিভিন্ন কাজের বেতন বিভিন্ন রকম হয়। আসুন জেনে নেওয়া যায় কাজের ধরন অনুযায়ী মাসিক বেতন কেমন হয়-

পেশা বেতন (কুয়েতি দিনার) বেতন (টাকা, ২০২৪)
স্বাস্থ্যসেবা খাতঃ
ডাক্টার ৮০০ - ১,২০০ ৩,১০,০০০ - ৪,৭০,০০০
নার্স ৩০০ - ৬০০ ১,১৫,০০০ - ২,৩৫,০০০
অকুপেশনাল ট্রেড খাতঃ
বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী ৪০০ - ৭০০ ১,৫০,০০০ - ২,৭৫,০০০
মেকানিক ২৫০ - ৫০০ ৯৮,০০০ - ১,৯৫,০০০
প্লাম্বার ২০০ - ৪০০ ৭৮,০০০ - ১,৫৫,০০০
ইনফরমেশন ট্রেড খাতঃ
সফটওয়্যার ডেভেলপার ৪০০ - ৮০০ ১,৫০,০০০ - ৩,১০,০০০
আইটি সাপোর্ট ২৫০ - ৫০০ ৯৮,০০০ - ১,৯৫,০০০
বিক্রয় ও মার্কেটিং খাতঃ
বিক্রয় প্রতিনিধি ২৫০ - ৬০০ ৯৮,০০০ - ২,৩৫,০০০
মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ৩৫০ - ৭০০ ১,৩৫,০০০ - ২,৭৫,০০০
নির্মাণ শিল্প খাতঃ
নির্মাণ শ্রমিক ২০০ - ৪০০ ৭৮,০০০ - ১,৫৫,০০০
প্রকৌশলী ৪০০ - ৮০০ ১,৫৫,০০০ - ৩,১০,০০০
হোটেল মেনেজমেন্ট খাতঃ
হোটেল ম্যানেজার ৬০০ - ১,২০০ ২,৩৫,০০০ - ৪,৭০,০০০
রিসেপশনিস্ট ২৫০ - ৫০০ ৯৮,০০০ - ১,৯৫,০০০

কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায়

কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায় হিসেবে আপনিও বেছে নিতে পারেন। এই দেশটিতে কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য বিদেশি শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। যেহেতু দেশটি একটি উন্নয়নশীল দেশ সেহেতু সেখানে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করে থাকে।

ছবি-২

এছাড়াও সেখানে জনসংখ্যা কম থাকার কারণে এসব কাজের জন্য বিদেশী শ্রমিকদের চাহিদা প্রচুর থাকে। এই কাজের মধ্যে নির্মাণ শ্রমিক, রড বাধাই, ইটের কাজ, প্লাস্টারিং এবং অন্যান্য মজুরি ভিত্তিক কাজ উল্লেখযোগ্য। একজন সাধারন নির্মাণ শ্রমিক মাসে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।

তবে আপনার যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে এর পরিমাণ ২ থেকে ৩ গুণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এসব কাজের সময় সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা হয় কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী যদি অতিরিক্ত কাজ করা হয় তাহলে ওভারটাইমের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও নিয়োগকর্তা যদি মনে করে তাহলে থাকা, খাওয়ার এবং মেডিকেলের সুবিধাসমূহ প্রদান করতে পারে। এই বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই কুয়েতে যাওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত জানুন

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত সে সম্পর্কে আপনাকে আগে থেকেই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশের কারণে কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন সাধারণত নির্ভর করে কাজের ধরন এবং বিভিন্ন কোম্পানির ওপর। বর্তমান এই উদ্ধগতি বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে সেখানে একজন বিদেশী কর্মী মাসে সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে।

এই বেতন সাধারণত নিম্ন স্তরের বা পেশারের কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হয়। এর মধ্যে রয়েছে ক্লিনার, নিরাপত্তা গার্ড, সাধারণ শ্রমিক ইত্যাদি। এই অল্প পরিমাণে বেতনে অনেক ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার খরচ যেমন খাদ্য, বাসস্থান এবং পরিবহন খরচ মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেজন্য অনেক নিয়োগকর্তার এসব নিম্ন স্তরের কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে বাসস্থান, খাবার এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সহায়তা প্রদান করে থাকে।

রেস্টুরেন্টে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচক দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা

রেস্টুরেন্টে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচক দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। যেহেতু দেশটিতে খাদ্য এবং হসপিটালিটি শিল্প অত্যন্ত সমৃদ্ধ সেহেতু সেই দেশের এই খাতে বিদেশী শ্রমিকের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এই কাজের মধ্যে ওয়েটার, কুক, ক্লিনার, ক্যাশিয়ার এবং ডেলিভারি ড্রাইভার এর মত কাজগুলো উল্লেখযোগ্য।

আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজগুলো বেছে নিতে পারেন। এই কাজ করে একজন শ্রমিক মাসে আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে। তবে আপনার যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ভালো হয়ে থাকে তাহলে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রেও দৈনিক কাজের সময়সীমা সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তবে আপনাকে দিয়ে যদি অতিরিক্ত কাজ করায় তাহলে সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে ওভারটাইম প্রদান করবে। এছাড়াও নিয়োগকর্তা যদি মনে করে তাহলে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যেমন থাকা, খাওয়া এবং মেডিকেলের ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে এ বিষয়গুলি আপনাকে অবশ্যই সেই দেশে যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজে সাধারণত আরবি ভাষা জানা থাকলে সুবিধা তবে মোটামুটি ইংরেজি ভাষা জানা থাকলেও চলবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত জানুন

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত তা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানা প্রয়োজন। এই পোস্টের শুরুতেই কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এখন আমরা জানবো কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত হতে পারে। উচ্চপদস্থ কর্মচারী যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি বিদেশি কর্মীদের জন্য সেদেশে সর্বোচ্চ বেতন প্রদান করা হয়।

একজন ডাক্তার সাধারণত মাসে তিন থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে এবং একজন প্রকৌশলী মাসে আনুমানিক এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার হতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে। যদি আপনার দক্ষতার এবং অভিজ্ঞতার পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে এই বেতন দ্বিগুণ হতে পারে।

তবে এই বেতন কাঠামো পাওয়া এত সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট প্রেসার উপর শিক্ষর সার্টিফিকেট, বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা এবং সে দেশের ভাষার সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। অনেক সময় আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি ভাষা সম্পর্কেও ভালো ধারণার প্রয়োজন হয়। যদি আপনার এসব থেকে থাকে তাহলে আপনি এসব পেশার জন্য আবেদন করতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায় হিসেবে ড্রাইভিং

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায় হিসেবে ড্রাইভিং পেশাকে আপনি বেছে নিতে পারেন। যেহেতু কুয়েত একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো তাই এখানকার প্রায় মানুষের কাছেই বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে। এছাড়াও এই দেশটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের গাড়ির জন্য ড্রাইভার এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আপনি ইচ্ছা করলে সেই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে সে দেশে যেতে পারেন। ড্রাইভিং পেশা হিসেবে পূর্ণ পরিবহন, ব্যক্তিগত ড্রাইভার, ট্যাক্সি এবং রাইট শেয়ারিং সেবার জন্য বেছে নিতে পারেন। কুয়েতে ড্রাইভারদের বেতন মূলত কাজের ধরন, কোম্পানি এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। সাধারণত একজন ড্রাইভার মাসে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকেন।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত টিপস এবং ওভারটাইম করার জন্য এই পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সেখানকার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং সে দেশের আইনের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। কুয়েতে যাওয়ার আগে চুক্তিপত্র, ভিসার শর্তাবলী এবং কাজের শর্ত ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে।

বিভিন্ন কোম্পানিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা

বিভিন্ন কোম্পানিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা সম্পর্কে আপনি যদি আগে থেকেই জেনে রাখেন তাহলে সেখানে যেতে ও কাজ পেতে আপনার সুবিধা হবে। কুয়েতে এমন অনেক কোম্পানি আছে যেসব কোম্পানি সাধারণত তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক সেরকম কয়েকটি কোম্পানির নাম ও সর্বনিম্ন বেতন-

ক্রমিকি নং কোম্পানির নাম সর্বনিম্ন বেতন (টাকা)
আল জাজিরা কোম্পানি ৪০,০০০
আল ফয়সাল কোম্পানি ৪৫,০০০
আল আব্রাক কোম্পানি ৪০,০০০
আল হামিদ কোম্পানি ৪০,০০০
ডায়না কোম্পানি ৩৫,০০০
মাজেদ আল আহদে কোম্পানি ২৫,০০০
ইউ এফ এম কোম্পানি ৩০,০০০
গার্লফ কোম্পানি ৩৫,০০০

পরিস্কার পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা

পরিস্কার পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা অনেক রয়েছে। এসব কাজের মধ্যে হোটেল, শপিংমল, অফিস, আবাসিক ভবন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর মতো এদেশেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর চাহিদা চোখে পড়ার মতো, কারণ এসব কাজের জন্য দক্ষতা, পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না।

শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা থাকলেই এসব কাজের জন্য কুয়েতে যাওয়া সম্ভব। এসব কাজের জন্য সে দেশে আনুমানিক ২৫ থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই বেতন কাজের ধরন এবং নিয়োগকর্তার ওপর অনেক সময় নির্ভর করে। তবে সে দেশের ভাষা জানা থাকলে এবং কাজের অভিজ্ঞতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলে বেতনও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।

এই কাজের জন্য দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় ব্যয় করতে হয় তবে অতিরিক্ত কাজ করলে নিয়ম অনুযায়ী ওভারটাইম পাওয়া যায়। উন্নয়নশীল দেশে এসব কাজের জন্য স্থানীয় শ্রমিক না পাওয়ার কারণে দেশের সরকার এসব কর্মীদের আনুষাঙ্গিক অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। যার কারণে অনেকেরই এসব কাজের মাধ্যমে কুয়েতে যাওয়ার প্রবণতা বা জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায় হিসেবে চুল কাটার কাজ

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায় হিসেবে চুল কাটার কাজকে আপনি বেছে নিতে পারেন। এই কাজে সে দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য চাহিদাটি আরো বেশি। কুয়েতে সৌন্দর্য সেবা খাত একটি ক্রমবর্ধমান শিল্প হওয়ায় বিভিন্ন সেলুন এবং স্পাতে চুল কাটার কর্মীদের প্রয়োজন বেড়েই চলেছে।

এই কাজে একজন কর্মী মাসে আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারে। তবে সেলুনের ধরন, সেলুনের পজিশন, আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অনুযায়ী এই ইনকামের পরিমাণ অনেক বাড়তে পারে। এছাড়াও কাস্টমাররা অনেক সময় তাদের খুশির কারণে তারা চুল কাটার শ্রমিকদের অতিরিক্ত কিছু টিপস বা অর্থ প্রদান করে। যার কারণে আপনার ইনকাম মাসে লাখ টাকার বেশি হতে পারে।

শপিংমলে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা

শপিংমলে কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের কারণে কুয়েতে শপিংমল সংস্কৃতি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের দোকান এবং রেস্টুরেন্ট এসব শপিংমলে থাকে। এসব শপিংমলে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে তার মধ্যে সেলস এসিস্ট্যান্ট, ক্যাশিয়ার, স্টক কিপার, ক্লিনার, সিকিউরিটি গার্ড ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

একজন কর্মী এই কাজের জন্য মাসে আনুমানিক ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। এক্ষেত্রেও আপনি যদি নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিস করেন তাহলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী ওভারটাইম প্রাপ্ত হবেন। এই কাজের জন্য তেমন কোনো অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার প্রয়োজন হয় না তবে এই খাতের উঁচু লেভেলের কিছু পোস্টের জন্য আপনাকে অবশ্যই সেদেশের ভাষা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

তবে এ কাজের জন্য আপনাকে অবশ্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে আপনাকে আপনার চাকরির অধিকাংশ সময় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করতে হবে। সেজন্য এই কাজের জন্য শারীরিক সক্ষমতা থাকা খুবই জরুরী। এই কাজের জন্য আপনার কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা প্রয়োজন হয় না। তবে জেনে থাকলে বেতনের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।

ওয়েল্ডিং কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায়

ওয়েল্ডিং কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে যাওয়ার উপায় হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত যেহেতু উন্নয়নশীল একটি দেশ সেহেতু সেখানে অবকাঠামগত উন্নয়নের কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে সাথে সাথে বেড়ে চলেছে ওয়েল্ডিং কর্মীর কাজের চাহিদা। সেক্ষেত্রে সেখানকার বিভিন্ন মাধ্যম বিদেশি কর্মীর উপর নির্ভর করে থাকে।

আপনিও এই নির্ভরশীলতাকে কাজে লাগিয়ে সে দেশে ওয়েল্ডার হিসেবে যেতে পারেন। একজন উইল্ডার সাধারণত মাসে প্রায় ৬০ হাজার থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। তবে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে এই ইনকামের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হবে।

এছাড়াও আপনি যদি দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার পরেও অতিরিক্ত সময় কাজ করেন তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত সময়ের জন্য সে দেশের নিয়ম অনুযায়ী ওভারটাইম প্রদান করা হবে। যেহেতু এসব কাজ ভারী যন্ত্রপাতি দ্বারা হয়ে থাকে তাই অবশ্যই আপনাকে নিজের সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করা জরুরী। যেহেতু এটা একটি হাতে-কলমের কাজ তাই আপনাকে অবশ্যই এদেশে আসার আগে এই কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে কোন কাজে চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে আমি বলতে পারি যে, আয়তনের তুলনায় সে দেশে জনসংখ্যা কম থাকার কারণে সেখানে বিদেশি কর্মীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে তেল ও গ্যাস শিল্পের পেশাজীবীদের। এই খাত সেখানকার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি হওয়ায় এখানে প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান ও দক্ষ শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা দেখা যায়।

পাশাপাশি দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য নির্মাণ খাতেও প্রকৌশলী, স্থপতি এবং নির্মাণ শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেদেশের স্বাস্থ্য খত একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত যেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স এবং চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক খাতে বিদেশি কর্মীদের চাহিদা সম্পর্কে এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি।

ছবি-৩

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের এই বহুমুখী কর্মক্ষেত্রের চাহিদা একটি বিষয় স্পষ্ট করে যে, আপনার যদি বিশেষ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেখানে কাজের কোন অভাব পাবেন না। সাথে সাথে বেতনও পাবেন অনেক বেশি। তবে প্রতিটি পেশায় সঠিক চুক্তি এবং আইনগত দিক গুলো যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী।

এই পোস্টে আমি কুয়েতের বিভিন্ন কাজের চাহিদা এবং সে চাহিদা অনুযায়ী মাসিক কত টাকা ইনকাম করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর উপরোক্তা আলোচনা থেকে পেয়েছেন।আজ এই পর্যন্তই ভবিষ্যতে এই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হব।


সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন এবং সঠিকভাবে ও সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে দালাল ব্যতীত নিজে সকল কাজ এবং সকল ডকুমেন্টস যাচাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে.......


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url