ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়-কোন কাজের চাহিদা বেশি
সহজে ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন। আপনার জানার আগ্রহের দিকে তাকিয়ে আমি এই পোস্টটি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার সকল প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন।
আপনার মত যাদের বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তাদের সর্বপ্রথম পছন্দ থাকে ইউরোপের কোন একটি দেশে যাওয়া। কিন্তু ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা থাকার কারণে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারেনা। সেজন্য আমারে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সময় নিয়ে পড়বেন।
এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
- ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া দেশের পরিচিতি
- ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগবে
- ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা
- কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
- ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় হিসেবে ড্রাইভিং
- ওয়েল্ডিং কাজের জন্য ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
- ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় রেষ্টুরেন্টের কাজ
- কৃষি কাজের কর্মী হিসেবে ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
- ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
- ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় বিক্রয় কর্মী হিসেবে
- ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া দেশের পরিচিতি
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া দেশের পরিচিতি দিতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এটি পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। এই দেশটি বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত, যার রাজধানী ভিলনিয়াস। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো এবং ইউরোজোনের সদস্য। এই দেশটি ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয় ২০০৭ সেনজেন ভুক্ত দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়।
এই দেশটির আয়তন আনুমানিক ৬৫ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার। দেশটিতে জনসংখ্যা আনুমানিক 28 লাখ যা, তুলনামূলক খুব কম। তরুণদের চেয়ে বয়স্ক লোকের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে যা, জনসংখ্যা কমানোর প্রধান কারণ। এই দেশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এবং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে পূর্ণ।
দেশটিতে উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা, উন্নত জীবনযাত্রার মান, বন্ধুত্বপূর্ণ, অতিথিপরায়ণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ছোঁয়া থাকার কারণে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে সে দেশে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সম্ভার, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও আধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে অনেক পর্যটকও এই দেশে এসে থাকে।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগবে
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগবে তা অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই জানতে হবে। যেহেতু এই দেশটি ইউরোপের একটি দেশ সেহেতু এই দেশে ভিসা প্রসেসিং কিছুটা জটিল। সেজন্য এই দেশে যেতে কিছুটা বেশি টাকার প্রয়োজন হয়। তবে কতটা বেশি টাকা প্রয়োজন হবে তা নির্ভর করছে আপনি কিভাবে ভিসা প্রসেসিং করতে চাচ্ছেন।
আপনি যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ইউরোপের দেশ লিচু নিয়ে যেতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ সেই এজেন্সি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী লিথুনিয়ার কোম্পানির অফার লেটার থেকে শুরু করে ফাইল প্রসেসিং, ভিসা আবেদন প্রসেসিং, প্লেনের টিকিটের মাধ্যমে আপনাকে লিথিনিয়ায় পৌঁছানো পর্যন্ত যাবতীয় কাজ তারা করে থাকে।
তবে এজেন্সি সিলেকশনের ক্ষেত্রে আপনাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এসব এজেন্সিগুলো সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনার নিকট হতে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে। তবে এই টাকার পরিমাণ এজেন্সিভেদে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। বর্তমানে সরকারিভাবে লিথুনিয়ায় যেতে আনুমানিক ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে যা আপনাকে প্রথমেই জেনে নিতে হবে। এই দেশটিতে সাধারণত তিন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। প্রথমটি হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং তৃতীয়টি হচ্ছে ভ্রমণ ভিসা। এই দুইটি ভিসার মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসার চাহিদা অনেক বেশি। এখন আসুন দুই ধরনের ভিসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
স্টুডেন্ট ভিসাঃ লিথুনিয়া উচ্চশিক্ষার দিক দিয়ে অনেক উন্নত। সেজন্য
প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য এদেশে অনেকেই আসেন। আপনি ইচ্ছা
করলেই সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন। যেহেতু এটি একটি উন্নত দেশ সেহেতু এখানে
বসবাস ও আনুষঙ্গিক খরচ অনেক বেশি, যা আপনার জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে।
তবে আপনি যদি শিক্ষার পাশাপাশি পার্টটাইম কোন জব করেন তাহলেও খুব সহজেই এসব খরচ
তুলে নিতে পারবেন। এভাবে যদি আপনি আপনার পড়াশোনা শেষ করতে পারেন তাহলে অনেক
কোম্পানি আছে যারা আপনাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দিবে। সেজন্য আপনিও বিভিন্ন
এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসার
জন্য আপনাকে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ এই ভিসার মাধ্যমে অনেকেই সেদেশে যেয়ে থাকে।
উন্নত দেশ হওয়ায় সেখানে দক্ষ কর্মী প্রচার চাহিদা রয়েছে। যে চাহিদা পূরণ করতে
আপনিও যেতে পারেন। লিথুনিয়ায় ওয়ার্ড পামের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমেই
সেখানকার বিভিন্ন জব পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশের
বিভিন্ন এজেন্সির সহায়তা নিতে পারেন।
তবে এক্ষেত্রে নিজে নিজে আবেদন না করে এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন জব পোর্টালে
আবেদন করাই ভালো। কারণ এসব এজেন্সিগুলো ভিসা পাওয়ানোর ক্ষেত্রে খুব অভিজ্ঞ।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটা সিভি তৈরি করতে হবে, যা সে দেশের বিভিন্ন কোম্পানী
যাচাই বাছাই করে এবং আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা যাচাই করে তারা এসব ভিসা প্রদান
করবে।
কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে আপনাকে এই পোস্টের এই অংশটুকু ভালোভাবে পড়তে হবে। ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় কনস্ট্রাকশন কাজের চাহিদা অনেক বেশি। বিল্ডিং কন্সট্রাকশন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, রোড কন্সট্রাকশন এবং মেরামত কাজের জন্য প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
এছাড়াও বড় বড় প্রকল্প যেমন শপিং মল, অফিস ভবন এবং আবাসিক কমপ্লেক্স নির্মাণের
কারণে বিভিন্ন ধরনের জনবলের প্রয়োজন দেখা দেয়, যা সে দেশের সরকার বিদেশ থেকে
নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি যদি কোন একটি বিশেষ কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন
তাহলে অবশ্যই সে দেশে যেয়ে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইউরোপের দেশ ও সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ার কারণে সে দেশে বিভিন্ন
ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ চলতেই থাকে। ২০২৪ সালে সে দেশে সর্বনিম্ন বেতন
মাসিক ৭৭৫ ইউরো। এটি সেই দেশের সর্বনিম্ন মজুরি যা সে দেশের সরকার দ্বারা
নির্ধারিত। তবে এই বেতন তাদের ধরন ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
আপনি যদি কোন একটি বিষয় দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বেতন সর্বনিম্ন বেতন থেকে বেশি হবে। এক্ষেত্রে কনস্ট্রাকশন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, মিস্ত্রি, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি দক্ষতা সম্পন্ন জনবলের চাহিদা বেশি হলে তাদের বেতনও সর্বনিম্ন বেতনের প্রায় দুই গুন হয়ে থাকে।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় হিসেবে ড্রাইভিং
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় হিসেবে ড্রাইভিং দক্ষতাকে আপনি বেছে নিতে পারেন।সে দেশে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেশি থাকায় এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় ড্রাইভিং-এ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীর চাহিদা অনেক বেশি। আপনার যদি ড্রাইভিং কাজে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে সেখানে আপনি ট্রাক ড্রাইভার, বাণিজ্যিক গাড়ি চালক, বাস ড্রাইভার, ট্যাক্সি ড্রাইভার ইত্যাদি কাজের জন্য যেতে পারেন।
তবে লজিস্টিকস এবং আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন খাতে ট্রাক ড্রাইভারদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। লিথুনিয়া সাধারণত একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট দেশ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় সেখানে পণ্য পরিবহনের কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ড্রাইভাররা উচ্চ বেতনের চাকরি সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়াও আপনি সেখানে শহরে বাস অথবা ট্যাক্সি চালিয়ে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
তবে এসব ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সে দেশের গাড়ি চালানোর প্রফেশনাল লাইসেন্সধারী হতে হবে। ড্রাইভিং কাজ করে আপনি সেই দেশে মাসে আনুমানিক ৮০০ ইউরো আয় করতে পারবেন। তবে আপনি যদি আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন তাহলে মাসে আনুমানিক ১২০০ থেকে ২০০০ ইউরো পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
ওয়েল্ডিং কাজের জন্য ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
ওয়েল্ডিং কাজের জন্য ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন। যেহেতু লিথুনিয়া একটি উন্নত দেশ সেহেতু সেখানে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো, নির্মাণ প্রকল্প ইত্যাদি ব্যাপকভাবে গড়ে ওঠার কারণে ওয়েল্ডারদের প্রয়োজনীয়তাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা অর্জন করে সে দেশে যেতে পারেন।
ওয়েল্ডিং এর কাজ শুধুমাত্র নির্মাণ কাজেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা নয় বিভিন্ন ধরনের বড় বড় ইন্ডাস্ট্রির ও জাহাজ নির্মাণেও এই দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিথুনিয়ায় এই কাজের জন্য সর্বনিম্ন মাসিক ১০০০ ইউরো পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব। তবে আপনি যদি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে পারেন সে দেশে যেতে পারেন তাহলে আপনার মা বেতন মাসিক ১২০০ থেকে ২০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।
ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় রেষ্টুরেন্টের কাজ
ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় রেষ্টুরেন্টের কাজ হতে পারে। এই দেশের বড় বড় শহরগুলো যেমন ভিলনিয়াস, কাুউনাস, ক্লাইপেদা ইত্যাদিতে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ কর্মীদের প্রয়োজন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই কাজটি তুলনামূলক সহজ কাজ এবং কোন দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার তেমন প্রয়োজন হয় না ফলে যে কেউ এই কাজটি করতে পারে।
লিথুনিয়ার বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন ধরনের কাজে চাহিদা রয়েছে যেমন ওয়েটার,
কুক/শেফ, কিচেন স্টাফ, ক্যাশিয়ার ইত্যাদি। এই দেশটি যেহেতু উন্নত দেশ সেহেতু
বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কাজগুলো সাধারণত সে দেশের নাগরিক কম রেখে বিদেশ থেকে কর্মী
নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। আপনি ইচ্ছা করলে এই আগ্রহকে কাজে
লাগিয়ে সে দেশে যেতে পারেন।
এদেশে রেস্টুরেন্ট কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৬০০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। যদিও ওয়েটার এবং কিচেন স্টাফদের মাসিক বেতন তুলনামূলক কম। তবুও অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেতনও বাড়তে থাকে। কিন্তু আপনি যদি কুক/শেফ হিসেবে যেতে পারেন তাহলে বেতন ১২০০ থেকে ২০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে শেফ হিসেবে ভাল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কৃষি কাজের কর্মী হিসেবে ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
কৃষি কাজের কর্মী হিসেবে ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়-কে আপনি বেছে নিতে পারেন। আপনারা জানেন লিথুনিয়া একটি কৃষি নির্ভর অর্থনীতি সমৃদ্ধির একটি দেশ। এদেশে জনসংখ্যা তুলনায় ফসলি জমির পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর পরিমাণে কৃষি জাতীয় পণ্য উৎপাদন হয়। আবাদি জমির তুলনায় জনসংখ্যা কম থাকায় কৃষি কাজে বিদেশী কর্মীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
এই দেশটির অর্থনীতিতে কৃষিজাত পণ্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানকার জলবায়ু
এবং মাটি খুবই উর্বর যা, কৃষি কাজের জন্য উপযোগী। কৃষিকাজের কর্মীরা যেসব কাজ করে
থাকে তার মধ্যে সবজি চাষাবাদ, গবাদি পশুপালন, কৃষি মেশিন অপারেটর/ট্রাক্টর
চালক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ফসল লাগানো থেকে শুরু করে তোলা পর্যন্ত কর্মীর
প্রয়োজন হয়।
সাধারণত কয়েকটি মৌসুমে এই সব কাজ করা হয়ে থাকে, ফলে এসব মৌসুমী কাজের জন্য
শ্রমিকদের বেতন সাধারণত ঘন্টা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। লিথুনিয়ায় কৃষি কাজে
প্রতি ঘন্টায় ৬ থেকে ১০ ইউরো পর্যন্ত দেওয়া হয়। তবে কাজের দক্ষতা এবং পূর্ব
অভিজ্ঞতা থাকলে এর পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।
ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায়
ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে ইউরোপে দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন। লিথুনিয়ায় ফুড ডেলিভারির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। লিথুনিয়ায় যেসব ডেলিভারি কোম্পানি রয়েছে তারমধ্যে Wolt, Bolt এবং Uber Eats উল্লেখযোগ্য। ফুড ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করার অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো কাজের স্বাধীনতা। অর্থাৎ ডেলিভারি ম্যানরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী কাজের সময় বের করে নিতে পারেন।
এজন্য অনেকেই এই পেশার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে নিজস্ব গাড়ি বা বাইসাইকেল থাকলে এই কাজটি করতে অনেক সুবিধাজনক এবং লাভজনক হয়। এই কাজ করে আপনি ইচ্ছা করলেই প্রতি মাসে সাধারণত ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। যদি কেউ আরো বেশি সময় কাজ করে তাহলে এই আয়ের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এই আয়টি মূলত নির্ভর করে কাজের স্থানের উপর নির্ভর করে।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় বিক্রয় কর্মী হিসেবে
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় বিক্রয় কর্মী হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন। লিথুনিয়ায় পণ্য বিক্রয় কাজ বা দোকানের সেলসম্যান কাজ বেশ জনপ্রিয়। এ কাজটি মূলত সহজ হওয়ায় অনেক বাংলাদেশী প্রবাসীরা এই কাজে আগ্রহী হয়ে থাকে। তবে এই কাজে প্রতিষ্ঠানে সময় বেশি দিতে হয় এবং ওভারটাইম কম হওয়ার কারণে বেতন তুলনামূলক কম হয়।
আপনারা যদি এই কাজে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সহজেই এই কাজকে আপনি বেছে নিয়ে লিথুনিয়ার মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারেন। তবে এই কাজে একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে এই দেশের ভাষা জানতে হবে। এই কাজ করে আপনি প্রতি মাসে আনুমানিক ১,২০,০০০ থেকে ১,৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে লেখক হিসেবে আমি একটিই কথা বলব, যেহেতু এখানে প্রচুর পরিমাণে টাকা লেনদেন হয় তাই অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে এজেন্সি নির্বাচন করা প্রয়োজন। আমি আশাকরি আমার এই পোস্টটি আপনাদের লিথুনিয়ার পরিচিতি, লিথুনিয়ায় যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ভিসা ও লিথুনিয়া যাওয়ার উপায় এবং লিথুনিয়ায় কোন কাজে চাহিদা বেশি সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে।
দেশটির জনসংখ্যা অত্যন্ত কম থাকার কারণে এ দেশটি পরিচিত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা
পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা বা অন্যান্য কার্যকলাপের তেমন কোন খ্যাতি
না থাকার কারণে দেশটির প্রচার প্রচারণা খুব কম। তবে দেশটি তথ্য প্রযুক্তিতে
অনেক সমৃদ্ধ, যার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে পড়াশোনার করতে
যায়।
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশেটিতে ভিসা পাওয়া কিছুটা সহজ এবং এই দেশটি সেনজেন গ্রুপের একটি দেশ হওয়ায় আপনার যদি পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্নের প্রাথমিক স্তম্ভ হিসেবে লিথুনিয়াকে বেছে নিতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই ভবিষ্যতে এই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন এবং স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে কার্যকর
ভূমিকা পালন করবেস। ধন্যবাদ সবাইকে...................
অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url