OrdinaryITPostAd

পকেট বাজেটে ঘুরে আসুন প্রবাল দ্বীপ দক্ষিণের স্বর্গ সেন্টমার্টিন দ্বীপ

পকেট বাজেটে ঘুরে আসুন প্রবাল দ্বীপ দক্ষিণের স্বর্গ সেন্টমার্টিন দ্বীপ কথাটির মধ্যে অনেক রোমাঞ্চকর অনুভূতি লুকিয়ে আছে। আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার পিপাসাকে কিছুটা হলেও মিটিয়ে দিবে।

ছবি-১

ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা সব সময়ই রোমাঞ্চকর অনুভূতি নেওয়ার জন্য তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এই পোস্টটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়েন তাহলে আরেকটি রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিবেন। কারণ এবারের ভ্রমণের মূল গন্তব্য একমাত্র প্রবাল দ্বীপকে নিয়ে।

এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ ঘুরে আসুন দক্ষিণের স্বর্গ সেন্টমার্টিন দ্বীপ

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিচিতি

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ, যাকে স্থানীয় ভাষায় অনেক সময় নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও ডাকা হয়। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণ লম্বা লম্বা সারিবদ্ধভাবে নারকেল গাছ লাগানো হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্ব দক্ষিণ অবস্থিত, যা কক্সবাজার শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এই দ্বীপটি বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে সবার কাছে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু দেশে নয় বিদেশেও এর সৌন্দর্যতা ছড়িয়ে পড়েছে। চারিদিকে অসীম নীল আকাশের সাথে সমুদ্রের নীল জলের মিলন মেলা, সারি সারি নারকেলের গাছ, প্রবালের সমারোহ এই দ্বীপটিকে করেছে অতুলনীয়।

প্রচলিত আছে অনেক অনেক বছর আগে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে এখানে দারুচিনি বোঝায় আরবের একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পানির নিচে থাকা একটি বিশাল পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙ্গে পড়ে, যার ফলে জাহাজ থেকে দারুচিনি এই দ্বীপের সর্বত্র ছড়িয়ে পরে এবং পরবর্তীতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের নাম ”দারুচিনি দ্বীপ” নামকরণ করা হয়।

আপনি যদি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করেন তাহলে তার প্রকৃত সৌন্দর্য দেখতে আপনাকে কমপক্ষে একটি রাত থাকতে হবে। তবে সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি দুই রাত সেখানে থাকেন। প্রথম দিনটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের জন্য এবং পরবর্তী দিনটি ছেড়া দ্বীপের জন্য পরিকল্পনা করতে পারেন।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সেন্টমার্টিন দ্বীপ। শুধু এদেশেেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকেও দেশের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে আসা উচিত। সেন্টমার্টিন দ্বীপের অন্যতম সৌন্দর্য প্রবালের সমারহ। সেন্টমার্টিন দ্বীপের সবখানেই এই প্রবাল আপনি দেখতে পাবেন।

টেকনাফ থেকে জাহাজ পথে যখন আপনি যাত্রা শুরু করবেন সমুদ্রে পৌঁছানোর পরেই সামুদ্রিক পাখিগুলো আপনাকে গার্ড অফ অনার দিয়ে সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাবে। সেন্টমার্টিন পৌঁছানোর ঠিক আগেই আপনারা সমুদ্রের দুই ধরনের পানি ঘোলা এবং নিল বর্ণের পানি দেখতে পাবেন। পৌঁছানোর পর আপনি দেখতে পারবেন সারি সারি লম্বা লম্বা নারিকেল গাছ, যা প্রতিনিয়ত সমুদ্রে বাতাসের সাথে খেলা করছে। আসলে এইসব না দেখলে ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়।

জাহাজ থেকে নামার পরে বীচের কাছাকাছি আপনি দেখতে পাবেন প্রবালের প্রাচীর। এছাড়াও বিকাল নামলেই বাজারে দেখতে পারবেন বিভিন্ন প্রজাতের সামুদ্রিক মাছ, যা আপনি ছবিতে দেখেছেন এখন তা দেখবেন বাস্তবে। অনেক ভ্রমণ পিপাসু আছে যারা রাতে বীচেই সময় পার করে দেয়, কারণ তারা নির্জনে সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে রাত পার করে দেয়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পাশেই আরেকটি ছোট্ট দ্বীপ আছে, তা হচ্ছে ছেড়া দ্বীপ। এই দ্বীপে আপনি দুই ভাবে যেতে পারবেন প্রথমত ভ্যানে করে যা ভাটার করা সম্ভব আরেকটি হচ্ছে ট্রলারের সাহায্যে, যেটি সবসময় সম্ভব। ভ্যানে করে সেই দ্বীপে ভ্রমণ করলে আপনাকে অবশ্যই ভাটার সময় জেনে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয়রা আপনাকে সাহায্য করবে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময়

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় শীতের আমেজ থাকে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, ফলে প্রকৃতি আরো সজীব হয়ে থাকে যা আপনার মনের চাওয়াকে পূরণ করবে। এছাড়াও গরমের সময় সেখানে ভ্রমণ করলে আবহাওয়া প্রচন্ড গরম থাকে এবং বিভিন্ন সময় ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকে।

এছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ না থাকায় গরমের সময় যাওয়াটা কিছুটা কষ্টকর হয়ে যাবে। আর বর্ষা মৌসুমে ভ্রমণ করলে ঝড় এবং বৃষ্টিতে সমুদ্র সাধারণত উত্তাল হয়ে থাকে, ফলে এমনও হতে পারে যে আপনি সেখানে যেয়ে সমুদ্রের নামতে পারছেন না। সেজন্য নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভ্রমণ করা উত্তম। 

তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যেহেতু এই মাসগুলোই পর্যটকের সংখ্যা বেশি হয় হোটেল বা রিসোর্ট এর চাহিদা বেশি থাকে। ফলে আপনাকে যাওয়ার আগে থেকেই হোটেল বা রিসোর্ট বুকিং দিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও এই সময় যেহেতু হোটেল বা রিসোর্ট এর চাহিদা বেশি থাকে সেহেতু নরমালের তুলনায় আপনাকে অনেক বেশি ভাড়া প্রদান করতে হবে।

কখন সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমনে যাবেন না

আপনারা আগেই জেনেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত জাহাজ চলাচল করে। বাকি সময়টুকু আবহাওয়ার কারণে প্রশাসন জাহাজ ভ্রমণ বন্ধ রাখে, কারণ এই সময় সাগর থাকে উত্তাল এবং ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা থাকে। সেজন্য আপনি যদি সাবধানে ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই উক্ত সময়ের মধ্যে ভ্রমন করার পরিকল্পনা করতে পারেন।

বছরের অন্যান্য মাসেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে স্পিড বোট অথবা ট্রলারের সাহায্য নিতে হবে। যা অনেক সময় বিপদের কারণ হতে পারে। সেজন্য জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জাহাজ ব্যতীত অন্য কোন বাহনে না ভ্রমন করাই উত্তম। সেজন্য নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস ব্যতীত অন্য মাসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করবেন না।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের দর্শনীয় স্থান

সেন্টমার্টিন দ্বীপে আপনার যদি আগে থেকে রিসোর্ট বুকিং করা থাকে তাহলে সেখানে যেয়ে সব কিছু রেখে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এখানে সমুদ্রের গর্জনসহ ঢেউ, প্রবালে ভরা সমুদ্র সৈকতে হাটাহাটি করে, মনোরম ছেড়া দ্বীপ দেখেই সময় কাটাতে পারেন। ভাঁটার সময় ভ্যানে করে ছেড়া দ্বীপে যাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। আরো যেসব দর্শনীয় স্থান আছে সেগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নেই -

  • সমুদ্র সৈকত দেখাঃ যেহেতু দীপ্তি মোটামুটি ছোট সেহেতু কয়েক মিনিট হেঁটেই আপনি দ্বীপের যে কোন প্রান্তে যেতে পারেন। দিনের বেলায় ঘোরাঘুরি করতে হলে সানস্ক্রিন, পানি ও স্যান্ডেল নিয়ে যেতে ভুলবেন না। কারণ এখানে আশেপাশে খুব বেশি ছায়া পাওয়া যায় না।
  • প্রবাল দেখাঃ যেহেতু এটি প্রবাল দ্বীপ সেহেতু আপনি দ্বীপের সব জায়গাতেই প্রবাল দেখতে পাবেন। এছাড়াও শামুক ও বিভিন্ন রকমের জলজ প্রাণী দেখতে পাবেন। প্রবালগুলো জোয়ারের সময় পানির নিচে তলিয়ে যায় তবে যখন ভাটা আসে তখন আবার জেগে ওঠে। পাথরগুলো যেহেতু পানির নিচে থাকে সে কারণে পাথরগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এর উপর দিয়ে চলতে গেলে সাবধানে চলাচল করবেন।
  • ছেড়া দ্বীপে যাওয়াঃ আপনি ইচ্ছা করলে পরিবারসহ ট্রেলারে করে ছেড়া দ্বীপে ঘুরে আসতে পারেন। যখন আপনি নীল সমুদ্রের মাঝখান দিয়ে যাবেন তখন যে অনুভূতি অনুভব করবেন তা আপনার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। অনেক সময় বাইক ভাড়া করে ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়া যায়।
  • দোলনা বিলাস করাঃ সারাদিন দ্বীপে ঘোরাঘুরির পরে আপনি চাইলে বিকাল অথবা সন্ধ্যায় দোলনায় শুয়ে অবসর কাটাতে পারেন। সমুদ্রের গর্জন শুনতে শুনতে সূর্যাস্ত দেখতে অসাধারণ লাগবে এবং আপনার ক্লান্তি দূর করে দিবে।
  • সাইকেল চালানোঃ অনেক সময় হেঁটে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘোরাঘুরি বেশ সময়সাপেক্ষ হয়ে যায়, সেজন্য আপনি ইচ্ছা করলে সাইকেল ভাড়া নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। এখানে এক ঘন্টা অনুযায়ী সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে চোরা বালুর স্তূপ থেকে সাবধানে সাইকেল চালাতে হবে।
  • স্কুবা ডাইভিং করাঃ আপনি ইচ্ছা করলে সমুদ্রের নিচে জগতে কি কি আছে তা দেখতে চাইলে স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন। এখানে বিভিন্ন রকমের মাছ, গাছপালা ইত্যাদি দেখতে পাবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
  • সন্ধ্যা বাজার থেকে কেনাঃ প্রতিদিন সাধারণত বিকেল থেকেই দ্বীপে অস্থায়ী বাজার বসা শুরু হয়। এখানে বিস্কুট, চিপস, টুপিসহ বাচ্চাদের অনেক খেলনা ও শো-পিস পাবেন।
  • নারিকেল গাছের সৌন্দর্যঃ এই দ্বীপকে অনেক সময় “নারিকেল জিঞ্জিরা” বলা হয়, কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে সারিসারি নারকেল গাছ লাগানো হয়। বিশাল লম্বা লম্বা নারিকেল গাছের  সারি দেখতে অসাধারণ, যা আপনার মন জুড়িয়ে যাবে।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায়

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম জাহাজ। বছরের কয়েকটি মাসে এই জাহাজগুলো টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাতায়াত করে। এছাড়াও বেশ কিছু ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করে, তবে এসব যানবাহনে সমুদ্রপথে ভ্রমণ করা নিরাপদ নয়। জাহাজে করে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে ২ থেকে ২ঃ৩০ ঘন্টা সময় লাগে। 

প্রতিদিন সকাল ৯ টায় এসব জাহাজ টেকনাফের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে যায় এবং বিকাল ৩ টায় সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসে। আপনি যদি একই জাহাজে সেন্টমার্টিন চেয়ে ফিরে আসেন সেক্ষেত্রে ওই জাহাজের আপ এন্ড ডাউন টিকিট ক্রয় করলে আপনার জন্য সুবিধা হবে। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন জাহাজের তথ্যাদি-

  • কেয়ারি সিন্দাবাদঃ এই জাহাজটি সেন্টমার্টিন রুটের সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় জাহাজ। এই জাহাজের টিকিট মূল্য অন্যান্য জাহাজের তুলনায় কম। সেই জন্য এ জাহাজে পর্যটকদের চাহিদা বেশি থাকে ফলে আপনাকে আগে থেকেই বুকিং দিতে হবে। এই জাহাজের আসন সংখ্যা ৩৪৬ টি। আপনার প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন-
    • ০১৮১৭-২১০৪২১
    • ০৩৪১-৬২৮১২
    • ৮১২৫৮ ৮১

সিটের নাম মূল্য (আপ-ডাউন) টেক-সেন্ট সেন্ট-টেক অবস্থান
মেইন ডেক ১০০০ টাকা ৫৫০ টাকা ৪৫০ টাকা নিচতলা
ওপেন ডেক ১৩০০ টাকা ৭০০ টাকা ৬০০ টাকা দোতলা
ব্রিজ ডেক ১৪০০ টাকা ৭৫০ টাকা ৬৫০ টাকা দোতলা

ছবি-৪
  • কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইনঃ এই জাহাজটি পর্যটকদের কাছে আরো একটি পরিচিত নাম। এই জাহাজটির বিশেষত্ব হচ্ছে যে জাহাজটির সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, ফলে আপনার ভ্রমণটি হবে আরামদায়ক। এ জাহাজের সর্বমোট 310 টি আসন আছে। আপনি প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন-
    • ০১৮১৯-৩৭৯০৮৩
    • ০১৮১৩-১৪২৯১৬
    • ০১৮৩৩-৩১৪১৯৩

সিটের নাম মূল্য (আপ-ডাউন) অবস্থান
মেইন ডেক (এক্সক্লুসিভ) ১২০০ টাকা নিচতলা
ওপেন ডেক (কোরাল) ১৪০০ টাকা দোতলা
ব্রিজ ডেক (পার্ল) ১৬০০ টাকা দোতলা

  • দ্যা আটলান্টিক ক্রুজঃ এই জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটের সবচেয়ে বড় জাহাজ। জাহাজটিতে এসি এবং নন এসি দুই ধরনের সিটের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনার পছন্দমত আপনি টিকিট বুকিং দিবেন। আপনার প্রয়োজন হলে বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-
    • ০১৭১৪-৬৩৪৭৬২

সিটের নাম মূল্য (আপ-ডাউন) অবস্থান
মেইন ডেক ১৪০০ টাকা নিচতলা
ওপেন ডেক ১৫০০ টাকা দোতলা
রয়েল ডেক ১৭০০ টাকা দোতলা
লাক্সারি ১৯০০ টাকা দোতলা
সুপার লাক্সারি ২১০০ টাকা দোতলা

ছবি-৫
  • এমভি বে ক্রুজ-১ঃ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে এটি সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন জাহাজ, যা সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। জাহাজটি জাপানে নির্মিত দ্রুতগামী কোরিয়ান রেজিস্টার ক্লাস ক্যটামেরান জাতীয় জাহাজ। আপনার প্রয়োজন হলে বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-
    • ০১৯৭১-৫৯১১২৭
    • ০১৭৭৯-১৮১৮৭২
    • ০১৮২৭-১৬৭৮১৭

সিটের নাম মূল্য (আপ-ডাউন) অবস্থান
রজনীগন্ধা ১৩০০ টাকা নিচতলার পেছনে
হাসনাহেনা ১৪০০ টাকা নিচতলার সামনে
কৃষ্ণচূড়া ১৬০০ টাকা দোতলা

  • ট্রলারের মাধ্যমেঃ আপনি যদি টেকনাফ থেকে সকালে জাহাজ মিস করেন তাহলে ট্রলারের মাধ্যমে যেতে পারেন। টেকনাফ শহরের লামার বাজার ঘাট থেকে জোয়ারের সময় বড় ট্রলার ছেড়ে যায়। যেহেতু জোয়ারের সময় পরিবর্তনশীল সেহেতু এই সময়টা সাধারণত ৯ টা থেকে ১ টার মধ্যে হয়ে থাকে। সেজন্য আপনাকে আগে থেকেই ট্রলার ছাড়ার সময়টা জেনে নিতে হবে।ট্রলারের ভাড়া সাধারণত ২২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে সাঁতার কাটার অভিজ্ঞতা এবং অতি সাহসী না হলে ট্রলারের ভ্রমণ না করাই উচিত। কারণ সমুদ্রের ঢেউয়ের জন্য ট্রলারে অনেক দোলনের সৃষ্টি হয় যে কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়াও আপনি যদি পরিবার নিয়ে যান তাহলে ট্রলারে ভ্রমণ না করাই সর্বোত্তম।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরে বর্ণিত সকল যানবাহনের ভাড়া, যানবাহন ছাড়ার সময় এবং বুকিং/যোগাযোগ নাম্বার যানবাহনের মালিক/কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করতে পারে। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২৪ সাল অনুযায়ী।

    ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায়

    ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোন মাধ্যম নেই, আপনাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। নিম্নে পদ্ধতি গুলো দেওয়া হলো-

    • পদ্ধতি-১ঃ ঢাকা ➪ চট্টগ্রাম ➪ সেন্টমার্টিন
    • পদ্ধতি-২ঃ ঢাকা ➪ চট্টগ্রাম ➪ কক্সবাজার ➪ সেন্টমার্টিন
    • পদ্ধতি-৩ঃ ঢাকা ➪ চট্টগ্রাম ➪ কক্সবাজার ➪ টেকনাফ ➪ সেন্টমার্টিন

    উপরের প্রতিটি পদ্ধতির সেন্টমার্টিনের পূর্বের অবস্থান থেকে দ্বীপে পৌঁছানো প্রধান মাধ্যম জাহাজ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অথবা ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সড়ক পথে, বিমান পথে অথবা রেলপথে যাতায়াত করা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক রেলপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার ট্রেনের তালিকা-

    ট্রেনের নাম ছাড়ার সময় পৌঁছার সময় সাপ্তাহিক ছুটি
    পর্যটক এক্সপ্রেস সকাল ৬ঃ১৫ মিনিট সকাল ১১ঃ২০ মিনিট রবিবার
    কক্সবাজার এক্সপ্রেস রাত ১০ঃ৩০ মিনিট ভোর ৩ঃ৪০ মিনিট সোমবার
    সোনার বাংলা এক্সপ্রেস সকাল ৭ঃ৩০ মিনিট সকাল ১১ঃ৫৫ মিনিট বুধবার
    মহানগর প্রভাতি এক্সপ্রেস সকাল ৭ঃ৪৫ মিনিট দুপুর ১ঃ৩৫ মিনিট x
    চট্রাল এক্সপ্রেস দুপুর ১ঃ৪৫ মিনিট রাত ৮ঃ১০ মিনিট শুক্রবার
    সুবর্ণ এক্সপ্রেস বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট রাত ৯ঃ৩০ মিনিট সোমবার
    মহানগর এক্সপ্রেস রাত ৯ঃ২০ মিনিট ভোর ৩ঃ৩০ মিনিট রবিবার
    তুর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১ঃ১৫ মিনিট ভোর ৫ঃ১৫ মিনিট x

    ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার বিভিন্ন ট্রেন বিভিন্নভাবে তাদের সার্ভিস প্রদান করে থাকে। যার মধ্যে কক্সবাজার এক্সপ্রেস এবং পর্যটক এক্সপ্রেস আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্মিলিত একটি ট্রেন, যা বিরতিহীন ভাবে চলাচল করে। সেজন্য এই ট্রেনগুলোর সিট ভাড়া কিছুটা বেশি। তবে অন্যান্য ট্রেনের সিট ভাড়া গুলো সাধারণত

    • শোভন - ২৮৫ টাকা
    • শোভন চেয়ার - ৩৪৫ টাকা
    • স্নিগ্ধা - ৬৫৫ টাকা
    • এসি সিট - ৭৮৮ টাকা
    • এসি বাথ - ১১৮০ টাকা

    ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য সাধারণত ৪ টি বিমান রয়েছে। আপনি যদি খুব অল্প সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম যেতে চান তাহলে এই মাধ্যমটি পরিকল্পনায় রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনার যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট হতে ১ ঘন্টার মধ্যে। যাতায়াত করা বিমান গুলো হলো-

    • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
    • ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
    • নভো এয়ারলাইন্স
    • এয়ার আস্ট্রা

    বিমানের ভাড়ায় স্থিতিশীল নয় প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। বিমান ছাড়ার দিন হতে যত আগে টিকিট কাটতে পারবেন তত সে টিকিটের মূল্য কম হবে। সেজন্য আপনার যদি বিমানে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে যত আগে সম্ভব টিকিট বুকিং দিবেন তাহলে ভাড়াটা কমে লাগবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন বিমানের কত ভাড়া-

    • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সঃ এই এয়ারলাইন্সটিতে বর্তমানে ৭ থেকে ১০ বার ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। এই এয়ারলাইন্সের দিনের প্রথম ফ্লাইট সকাল ৮ঃ০০ টা থেকে শুরু করে প্রতি ১ঃ৩০ মিনিট পর পর একটি করে ফ্লাইট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। টিকিট বুকিং এর জন্য আপনি চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন- www.biman-airlines.com

    সর্ভিসের ধরণ সর্বনিম্ন ভাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া সময়
    সুপার সেভার সার্ভিস ৩৭০০ ৪৫০০ ৮ঃ০০ - ২২ঃ০০
    বিজনেস ক্লাস সার্ভিস ৪৫০০ ৯৫০০ ৮ঃ০০ - ২২ঃ০০

    • ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সঃ এই এয়ারলাইন্সটিতে বর্তমানে ৫ থেকে ৭ বার ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। এই এয়ারলাইন্সের দিনের প্রথম ফ্লাইট সকাল ৭ঃ৪৫ টা থেকে শুরু করে প্রতি ২ঃ৩০ মিনিট পর পর একটি করে ফ্লাইট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।টিকিট বুকিং এর জন্য আপনি চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন- www.usbair.com

    সর্ভিসের ধরণ সর্বনিম্ন ভাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া সময়
    সাধারণ সার্ভিস ৩৬৯৯ ৪৪৯৯ ৭ঃ৪৫ থেকে ২১ঃ০০
    বিজনেস সার্ভিস ৪৪৯৯ ১১১৭৫ ৭ঃ৪৫ থেকে ২১ঃ০০

    • নভো এয়ারলাইন্সঃ এই এয়ারলাইন্সটিতে বর্তমানে ৭ থেকে ১০ বার ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। এই এয়ারলাইন্সের দিনের প্রথম ফ্লাইট সকাল ৮ঃ৩০ মিনিট থেকে শুরু করে প্রতি ১ঃ৩০ মিনিট পর পর একটি করে ফ্লাইট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। টিকিট বুকিং এর জন্য আপনি চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন- www.flynovour.com

    সর্ভিসের ধরণ সর্বনিম্ন ভাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া সময়
    সাধারণ সার্ভিস ৩৬৯৯ ৪৪৯৯ ৭ঃ৪৫ থেকে ২১ঃ০০
    বিজনেস সার্ভিস ৪৪৯৯ ৯৪৯৯ ৭ঃ৪৫ থেকে ২১ঃ০০

    • এয়ার আস্ট্রাঃ এই এয়ারলাইন্সটিতে বর্তমানে ৭ থেকে ১০ বার ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করে। এই এয়ারলাইন্সের দিনের প্রথম ফ্লাইট সকাল ৮ঃ৩০ মিনিট থেকে শুরু করে প্রতি ১ঃ৩০ মিনিট পর পর একটি করে ফ্লাইট চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

    সর্ভিসের ধরণ সর্বনিম্ন ভাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া সময়
    সাধারণ সার্ভিস ৩৬৯৯ ৪৪৯৯ ৭ঃ৪৫ থেকে ২১ঃ০০
    বিজনেস সার্ভিস ৪৪৯৯ ৯৪৯৯ ৭ঃ৪৫ থেকে ২১ঃ০০

    সড়ক পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এর দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার। যদি আপনি এই পথটি বেছে নেন তাহলে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৬ঃ৩০ থেকে ৭ঃ০০ ঘন্টার কাছাকাছি। যদি আপনি জ্যামে পড়েন অথবা লোকাল বাসে ওঠেন তাহলে সময় আরো বেশি লাগবে। এখানে কয়েকটি ভালো সার্ভিস প্রদানকারী ডাইরেক্ট বাসের তথ্যাদি দেওয়া হলো-

    বাসের নাম প্রথম ট্রিপ শেষ ট্রিপ এসি ভাড়া নন-এসি ভাড়া যোগাযোগ
    গ্রীন লাইন পরিবহন সকাল ৭ঃ০০ রাত ১১ঃ৫০ ৯০০ টাকা ১৬০০ টাকা (ডাবল ডেক) ০১৭৩০-০৬০০০৬
    দেশ ট্রাভেলস সকাল ৬ঃ৫০ রাত ১১ঃ৩০ ১৪০০ টাকা x ০১৭৬২-৬৮৪৪০৯
    এনা পরিবহন সকাল ৯ঃ৩০ রাত ১১ঃ৩০ ৮০০ টাকা ৬৭০ টাকা ০১৮৬৯-৮০২৭২৬
    হানিফ পরিবহন সকাল ৮ঃ৩০ রাত ১১ঃ৩০ ১৪০০ টাকা ৬৮০ টাকা ০১৭১৩-৪০২৬৭১
    সৌদিয়া পরিবহন সকাল ৭ঃ৩০ রাত ১১ঃ৩০ ৯৫০ টাকা ৬৮০ টাকা ০১৯১৯-৬৫৪৯২৯
    শ্যমলী পরিবহন সকাল ৫ঃ৩০ রাত ১১ঃ৪৫ ১৪০০ টাকা ৬৮০ টাকা ০১৯১১-৫০২০৫৯
    সোহাগ পরিবহন সকাল ৭ঃ০০ রাত ১১ঃ৫৯ ১৪০০ টাকা ১৬০০ টাকা (ডাবল ডেক) ০৯৬০৬-৪৪৪৭৭৭
    রয়েল কোচ সকাল ৮ঃ৪৫ রাত ১১ঃ৫৫ ১৪০০ টাকা ১৬০০ টাকা (স্লিপার) ০১৮৭২-৭২৩২০১
    লন্ডন এক্সপ্রেস সকাল ৭ঃ০০ রাত ১১ঃ৪০ ১২০০ টাকা x ০১৭১১-০০০৩৩৩
    ইউনিক পরিবহন সকাল ৭ঃ৩০ রাত ১১ঃ৩০ x ৬৮০ টাকা ০১৯৬৩-৬২২২৩১

    বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরে বর্ণিত সকল যানবাহনের ভাড়া, যানবাহন ছাড়ার সময় এবং বুকিং/যোগাযোগ নাম্বার যানবাহনের মালিক/কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করতে পারে। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২৪ সাল অনুযায়ী।

    চট্টগ্রাম আসার পরে আপনি সরাসরি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন।

    চট্টগ্রাম আসার পরে আপনি কক্সবাজার হয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন।

    চট্টগ্রাম আসার পরে আপনি কক্সবাজার যেতে পারে সেখান থেকে টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন।

    চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায়

    চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার দুইটি উপায় রয়েছে। প্রথমত হচ্ছে চট্টগ্রাম হতে সরাসরি সেন্টমার্টিন দ্বীপে এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। প্রথমটির জন্য আপনাকে নৌপথে জাহাজে যেতে হবে। একটি মাত্র জাহাজ এই রুটে চলাচল করে। জাহাজটির বিস্তারিত নিম্ন দেওয়া হলো-

    • বে-ওয়ান জাহাজঃ এই জাহাজটি পাঁচ তারকা মনের একটি জাহাজ। পূর্বে এ জাহাজের নাম ছিল “সালভিয়া মারু” বাংলাদেশে আসার পর এর নাম দেওয়া হয়েছে “ক্রুজ শিপ বে ওয়ান”।  কেবিন ও বিভিন্ন ক্যাটাগরির আসনসহ মোট ২০০০ টি আসন রয়েছে। এটি চট্টগ্রামের ওয়াটার বাস টার্মিনাল পতেঙ্গা ১৫ নাম্বার ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।

    সিটের নাম মূল্য (ওয়ান ওয়ে) মূল্য (আপ-ডাউন) অবস্থান
    ইকোনমি ক্লাস চেয়ার ২৮০০ টাকা ৫০০০ টাকা ডেক ই ও এফ, দুই ও তিনতলা
    বিজনেস ক্লাস চেয়ার ৩০০০ টাকা ৫৫০০ টাকা ডেক ডি, চারতলা
    ওপেন ডেক চেয়ার ৩২০০ টাকা ৬০০০ টাকা ডেক এ, সাততলা
    বাঙ্কার বেড (১ জন) ৩৫০০ টাকা ৬৫০০ টাকা ডেক বি, পাঁচতলা
    ফ্রামিলি বাঙ্কার বেড (৪ জন) ১৯০০০ টাকা ৩৫০০০ টাকা ডেক এ, সাততলা
    VIP প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট (২ জন) ২০০০০ টাকা ৩৮০০০ টাকা ডেক বি, ছয়তলা
    রয়্যাল সুইট (২ জন) ২২০০০ টাকা ৪০০০০ টাকা ডেক এ, সাততলা
    VIP প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাস (৪ জন) ২৩০০০ টাকা ৪৫০০০ টাকা ডেক বি, ছয়তলা
    VVIP কেবিন (২ জন) ২৩৫০০ টাকা ৪৫০০০ টাকা ডেক এ, সাততলা
    দ্যা এম্পেয়ারর্স কেবিন (২ জন) ২৬০০০ টাকা ৫০০০০ টাকা ডেক এ, সাততলা

    দ্বিতীয়ও উপায়টির জন্য প্রথমেই আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ যেতে হবে, যা সাধারণত সড়ক পথের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে আপনি চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস থেকে এস আলম এবং সৌদিয়া পরিবহনের মাধ্যমে রাত ১২ টায় টেকনাফে যেতে পারবেন। এছাড়াও মাইক্রো/জিপ/সিএনজি ইত্যাদি ভাড়া করে যেতে পারবেন। এটি সাধারণত ৬ ঘন্টার পথ, যার জন্য আপনাকে সেবার ধরন ভেদে ভাড়া ৫৮০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে। 

    আপনি যদি জাহাজ ধরার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চান তাহলে অবশ্যই কক্সবাজার থেকে ভোর ৬ টার মধ্যে রওনা দিতে হবে। সকাল ৯ টার মধ্যে টেকনাফে পৌঁছিয়ে আপনি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন।

    কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায়

    কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার দুইটি উপায় রয়েছে। প্রথমত হচ্ছে কক্সবাজার হতে সরাসরি সেন্টমার্টিন দ্বীপে এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। প্রথমটির জন্য আপনাকে নৌপথে জাহাজে যেতে হবে। বর্তমানে দুইটি জাহাজ এই রুটে চলাচল করে। জাহাজগুলোর বিস্তারিত নিম্ন দেওয়া হলো-

    • এমভি বারো আউলিয়াঃ এই জাহাজটি ইনানী নেভি জেটি থেকে প্রতিদিন ভোর ৫ঃ০০ টা থেকে সকাল ১০ টার মধ্যে ছাড়ে, যা জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে এবং সেন্টমার্টিন থেকে বিকাল ৪ টায় রওনা দেয়। জাহাজটির ধারণক্ষমতা প্রায় ৯০০ এবং কেবিনের সংখ্যা ২৫ টি। আপনার প্রয়োজন হলে বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৮৭৩-৩২৩৫৫৩
      • ০১৫৩১-১৮৩২৫৩
      • ০১৮৭৭-৮২৫৫৬৯

    ডেকের নাম মূল্য (ওয়ান ওয়ে) মূল্য (আপ-ডাউন) সিট ক্যাটাগরি
    সান ডেক ৮০০০ টাকা ১৫০০০ টাকা VIP কেবিন, এটাচ ওয়াশরুম, তিনতলা, পেছনে
    সান ডেক ৬৫০০ টাকা ১২০০০ টাকা VIP কেবিন, কমন ওয়াশরুম, তিনতলা, পেছনে
    সান ডেক ৮৫০ টাকা ১৬০০ টাকা চেয়ার, নিচতলা, সামনে
    মোজারাত লাউঞ্জ ৪৫০০ টাকা ৮০০০ টাকা ডিলাক্স কেবিন, কমন ওয়াশরুম, ২য় তলা, মাঝখানে
    মোজারাত লাউঞ্জ ৮৫০ টাকা ১৬০০ টাকা চেয়ার, দুইতলা, মাঝখানে
    বাঙ্কার কেবিন ২৫০০ টাকা ৪৫০০ টাকা বাঙ্কার বেড, ২ জন, দুইতলা. সামনে
    ফ্যামিলি বাঙ্কার কেবিন ৫০০০ টাকা ৯০০০ টাকা বাঙ্কার বেড, ৪ জন, দুইতলা, সামনে
    মেইন ডেক ৮৫০ টাকা ১৬০০ টাকা মেইন ডেক, তিনতলা, সামনে
    প্যানারোমা ৯৫০ টাকা ১৮০০ টাকা বিজনেস চেয়ার, তিনতলা, মাঝখানে
    রিভেরা ৯৫০ টাকা ১৮০০ টাকা বিজনেস চেয়ার, তিনতলা, পেছনে

    • এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসঃ এই জাহাজটি ইনানী নেভি জেটি থেকে প্রতিদিন ভোর ৫ঃ০০ টা থেকে সকাল ১০ টার মধ্যে ছাড়ে, যা জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে এবং সেন্টমার্টিন থেকে বিকাল ৪ টায় রওনা দেয়। জাহাজটির ধারণক্ষমতা প্রায় ৭০০ এবং কেবিনের সংখ্যা ১৭ টি। আপনার প্রয়োজন হলে বুকিং-এর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৮৭৩-৩২৩৫৫৩
      • ০১৫৩১-১৮৩২৫৩
      • ০১৮৭৭-৮২৫৫৬৯

    সিটের নাম মূল্য (ওয়ান ওয়ে) মূল্য (আপ-ডাউন)
    ইকোনমি ক্লাস চেয়ার ৮৫০ টাকা ১৬০০ টাকা
    ওপেন ডেক চেয়ার ১০৫০ টাকা ২০০০ টাকা
    বিজনেস ক্লাস চেয়ার ১৬০০ টাকা ৩০০০ টাকা
    লিলাক লাউঞ্জ ১৬০০ টাকা ৩০০০ টাকা
    VIP/Chrysanthemum লাউঞ্জ ১৭০০ টাকা ৩৩০০ টাকা
    সিঙ্গেল কেবিন (১ জন) ২২০০ টাকা ৪০০০ টাকা
    টুইন কেবিন (২ জন) ৪৫০০ টাকা ৮০০০ টাকা
    VIP কেবিন (২ জন) ৬৫০০ টাকা ১২০০০ টাকা
    VVIP কেবিন (২ জন) ৮০০০ টাকা ১৫০০০ টাকা

    বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উপরে বর্ণিত সকল যানবাহনের ভাড়া, যানবাহন ছাড়ার সময় এবং বুকিং/যোগাযোগ নাম্বার যানবাহনের মালিক/কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করতে পারে। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে ২০২৪ সাল অনুযায়ী।

    দ্বিতীয়ও উপায়টির জন্য প্রথমেই আপনাকে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ যেতে হবে, যা সাধারণত সড়ক পথের মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে আপনি বাস/মাইক্রো/জিপ/সিএনজি ইত্যাদি ভাড়া করে যেতে পারবেন। এতে সাধারণত ২ ঘন্টার পথ, যেখানে বাসের জন্য সিট প্রতি ১৫০ টাকা ভাড়া এবং সিএনজির জন্য সিট প্রতি ২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। 

    আপনি যদি জাহাজ ধরার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চান তাহলে অবশ্যই কক্সবাজার থেকে ভোর ৬ টার মধ্যে রওনা দিতে হবে। সকাল ৯ টার মধ্যে টেকনাফে পৌঁছিয়ে আপনি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার উপায় পদ্ধতিটি অনুসরণ করে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন।

    সেন্টমার্টিন দ্বীপে রিসোর্ট ও হোটেলসমূহ

    সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাতে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, যা আপনারা আপনাদের চাহিদা অনুযায়ী বুকিং করতে পারবেন। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এই দ্বীপের রিসোর্টগুলোতে চাপ বেশি থাকে সেজন্যই এসব দিনে আপনাদের আগে বুকিং করে যাওয়াই উচিত হবে। তবে অন্যান্য দিনে আপনারা ইচ্ছা করলে দ্বীপে যেয়ে পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী বুকিং করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেন্টমার্টিন দ্বীপের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রিসোর্ট-

    • ব্লু মেরিন (Blue Marine) রিসোর্টঃ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেখানে জাহাজে এসে দাঁড়ায় তার খুব কাছাকাছি এই রিসোর্টটি অবস্থিত। এই রিসোর্টের এসিযুক্ত ডাবল বেডরুমের ভাড়া ১৫০০০ টাকা এবং নন এসি ৫০০০ টাকা, ট্রিপল বেডরুমের প্রতিটির ভাড়া ৩০০০ টাকা, ৬ জনের বেডরুমের ভাড়া ৪০০০ টাকা এবং ১০ জনের বেডরুমের ভাড়া ৫০০০ টাকা। আপনি ইচ্ছা করলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৭১৩-৩৯৯০০০
    • প্রাসাদ প্যারাডাইস (Praasad Paradise) রিসোর্টঃ সেন্টমার্টিন বাজারের ভেতর দিয়ে ব্লু মেরিন রিসোর্ট পার হয়ে আরো কিছুটা উত্তর দিতে গেলে এই রিসেটটি দেখতে পাওয়া যাবে। এই রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের মোট ১৬ টি রুম রয়েছে। রুমভেদে এগুলোর ভাড়া ২০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৫৫৬-৩৪৭৭১১
      • ০১৯৯৫-৫৩৯২৪৮
      • ০১৮৮৩৬২৬০০৩
    • নীল দিগন্তে (Neel Digante) রিসোর্টঃ দ্বীপের এই রিসেটটি দক্ষিণ বীচের কোণাপাড়ায় অবস্থিত, যা জেটি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। কটেজের ধরন অনুযায়ী এই রিসোর্টে কয়েক ধরনের রুম রয়েছে, যার ভাড়া ১৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৭৩০-০৫১০০৫
      • ০১৭৩০-০৫ ১০০৯
    • প্রিন্স হেভেন (Prince Heaven) রিসোর্টঃ উত্তর বীচে অবস্থিত প্রাসাদ প্যারাডাইস রিসোর্টের কাছেই এই রিসেটটি অবস্থিত। এই রিসোর্টটিতে মোট ২৪ টি রুম রয়েছে এবং একটি খাবারের হোটেল রয়েছে। রুমের ধরন অনুযায়ী এগুলোর ভাড়া ১৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৬০১-২২২৪৫৬
      • ০১৯৯৫-৫৩৯২৪৬
      • ০১৮৮৩-৬২৬০০২
    • দি আটলান্টিক (The Atlantic) রিসোর্টঃ এই রিসেটটি পশ্চিম বীচে অবস্থিত। এই রিসোর্টটিতে মোট ৪৩ টি রুম রয়েছে। রুমের ধরন অনুযায়ী এগুলোর ভাড়া ৩৫০০ টাকা থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৭০০-৯৬৯২১২
      • ০১৮৩৪-২৬৭৯২২
    • ড্রিম নাইট (Dream Night) রিসোর্টঃ পশ্চিম বীচের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই রিসেটটির প্রতি রুমে ২  থেকে ৪ জন থাকতে পারবেন। রুমের ধরন অনুযায়ী এর ভাড়া ১৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৭০৩-২৮৫৬০৭
      • ০১৬৭১-৬০৬৯৬৪
    • সায়রী ইকো (Sayari Eco) রিসোর্টঃ দক্ষিণ বীচে নজরুল পাড়ায় এর হিসাবটি অবস্থিত, যা দেখতে খুবই সৌন্দর্যময়। এ রিসোর্টতে বিভিন্ন ধরনের মোট ১৮ টি রুম রয়েছে। ধরুন ভেদে এসব রুমের ভাড়া ১৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৭১১-২৩২৯১৭
      • ০১৬১০ ৫৫৫৫০০
    • দ্বীপান্তর বীচ রিসোর্টঃ এই রিসোর্টটি বিভিন্ন ফ্যাসিলিটির এবং মানের বিবেচনায় সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে ভালো রিসোর্ট। এই রিসেটটির ডেকোরেশন এক কথায় বলতে অসাধারণ। এখানে দোতলা বিশিষ্ট একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যেখানে আপনি ইচ্ছা করলেই খোলা আকাশের নিচে পরিবার সহকারে খাবার খেতে পারেন। রিচারটির রুম ভাড়া ৫০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত। তবে তাবু ভাড়া পাবেন ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। আপনাদের প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৮৮৪-৭১০৭২৩
      • ০১৮৮৬-৩৬৩২৩২
    • সীমানা পেরিয়ে রিসোর্টঃ এই রিসেটটির অবস্থান পশ্চিম বীচে, যেখানে আপনাকে ভ্যানে করে যেতে হবে। এই রিসোর্টে ১৪ টি রুম রয়েছে এবং নিজস্ব একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর রুম ভাড়া ১৫০০ টাকা হতে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। আপনার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৯১১-১২১২৯২
    • কোরাল ভিউ রিসোর্টঃ এই রিসোর্টটি সাধারণত নৌবাহিনী দ্বারা পরিচালিত। এটি সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকে অবস্থিত। জেটি হতে বেশ খানিকটা দূর হওয়ায় আপনাকে ভ্যানে করে যেতে হবে। এর রুমগুলো তুলনামূলকভাবে বড় এবং সমুদ্রের কাছাকাছি। এর রুমপ্রতি ভাড়া ২৫০০ টাকা থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। কোন আর প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৮৫৯-৩৯৭০৪৫
    • সমুদ্র বিলাস রিসোর্টঃ এই রিসেটটি পশ্চিম বীচের দিকে অবস্থিত। এর বিশেষত্ব হচ্ছে এটি হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি। এখানে রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। আপনার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৮৪০-৪৭৭৯৫৭
    • হোটেল সী ইনঃ এই রিসোর্টটি বাজারের মূল রাস্তার পাশেই অবস্থিত। স্টুডেন্ট অথবা যারা কম খরচে থাকতে চায় তাদের জন্য এই হোটেলটি অন্যতম। এর রুম ভাড়া ১২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। আপনারা প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
      • ০১৭৬৪-১৯০৫৮৬
    • সি প্রবাল রিসোর্টঃ এর দ্বীপের মোটামুটি ভালো একটি রিসোর্ট যা উত্তর বীচে অবস্থিত। এই রিসোর্ট এর রুম ভাড়া ১২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। আপনার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন-
    • ০১৭৫৬-২০৮৩৮৩

    এছাড়াও ছোট বড় মিলে আরো অনেক রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, যা আপনাদের জন্য নিম্নে সামারি আকারে দেওয়া হলো-

    রিসোর্ট/হোটেলের নাম ঠিকানা রুম ভাড়া যোগাযোগ নাম্বার
    অবকাশ পর্যটন লিঃ পশ্চিম বীচ ১৫০০ - ৩০০০ ০১৭১৬-৭৮৯৬৩৪
    এস কে ডি রিসোর্ট বিছানাকান্ধি ১৫০০ - ৪০০০ ০১৭৯৭-২৬১২৬১
    কিংসুপ ইকো রিসোর্ট গলাচিপা ১৫০০ - ৩০০০ ০১৭৫৩-২২২২৮৬
    সিটিভি রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১০০০ -৩০০০ ০১৮১৫-৬৩২০৩৭
    ডায়মন্ড সি রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১২০০ - ২৫০০ ০১৬৭৭-৫৭৭৮৯৯
    ড্রিম নাইট রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১৫০০ - ২৫০০ ০১৮১২-১৫৫০৫০
    হোটেল সী ফাইন্ড পশ্চিম বীচ ২০০০ - ৪০০০ ০১৬২৬-১৮২৭২৫
    ফরহাদ রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১২০০ - ২৫০০ ০১৯১২-৭৬০০১০
    বালু লাগুন রিসোর্ট পশ্চিম বীচ জেটির পাশে ১৫০০ - ৫০০০ ০১৮১৮-৭৪৭৯৪৬
    কোকোনাট কোরাল রিসোর্ট বলিাইকান্ধা ১৫০০ - ৩০০০ ০১৭৯০-৫০৫০৫০
    লাবিবা বিলাস রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ৩০০০ - ১২০০০ ০১৭১৪-৬৩৪৭৬২
    লাইট হাউজ রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১৫০০ - ৩০০০ ০১৮১৯-০৩৬৩৬৩
    মিউজিক ইকো রিসোর্ট দক্ষিণ প্রান্তে ২৫০০ - ৪০০০ ০১৬১৩-৩৩৯৬৯৬
    পান্না রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১৫০০ - ২৫০০ ০১৮১৬-১৭২৬১৫
    সমুদ্র খানন পশ্চিম বীচ, নেভী রোড ১২০০ - ২৫০০ ০১৭১৩-৪৮৬৮৬৬
    ব্যাগাস বারী রিসোর্ট পশ্চিম বীচ ১০০০ - ২০০০ ০১৭৭৮৭-০২২২০
    সমুদ্র কুটির পশ্চিম বীচ, কোণাপাড়া ১৫০০ - ৩০০০ ০১৬১৬-৫০৩১২৯

    অগ্রিম হোটেল বুকিং করার পদ্ধতি

    বর্তমানে অনলাইন যুগের বিভিন্ন মাধ্যমে অগ্রিম হোটেল বুকিং হয়ে আসছে। তারই মধ্যে শেয়ারট্রিপ একটি মাধ্যম যেখানে কম খরচে ভালো হোটেল ও রিসোর্ট খুঁজে নিতে পারবেন। এখানে অনেক সময় আপনি বিশেষ ছাড় ও মান যাচাই করে মেরিন বীচ রিসেোর্ট, সূর্যাস্নান টুইন বীচ রিসোর্ট ও গৌধূলি ইকো রিসোর্ট এর মতো উন্নতমানের রিসোর্টে ভাড়া করতে পারবেন। সেজন্য নিম্নের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন-

    • শেয়ারট্রিপ ওয়েবসাইটের হোটেল ট্যাবে ক্লিক করুন।
    • যেখানে ভ্রমণ করবেন সেই স্থানের নামটি টাইপ করুন।
    • ভ্রমণের তারিখ সিলেক্ট করুন (চেক ইন ও চেক আউট সহ)
    • কয়টি রুম লাগবে তা ক্লিক করুন এবং কয়জন থাকবে সেটাও নির্দিষ্ট করুন এবং পরে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
    • এবার আপনার সামনে অনেকগুলো হোটেল রিসোর্টের তালিকা চলে আসবে, সেখান থেকে আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে আপনার পছন্দের হোটেল বুকিং দিতে পারবেন।

    এখানে আপনি হোটেলের রিভিউ ও মূল্য দেখে ভাড়া নিতে পারবেন। মৌসুমের শুরুতেই অনেক সময় বিশেষ মূল্যহ্রাস ব্যবস্থা থাকে। এভাবে বুকিং দেওয়ার মূল সুবিধা হচ্ছে অনেক মানুষের ভিড়ে পরিবার নিয়ে বিড়ম্বনা এড়ানো।

    সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাওয়ার ব্যবস্থা

    সেন্টমার্টিন দ্বীপে খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে আপনাকে বেশি চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ বেশিরভাগ রিসোর্টেই খাবারের ব্যবস্থা থাকে। বাংলা খাবারের সাথে বিভিন্ন পদের সামুদ্রিক মাছ আয়োজন করা থাকে। এছাড়াও সেন্টমার্টিন বাজারের কাছে বেশ কিছু খাবারের হোটেল রয়েছে, যেখানে আপনি চাইলে আবার খেতে পারেন। রাতের বেলা রিসোর্টগুলোতে বারবিকিউ-এর ব্যবস্থা থাকে। 

    সেন্টমাটিন বাজারে যেসব হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল কেয়ারি মারজান রেস্তোরাঁ, বীচ পয়েন্ট, হোটেল আল্লাহর দান, বাজার বীচ, আসাম হোটেল, সী বীচ, সেন্টমার্টিন, কুমিল্লা রেস্টুরেন্ট, রিয়েল রেস্তোরাঁ, হাজী সেলিম পার্ক, সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পার্ক, হোটেল সাদেক ইত্যাদি। তবে আপনাকে খাবার আগে অবশ্যই দাম যাচাই করে খাবেন। দুপুরের খাবারের মেনু ভেদে জনপ্রতি ১৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

    সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে প্রধান খাবার হল ডাব, যা অন্যান্য অঞ্চল হতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। এছাড়াও এখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ, যার মধ্যে আছে সেন্টমার্টিন কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদা ইত্যাদি। এই মাছগুলো আপনার পছন্দমত কিনে রিসোর্ট এর হোটেলগুলোতে কিভাবে খাবেন তা বুঝিয়ে দিলে সেভাবে তারা আপনাকে করে দিবে।

    আপনি যদি মনে করেন কুরা খেয়ে দেখবেন তাহলে তা আগে থেকে জানিয়ে দিতে হবে। এখানে কুরা বলতে দেশি মুরগিকে বোঝায়। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শুটকি মাছের ভান্ডার যেখান থেকে আপনি বাড়ির জন্য কিনতে পারেন। আপনি যদি গরমের সময় সেখানে ভ্রমণ করেন তাহলে সেখানকার তরমুজ খেয়ে দেখতে পারেন।

    সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেসব বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে

    সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেসব বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে তা আপনাকে সেখানে যাওয়ার আগে থেকেই জেনে নিতে হবে। কারণ সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালি অর্থাৎ বাংলাদেশের একটি সম্পদ যা আপনাকে আমাকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে। এছাড়াও আরো অনেক বিষয়াদি রয়েছে যা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

    • যেহেতু এটি আমাদের দেশের সম্পদ, সেহেতু প্রকৃতির ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না।
    • প্রবাল, শামুক, ঝিনুক, কচ্ছপ, পাখি, তারা মাছ, রাজকাঁকড়া, শৈবাল, কেয়াফল ইত্যাদি সংগ্রহ এবং কেনা যাবে না।
    • সেন্টমার্টিনে অনেক সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিকমতো কাজ করে না। সেজন্য একাধিক অপারেটরের সিম, বিশেষ করে টেলিটক সিম রাখতে পারেন। যা অন্যান্য অপারেটরের তুলনায় ভালো কাজ করে।
    • রাত্রি ১২ টার পর বীচ অথবা জেটি এলাকায় না থাকায় উত্তম।
    • আপনার ব্যবহৃত আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন, বিশেষ করে প্লাস্টিক/পলিথিন জাতীয় কোন কিছু সৈকতে ফেলবেন না।
    • ভ্রমণ খরচ কমানোর জন্য ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন।
    • কোন কিছু কেনাকাটা করার আগে অবশ্যই দামটা মিটিয়ে নিবেন।
    • কোন সময় সমুদ্রে নামা অথবা গোসল করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
    • এই দ্বীপে সবকিছু বাইরে থেকে যায়, সেজন্য খাবারের খরচ তুলনামূলক বেশি যা আপনার মাথায় রাখতে হবে।
    • এই দ্বীপে ভ্যান ভাড়া অনেক বেশি তাই ভ্যানে চড়ার আগে ভালোভাবে ভাড়াটা মিটিয়ে নিন।
    • ছেঁড়া দ্বীপে বিকেলের দিকে যাওয়াই ভালো,কারণ তখন রোদ কম থাকে।
    • বীচে গোসল করার আগে জোয়ার ভাটার সময়টা জেনে নিন। ভাটার সময় সমুদ্রে না নামায় ভাল।

    সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

    সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত একটি ছোট্ট মনোমুগ্ধকর একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। নীল আকাশ, স্বচ্ছ সমুদ্রের পানি এবং সাদা বালুকাবেলার জন্য এটি বাংলাদেশ এবং বিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জেনেছেন সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসার উপায়, সেন্ট মার্টিনের থাকার উপায়, সেখানকার দর্শনীয় স্থান ও অন্য বিষয় সম্পর্কে। 

    যেহেতু দ্বীপটির আয়তন খুব ছোট সেহেতু আপনি ইচ্ছা করলেই হেটেই সম্পূর্ণ দ্বীপটি ঘুরে দেখতে পারেন। এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অনুভব করা। এখানকার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত সত্যি খুবই অপূর্ব, যা আপনার বেঁচে থাকার প্রেরনাকে আরো বাড়িয়ে দিবে।দ্বীপটির স্থানীয় লোকদের রান্না সামুদ্রিক মাছ অবশ্যই খেয়ে আসবেন।

    ছবি-৩

    কমপক্ষে একটি রাত অবশ্যই সেখানে অতিবাহিত করবেন, কারণ রাতের দ্বীপটি এতটাই যে সৌন্দর্যময় তা কথায় বোঝানো সম্ভব নয় শুধুমাত্র অনুভব করার বিষয়। সেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা সীমিত আকারে থাকায় আপনি অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। তবে বাতাসের সেখানে কোন সমস্যা নাই, সব সময়ই কিছু না কিছু বাতাস প্রবাহিত হবে।

    ভবিষ্যতে এই পোস্টের কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবার হাজির হবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, বছরে অন্তত একটি বারের জন্য হলেও কোন একটা ভালো জায়গায় ভ্রমণ করবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ.......

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url