অনলাইনে টাকা ইনকামের ১৫ টি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
অনলাইনে টাকা ইনকামের ১৫ টি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি ১৫ টি ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
আপনার যদি অনলাইনে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি উল্লেখিত ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে থেকে খুব সহজেই মাসে লক্ষ টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আমার এই পোস্টটি আপনাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট
- অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানুন
- ২০২৪ সালে কেন অনলাইনে টাকা ইনকাম করবেন
- অনলাইন ইনকাম কারা করতে পারবে জনুন
- Google AdSense হতে পারে অনলাইনে টাকা ইনকামের ভালো ওয়েবসাইট
- অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য You Tube প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার
- অনলাইনে টাকা ইনকামের মাধ্যমে হতে পারে Shutterstock
- Adsterra হতে পারে অনলাইনে টাকা ইনকামের অন্যতম ওয়েবসাইট
- অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট হিসেবে Facebook Marketplace
- ySense-এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে টাকা ইনকামের আরেকটি ওয়েবসাইট Medium.com
- ওয়েবসাইট Fiver-এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম
- Google AdMob অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট
- অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য Swagbucks ওয়েবসাইটের ব্যবহার
- অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Facebook (In-stream ads)
- ওয়েবসাইট Dreamstime এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম
- অনলাইনে টাকা ইনকামের মাধ্যম Ezoic ওয়েবসাইট
- Freecash.com অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট
- অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য 2captcha.com-এর ব্যবহার
- অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানুন
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় অনলাইন মানেই প্রযুক্তি। বর্তমান বিশ্ব এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল, যাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ নিজেকে প্রফেশনাল ভাবে গড়ে তুলেছে। অনলাইন হতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয়ের সম্ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকে সচরাচর চাকরির পরিবর্তে অনলাইন হতে ইনকামকে তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।
সাধারণত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন হতে মানুষ যে আয়
করে থাকে তাকেই অনলাইন ইনকাম বলা হয়। যদি আমরা বইয়ের ভাষায় বলতে চাই, অনলাইন
উপার্জন হল ইন্টারনেটের সাহায্যে অর্থ উপার্জনের একটি পদ্ধতি। আপনি একটি নিজস্ব
ওয়েবসাইটের মালিক হয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন ইনকামের সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এর জন্য আলাদা বিনিয়োগ বা
চাকুরীর মত সঠিক সময় নির্ধারণ থাকে না। বর্তমানে ঘরে বসে ইনকাম করার
প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ কারণেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইটগুলোর প্রচুর
জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেজন্যই বিশ্বে অনেক মানুষ ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার জন্য
ওয়েবসাইটগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করছে।
আপনিও যদি দৈনন্দিন গতানুগতিক চাকুরীর সময় মেইনটেইন-এর চিন্তা থেকে মুক্ত হতে চান এবং স্বাধীনভাবে নিজের মতো করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অনলাইন হচ্ছে সবথেকে ভালো প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত উপায়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে শুরুতেই টাকা ইনকামের পরিমাণ কম হতে পারে, তবে ধৈর্য ধারণ করলে ধীরে ধীরে তা বাড়বে।
২০২৪ সালে কেন অনলাইনে টাকা ইনকাম করবেন
২০২৪ সালে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কারণ হচ্ছে, বর্তমান চাকরির বাজার অনেক প্রতিযোগিতামূলক এবং এবং কঠিন বিষয় হয়ে গেছে। অনেকে অনেক চেষ্টা করেও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে। এছাড়াও করোনা কালীন সময়ে অনেকেই তাদের চাকরি হারিয়েছেন। যার ফলে বেকারত্ব বেড়ে গেছে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে কোন চাকরির গ্যারান্টি নাই। এছাড়াও চাকরি করে নির্দিষ্ট
পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়, যার সাহায্যে আপনার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে
হয়। কিন্তু আপনি যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করেন তাহলে এর কোন লিমিট থাকে না। অনেকে
হাজার হাজার টাকা অথবা অনেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারে।
আপনি ইচ্ছা করলে চাকরি বা লেখাপড়া পাশাপাশি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে
পারেন। এছাড়াও একদিকে আপনি চাকরি করে এবং অন্যদিকে বাড়তি সময় থাকা সাপেক্ষে
অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি এটি করা সম্ভব, কিন্তু
তা না করাই ভালো হবে। কারণ এতে লেখাপড়ার ক্ষতি হবে।
তবে লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজটি করলে লেখাপড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ নিজেই বহন করতে পারবেন। বর্তমানে এই মনমানসিকতা অনেক ছাত্র ছাত্রীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে লেখাপড়া হচ্ছে সবচেয়ে জরুরি তারপরে যদি আপনি সময় করতে পারেন তখন আপনি এই কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে টাকা ইনকাম কারা করতে পারবে জনুন
অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে অনলাইনে নগদ টাকা পাওয়া যায় না সেজন্য অনেকে খুব দ্রুত ধৈর্য হারিয়ে ফেলে, যা একটি বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় অনলাইনে সফলতা না পাওয়ার। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রচুর ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন হয়।
সেজন্য আপনি যদি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান এবং সফলতা পেতে চান তাহলে শুরুতে আপনাকে বিনা পারিশ্রমিকে কষ্ট করতে হবে এবং নিজের স্কিল বাড়াতে হবে। আপনি যদি একবার নিজের স্কিল বাড়িয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে শুরু করেন তাহলে আপনাকে আর পূর্বের মত কষ্ট করতে হবে না।
টাকা ইনকাম শুরুর পরে আস্তে আস্তে তা বেড়েই চলতে থাকে এবং সাথে সাথে কাজের
পরিসরও বাড়তে থাকে। কাজ সমাপ্তির সময়সীমা এবং ইনকামের পরিধির উপর বিশ্লেষণ করে
আপনাকে আরও কয়েকজন দক্ষ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ফলে
আপনি নিজের একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন, যা নিজের সাথে সাথে দেশের উন্নতিতে
সহায়তা করবে।
Google AdSense হতে পারে অনলাইনে টাকা ইনকামের ভালো ওয়েবসাইট
আপনার ক্ষেত্রে Google AdSense হতে পারে অনলাইনে টাকা ইনকামের ভালো ওয়েবসাইট। এটি গুগল দ্বারা পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপন প্রদানকারী প্রোগ্রাম, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে। এই ওয়েবসাইটে চায়না করে আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েব সাইটের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসাতে পারবেন।
এরপর গুগল নিজেই আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এবং ভিজিটরদের জন্য প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনগুলো দেখাতে শুরু করবে। যখন ব্যবহারকারীরা এসব বিজ্ঞাপনের উপর ক্লিক করবে তখন আপনার google এডসেন্স একাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। এর মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন তা নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের উপর, সেগুলো হলো-
- কন্টেন্টের কোয়ালিটি
- CPC (Cost Per Click)
- CTR (Click Through Rate)
- কি পরিমান ট্রাফিক পাচ্ছেন
- কোন দেশের ট্রাফিক পাচ্ছেন ইত্যাদি।
তবে প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য তাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি গাইডলাইন আছে তা আপনাকে অবশ্যই ফলো করতে হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পূরণ করতে হবে। আপনি যদি একবার অনুমোদন পেয়ে যান, তাহলে পরে আর অনুমোদন নিতে হবে না সেটি চলতেই থাকবে। আসুন জেনে নেওয়া যায় গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে কি কি করতে হবে-
- আপনাকে প্রথমে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লক তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনাকে নিয়মিত মানসম্মত আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে হবে।
- আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য গুগল এডসেন্সে সাইন আপ করতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের সাথে এডসেন্সের একাউন্ট যুক্ত করতে হবে।
- এরপর গুগল থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞাপন কোডগুলো আপনার ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট স্থানে যুক্ত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে sidebar, header, footer, inside content ইত্যাদি জায়গায় বিজ্ঞাপন কোড বসাতে পারেন।
- আপনাকে নিয়মিত এবং ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিস্ট করতে হবে, যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে।
- পেমেন্ট পাওয়ার জন্য আপনারাই কমপক্ষে ১০০ ডলার হতে হবে। আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হলে আপনার ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য You Tube প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার
অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য You Tube প্ল্যাটফর্ম-এর ব্যবহার বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি হয়। এজন্য প্রথমেই আপনাকে google account দিয়ে ইউটিউবে সাইন আপ করতে হবে। এরপর আপনাকে নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এই চ্যানেলটিকে আপনার পছন্দমত বিষয় বা টপিক বা নিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করতে পারেন।
এই টপিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি টপিক হলো- টেক, ভ্লগিং, রেসিপি, ফিটনেস, গেমিং, রিভিউ, টিউটোরিয়াল ইত্যাদি বিষয়ক বানিয়ে আপনি চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। তবে আপনি সবগুলো একসাথে বেছে না নিয়ে, যে বিষয়ে সম্পর্কে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ সেসব বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করবেন। তাহলে আপনি দ্রুত ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
ইউটিউব চ্যানেল বানানোর পরে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত বা ধারাবাহিকভাবে আকর্ষণীয়
এবং তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করে নিজস্ব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। আপনার চ্যানেল ১০০০
সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম পূর্ণ হলে আপনি মনিটাইজেশন চালু
করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার সময় আপনাকে গুগলে অ্যাডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে হবে। ইউটিউব পার্টনার
প্রোগ্রাম আপনার আবেদনটি অনুমোদন করলে আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন
দেখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যত বেশি ভিউজ এবং সাবস্ক্রাইবার আপনার ইউটিউব
চ্যানেলে থাকবে, আপনার ইনকামের সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে। এই প্লাটফর্মে কাজ করার
যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলো হলো-
- ঘরে বসে বসে মোবাইল বা অন্য কোন মাধ্যমের সাহায্য ভিডিও বানাতে পারবেন।
- সম্পূর্ণ ফ্রিতে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
- আপনার পছন্দমত বা সামর্থ্য যোগ্য যেকোনো ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
- এই প্লাটফর্মে আপনি আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের মাধ্যমে হতে পারে Shutterstock
অনলাইনে টাকা ইনকামের মাধ্যমে হতে পারে Shutterstock। আপনার যদি ছবি তুলতে পছন্দ করেন এবং দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে আপনার তোলা ছবি অনলাইনে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের মোবাইল অথবা DSLR ক্যামেরা থাকলে ভালো হয়।
এটি মূলত ফটো সেলিং ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন দেশের ফটোগ্রাফাররা তাদের তোলা ছবি বিক্রি করার সুযোগ পায়। এজন্য প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর নিজস্ব প্রোফাইল ভালোভাবে সাজাতে হবে এবং কয়েকটি হাই কোয়ালিটি ছবি একাউন্টে আপলোড করতে হবে।
আপলোড হয়ে গেলে আপনার ছবিগুলো ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করবে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে তারাও অনুমোদন দিবে। ছবিগুলো একবার অনুমোদন হয়ে গেলে
ক্রেতারা আপনার ছবিগুলো কিনতে পারবে, যেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই
ওয়েবসাইটের জন্য কয়েকটি বিষয় মনে রাখবেন-
- এই ওয়েবসাইটটি আপনার ছবি তোলার শখকে অর্থ উপার্জনের রূপ দান করবে।
- সম্পূর্ণ ফ্রিতে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
- এই ওয়েবসাইটে ছবির পাশাপাশি illustrations, vectors, videos ইফতার দিয়ে বিক্রয় করতে পারবেন।
- নিয়মিত ইউনিক এবং উন্নত মানের ছবি আপলোড করলে টাকা ইনকাম করা সহজ হবে।
- প্রতিটি ছবি বিক্রির জন্য ৪০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারবেন।
Adsterra হতে পারে অনলাইনে টাকা ইনকামের অন্যতম ওয়েবসাইট
Adsterra হতে পারে অনলাইনে টাকা ইনকামের অন্যতম ওয়েবসাইট। এটিও জনপ্রিয় একটি এড ওয়েবসাইট, যার বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট যেমন-পপ-আন্ডার, ডিসপ্লে ব্যানার, ভিডিও, নেটিভ বিজ্ঞাপন এবং ডাইরেক্টলিংক আপনার ওয়েবসাইটে দেখিয়ে থাকে।
যদি গুগল এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটটিকে অনুমোদন না দেয় তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স এর বিকল্প উপার্জনের উপায় হিসেবে জনপ্রিয় এই অ্যাড নেটওয়ার্ক সাইট ব্যবহার করতে পারেন। এটির ক্ষেত্রেও আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকতে হবে এবং এই নেটওয়ার্কে সাইন আপ করতে হবে। এই নেটওয়ার্কে অনুমোদন পেতে গুগল এডসেন্স এর মত দেরি হয় না।
অনুমোদনের পরে গুগল এডসেন্স এর মতই সকল সেটাআপ সঠিকভাবে করতে হবে। মনে রাখবেন এই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর থাকতে হবে। এখান থেকে উপার্জিত অর্থ আপনি ইচ্ছা করলে পেপাল অথবা অন্য কোন ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট হিসেবে Facebook Marketplace
অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট হিসেবে Facebook Marketplace সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ একটি প্ল্যাটফর্ম। এটি ফেসবুকের এমন একটি অংশ যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের এলাকাভিত্তিক পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন। এটি এমন একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ব্যবহৃত পণ্য অথবা নতুন পণ্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারবেন।
এই মার্কেটপ্লেসটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে আলাদা কোন অ্যাপ্লিকেশন
ডাউনলোড করার প্রয়োজন হবেনা। আপনি সরাসরি ফেসবুকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কাজটি
চালিয়ে যেতে পারবেন। এই মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনি বিভিন্ন
ধরনের পদ্ধতি বা কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
এই মার্কেটপ্লেসে আপনি যেসব পণ্য বিক্রি করতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল
ব্যবহৃত পণ্য, নতুন পণ্য, ড্রপশিপিং, হাতে তৈরি পণ্য ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রোডাক্টের ভালো ও স্পষ্ট ছবির সাথে সম্পূর্ণ বিবরণী
দিতে হবে। এছাড়াও পণ্যের সঠিক মূল্য এবং ভবিষ্যৎ সার্ভিসের বিভিন্ন তথ্যাদির
সাথে যোগাযোগের ঠিকানা ও নাম্বার প্রদান করতে হবে।
যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ক্রেতারা যেন আপনার সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এই মার্কেটপ্লেসে আপনি যদি একবার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন তাহলে আপনি এটাকে ই-কমার্স দোকান হিসেবে ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
ySense-এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম
ySense-এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য সহজ হতে পারে। এটি একটি মাইক্রোটাক্স ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি পার্ট টাইম ছোট ছোট কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এই ওয়েবসাইটে তাদের বিভিন্ন ধরনের সার্ভে প্রদান করে থাকে।
যেগুলো আপনি খুব সহজেই পূরণ করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপ ডাউনলোড করা, ফ্রী ট্রায়াল নেওয়া, ভিডিও দেখা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা, ডাটা এন্ট্রি, ইমেজ ক্যাপশনিং ইত্যাদি। এছাড়াও এগুলোর পাশাপাশি এই সাইটে আপনি referral program থেকে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে হবে।
এই সাইটে থেকে উপর্জিত টাকা আপনি PayPal, Payoneer বা বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশআউট করতে পারবেন। এইসব টাকা ট্রান্সফার মাধ্যমগুলোতে অবশ্যই আপনার নিজস্ব একটি ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এই সাইটটি পার্ট টাইম কাজ করার জন্য উপযুক্ত। তবে কোনভাবে এখানে ইনভেস্ট করবেন না, ফ্রিতে বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য এই সাইটটি ব্যবহার করবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের আরেকটি ওয়েবসাইট Medium.com
অনলাইনে টাকা ইনকামের আরেকটি ওয়েবসাইট Medium.com, যেখানে আপনি আপনার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। এটি মূলত একটি অনলাইন কন্টেন্ট পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে মিডিয়াম পার্টনার প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে হবে, যার মাধ্যমে আপনার প্রকাশিত আর্টিকেলের জন্য টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত হাই কোয়ালিটি এবং বুঝতে সহজ হয় এমন আর্টিকেল তৈরি করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে গেলে আপনাকে মেম্বারশিপের প্ল্যান পছন্দ করে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে। এই ওয়েবসাইটের যে সকল মিডিয়াম প্রিমিয়াম মেম্বার আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো পড়বে, তাদের পড়ার উপর নির্ভর করে ঐ সকল প্রিমিয়ার মেম্বারশীপের কিছু অংশ কর্তৃপক্ষ আপনাকে দিবে।
এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার আরও একটি সহজ উপায় হলো মিডিয়াম এফিলেট
প্রোগ্রাম। যেখানে আপনি আপনার রেফারেল নাম্বার ব্যবহার করে নতুন নতুন মেম্বারদের
যদি মিডিয়াম প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ এর যুক্ত করতে পারেন, তাহলে তাদের মেম্বারশিপ
ফি থেকে কিছু অংশ আপনাকে কমিশন হিসেবে দেওয়া হবে। এই ওয়েবসাইটের কয়েকটি সুবিধা
আছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
- এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি সম্পূর্ণ ফ্রিতে করতে পারবেন।
- যদি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লক থাকে সেখানে এই ওয়েবসাইট থেকে কোয়ালিটি সম্পন্ন ভিজিটর নিতে পারবেন।
- এই ওয়েবসাইটে নিজের একটি ভিজিটর বেস তৈরি করতে পারবেন, যা আপনার নিজস্ব ওয়েব সাইটে প্রয়োজন হবে।
ওয়েবসাইট Fiver-এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম
ওয়েবসাইট Fiver-এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম একটি বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এটি বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সাইট। এখানে আপনাকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সেখানে আপনার প্রধানকৃত সার্ভিস বা পরিষেবার বিবরণ সহকারে একটি গিগ পাবলিশ করতে হবে।
এই গিগ দেখে সার্ভিস গ্রহণকারী আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। যদি আপনি এবং সার্ভিস গ্রহণকারীর মধ্যে কাজে ধরন অনুযায়ী পেমেন্টের পরিমাণ নিয়ে সমঝোতা হয় তাহলে সার্ভিস গ্রহণকারী আপনাকে কাজের একটি অর্ডার দিবে, যেখানে কাজ সমাপ্তির একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে। উক্ত সময়সীমার মধ্যে কাজটি শেষ করা সাপেক্ষে সার্ভিস গ্রহণকারী আপনাকে পেমেন্ট করবে।
এই সাইটে নির্দিষ্ট কাজের জন্য গিগ একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেখানে আপনি আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং সার্ভিস প্রদানের সক্ষমতা সম্পর্কে উল্লেখ করবেন। এই গিগ দেখেই একজন ক্লায়েন্ট আপনার সাথে তার কাজের সম্পর্কে আপনার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করবে।
একটি গিগের সর্বনিম্ন মূল্য ৫ ডলার হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি যেসব সার্ভিস বা
পরিষেবা দিয়ে থাকবেন সেগুলো সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে শুরু হবে। এই প্লাটফর্মে আপনি
যেসব কাজগুলো করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি
হলো-
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ভিডিও এডিটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- লোগো ডিজাইন
- ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- প্রোগ্রামিং ইত্যাদি।
Google AdMob অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট
Google AdMob অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট, যা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য একটি বিজ্ঞাপন জাতীয় প্ল্যাটফর্ম। এটি সাধারণত গুগল দ্বারা পরিচালিত হয়। আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনাকে অনেক সহায়তা করবে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে।
এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল অ্যাপের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ইনকাম
করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটটি আপনার অ্যাপের ভেতরে যেসব বিজ্ঞাপন প্রদর্শন
করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - ব্যানার বিজ্ঞাপন, ইন্টারস্টিশিয়াল
বিজ্ঞাপন, রিওয়ার্ডেড ভিডিও বিজ্ঞাপন, নেতিভ বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।
এই ওয়েবসাইট হতে ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি বা ডেভেলপ
করতে হবে। এটি এন্ড্রয়েড, আই ও এস অথবা উভয় প্লাটফর্মের জন্য হতে পারে। এরপর
আপনার অ্যাপের ভেতরে বিজ্ঞাপন সেটাপ করার জন্য এই ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলতে
হবে। পরে এই অ্যাকাউন্টে অ্যাড ইউনিট তৈরি করতে হবে এবং এড কোডগুলো আপনার অ্যাপের
নির্দিষ্ট স্থানে বসাতে হবে।
বসানো শেষে গুগল প্লে স্টোরে আপনার তৈরিকৃত মোবাইল অ্যাপটি পাবলিশ করতে হবে।
সেখান থেকে যত বেশি ইউজার আপনার অ্যাপটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করবে তত বেশি
পরিমাণে আপনার টাকা ইনকাম হবে। এজন্য অবশ্যই আপনার অ্যাপটিকে বিশ্বের কাছে
পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে।
সেক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে
আপনার অ্যাকাউন্টে যখন ১০০ ডলার জমা হয়ে যাবে, তখন তখন সেই টাকা আপনার ব্যাংক
একাউন্টের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার পেপাল এবং পায়ওনিয়র
কার্ডও ব্যবহার করতে পারেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য Swagbucks ওয়েবসাইটের ব্যবহার
অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য Swagbucks ওয়েবসাইটের ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি অনলাইন রিওয়ার্ড প্লাটফর্ম যেখানে আপনি বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে পয়েন্ট উপার্জন করতে পারবেন, এবং এই পয়েন্টগুলো নির্দিষ্ট ক্যাশ অথবা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন। পরে আপনি এই অর্থগুলো আপনার নিজস্ব ব্যাংকের কার্ডে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
এই মাইক্রো-জব সাইটে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য
কয়েকটি হলো - সার্ভে পূরণ করা, ভিডিও দেখা, অনলাইন কেনাকাটা, গেম খেলা,
ওয়েব সার্চ করা, বিভিন্ন অফার কমপ্লিট করা, অ্যাপ ডাউনলোড করা, ফ্রী ট্রায়ালড
নেওয়া, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা ইত্যাদি।
এছাড়াও এই সাইটে আপনি আপনার রেফারেল নাম্বারটি ব্যবহার করে নতুন নতুন ইউজারদের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে যখন আপনার একাউন্টে পর্যাপ্ত পয়েন্ট জমা হবে, তখন সেগুলো অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, পেপাল, পায়োনিয়ার ইত্যাদি জনপ্রিয় কার্ড পয়েন্ট অনুযায়ী ডলার জমা করতে পারবেন। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, কখনোই অগ্রিম কোন ডিপোজিট দিয়ে পয়েন্ট ইনকাম করবেন না।
অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Facebook (In-stream ads)
অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Facebook (In-stream ads). এটি মূলত এক ধরনের ভিডিও বিজ্ঞাপন, যা ফেসবুকের ভিডিও কনটেন্টের শুরুতে, মাঝে অথবা শেষে প্রদর্শিত হয়। এই বিজ্ঞাপন গুলো সাধারণত ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম প্লাটফর্মের ভিডিও কনটেন্টের ভেতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হয়।
আপনি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে এসব বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন
করতে পারবেন, কারণ যখন ভিজিটররা আপনার ভিডিওটি দেখবেন তখন
বিজ্ঞাপনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে যার ফলে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর
জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে হবে যেখানে আপনি নিয়মিত
ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে পারবেন।
এই ভিডিও কন্টেন্টগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হলো-শিক্ষা, বিনোদন, টিউটোরিয়াল, প্রডাক্ট রিভিউ ইত্যাদি। ভিডিও কনটেন্ট তৈরি
করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন কনটেন্টটি ভিজিটর আকৃষ্ট
করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে তারা সেগুলো দেখে।
ফেসবুকে পেইজ খোলার পরেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন না, কারণ প্রথমে আপনাকে
পেইজটি মনিটাইজ বা অনুমোদন নিতে হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কয়েকটি শর্ত পূরণ
সাপেক্ষে আপনি আপনার পেইজটি মনিটাইজ করতে পারবেন। এসব নিয়ম নীতিমালাগুলো যত
দ্রুত পূরণ করবেন তত তাড়াতাড়ি আপনার টাকা ইনকাম শুরু হবে।
একবার যদি আপনার পেইজটি মনিটাইজ হয়ে যায়, তাহলে পরে আর মনিটাইজ করার প্রয়োজন
হবে না। বর্তমান বিশ্বের সেরা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেসবুক থেকে কোটি
কোটি ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটার এই পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে
লাগিয়ে প্রচুর পরিমাণে টাকায় ইনকাম করছে।
ওয়েবসাইট Dreamstime এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম
ওয়েবসাইট Dreamstime এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এটি একটি জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা ফটোগ্রাফ, ইলাস্ট্রেশন এবং ভিডিও বিক্রি করতে পারেন। এই সাইট হতে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে এই সাইটে রেজিস্টার করতে হবে।
এখন তৈরি করার পর আপনি আপনার তৈরি করা বিভিন্ন ফটোগ্রাফ, ইলাস্ট্রেশন এবং ভিডিও সাইন আপলোড করতে পারবেন। একটি ছবির বিনিময়ে আপনাকে কত টাকা প্রদান করা হবে সেটা নির্ভর করে ছবির সাইজ এবং ছবিটি কতবার ক্রয় করা হয়েছে। আপনি যদি নিজেকে একজন ভালো মানের দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফার মনে করেন তাহলে এই সাইটের এক্সক্লুসিভ ফটোগ্রাফার প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এভাবে ছবি বিক্রি করতে করতে আপনার যখন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে তখন আপনি সেই টাকা পেপাল, পায়োনিয়ার অথবা অন্য কোন পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের একাউন্টে বা কার্ডে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের মাধ্যম Ezoic ওয়েবসাইট
অনলাইনে টাকা ইনকামের মাধ্যম Ezoic ওয়েবসাইট হতে পারে। এটিও গুগল এডসেন্স-এর মতো একটি বিখ্যাত এড নেটওয়ার্ক, যারা আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিয়ে থাকে। যদি আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন হতে ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসে তাহলে আপনার ইনকামের পরিমাণও ভালো হবে।
এই ওয়েবসাইট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং আর্নিং উভয় বাড়িয়ে নিতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে প্রথমেই এই ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য প্রদান করে সাইনা আপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
এরপর এই ওয়েবসাইটের কর্তৃপক্ষ আপনার ওয়েবসাইটকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন প্রদান করবে। একবার অনুমোদন হয়ে গেলে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কনটেন্ট-এর মধ্যে বিজ্ঞাপন শো করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এরপর আস্তে আস্তে যখন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে তখন আপনি পেপাল, পাইওনিয়র ও অন্যান্য মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা নিতে পারবেন।
Freecash.com অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট
Freecash.com অনলাইনে টাকা ইনকামের ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে অনেক সময় পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকে, যা আপনাকে টাকা ইনকামের ক্ষেত্রে আরো উৎসাহিত করবে। এই সাইটটি মূলত অফারওয়াল, সার্ভে এবং অন্যান্য মাইক্রো টাক্স সম্পন্ন করার মাধ্যমে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।
পরে সেই পয়েন্ট নগদ অর্থ অথবা বিভিন্ন অনলাইন কার্ড বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে
রূপান্তরিত করতে পারবেন। আপনি ইচ্ছা করলে আপনার হাতের স্মার্টফোনটি দিয়ে
অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য
কাজ করার প্রথমেই আপনাকে এই ওয়েবসাইটে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
অ্যাকাউন্ট খোলার পরে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাপ ডাউনলোড করা, গেম খেলা, সাবস্ক্রিপশন নেওয়া বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সাইন আপ করা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সার্ভে সম্পন্ন করে আপনি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। কিছু কিছু মাইক্রো-টাক্স দেওয়া হয় যেমন -ভিডিও দেখা, অ্যাড ক্লিক করা এবং ছোট ছোট কাজ যা অল্প সময়ে সহজে করা সম্ভব।
এছাড়াও আপনি আপনার রেফারেল নাম্বার ব্যবহার করে নতুন নতুন ইউজারকে ওয়েব সাইটে
সাথে সংযুক্ত করে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে আপনার অ্যাকাউন্টে
পর্যাপ্ততা পয়েন্ট জমা হলে আপনি এগুলো নগদ অর্থে (PayPal, Skrill, Bitcoin,
Ethereum ইত্যাদির মাধ্যমে), গিফট কার্ডে (Amazon, Google Play, Steam ইত্যাদি)
বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করতে পারবেন।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার খুব বেশি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। যদি আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের সাধারণ দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য 2captcha.com-এর ব্যবহার
অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য 2captcha.com-এর ব্যবহার করতে পারেন। এই সাইটে আপনি ক্যাপচা টাইপিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এ কাজটি সাধারণত ডাটা এন্টি কাজের মতো, যেখানে আপনাকে বিভিন্ন ক্যাপচা কোড দেখতে হবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে টাইপ করতে হবে।
এজন্য প্রথমে আপনাকে এই সাইটে একটি ফ্রি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার
পরে সাইট হতে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপচা দেওয়া হবে, সেগুলো হতে পারে
Text captcha, Recaptcha/Image captcha ইত্যাদি, যা দেখে আপনাকে সঠিকভাবে
টাইপ করতে হবে। প্রতিটি ক্যাপচা সমাধানের জন্য আপনাকে খুবই অল্প পরিমাণ
($0.001 থেকে $01.005) টাকা দেওয়া হবে।
এই টাকার পরিমাণ খুব অল্প হলেও আপনি যদি নিয়মিত এবং দ্রুত কাজ করতে পারেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার রেফারেল নাম্বার দিয়ে নতুন ইউজারকে সাইটে লগইন করিয়ে নিজেকে রেফারেল প্রোগ্রামের অন্তর্গত করে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে একটি বিষয় খুব ভালো বলতে হয়, যখন আপনার একাউন্টে সর্বনিম্ন ০.৫ থেকে ১ ডলার থাকলেই তখন আপনি পেপাল, পায়োনিয়ার এবং অন্যান্য পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। যাদের হাতে অবসর সময় অনেক থাকে এবং কোন দক্ষতা নাই তারা এই সাইটের মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
আপনি যদি আপনার সময় এবং দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চান এবং স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে আগ্রহী হন তাহলে এই পোস্টে যেসব ওয়েবসাইটের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে আপনার কাছে সহজ যেটি মনে হয়, সেটিকে বেছে নিয়ে খুব সহজেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে সহজ বলতে এবারে যে সহজ তা নয়, নিজেকে সফল করতে হলে নির্দিষ্ট কাজের জন্য
সক্রিয় হওয়া, অবগত থাকা এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।
যেহেতু অনলাইনের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা স্বাধীনতা রয়েছে সেহেতু
আপনি আপনার ইনকামের চাহিদা অনুযায়ী পার্ট টাইম বা ফুলটাইম কাজ করে ক্যারিয়ার
গড়তে পারেন।
তবে প্রথম দিকে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট যেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছেন সেখানে প্রচুর সময় দিতে হয় এবং ধৈর্যধারণ করতে হবে, কারণ সফলতা অতি সহজে আসে না। আর যদি সেটি অতি সহজে আসে তবে তা অতি সহজেই চলে যায়। এজন্যই অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হতে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রচুর ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
অনেকেরই দেখা গেছে প্রথম দিকে অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকামের পরিমাণ খুবই কম হয়, যে কারণে তারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। কিন্তু ধৈর্য সহকারে আরো বেশি সময় দিলে আস্তে আস্তে অবশ্যই সফলতার মুখ দেখতে পাবে। আজ এ পর্যন্তই ভবিষ্যতে এই পোস্টে কোন আপডেট অথবা নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, ধৈর্য ধারণ করে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রথম
সময় দিবেন। আশা করি সকল হবেন, সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ.........
অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url