OrdinaryITPostAd

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সুরক্ষিত উপায়-রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যম

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সুরক্ষিত উপায় বা রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যম সম্পর্কে সকল প্রবাসীকে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আমার এই পোস্টটির মাধ্যমে সহজেই এসব বিষয় নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

ছবি-১

প্রবাসীরা একটি দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেক্ষেত্রে আপনি হয়তো বিদেশে যেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে চিন্তায় পড়ে গেছেন, যে কিভাবে মুদ্রাটি দেশে পাঠাবেন।  আমার এই পোস্টটি যদি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়েন তাহলে আমার বিশ্বাস আপন চিন্তামুক্ত হবেন।

এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যম বা সহজ উপায়

রেমিটেন্স বলতে কি বুঝায়

রেমিটেন্স বলতে কি বুঝায় তা আপনাদেরকে প্রথমেই জানা দরকার। সাধারণত বিদেশ থেকে বা প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থকেই রেমিটেন্স বলা হয়। ইহা প্রবাসে কর্মরত ব্যক্তিরা তাদের পারিবারিক ও প্রিয়জনদের কাছে পাঠানো অর্থ যা দ্বারা বিদেশে বসে উপার্জন করে। এটি যে শুধু বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিরাই পাঠায় তা নয়।

রেমিটেন্স আয়ের আরো একটি উল্লেখযোগ্য উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। বাংলাদেশে শ্রমিক মজুরি কম থাকায় এই পোশাক শ্রমিকের মাধ্যমে পোশাকগুলো তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হয় হয়। যার ফলে দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স আয় করে থাকে। এই উপার্জিত অর্থ দেশের রেমিটেন্স খাতকে আরও শক্তিশালী করে।

কিন্তু বর্তমানে এই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে তাদের নিজেদের জ্ঞান ও স্কিলের মাধ্যমে উপার্জন করছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। যা একদিকে যেমন বেকার সমস্যা সমাধানে সহায়তা করছে অপরদিকে দেশ অর্জন করছে প্রচুর পরিমাণে রেমিটেন্স। এভাবেই প্রতিনিয়ত দেশের রেমিটেন্স খাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর বিশ্বস্ত ও সহজ মাধ্যম

বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর বিশ্বস্ত ও সহজ অনেক মাধ্যম রয়েছে। এই রেমিটেন্স যোদ্ধাদের বিশাল অংশই প্রচন্ড পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেন। এই কষ্টার্জিত টাকা দেশে পাঠানোর জন্য তারা বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন। আগে এই মাধ্যমগুলোতে প্রচুর জটিলতা  থাকলেও এখন ধীরে ধীরে তা সহজ হতে শুরু করেছে। 

বিশ্বের বড় বড় শহরগুলো থেকে ডলার ও পাউন্ড এখন খুব সহজেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌছে যাচ্ছে বাংলাদেশি টাকা হয়ে। টাকা প্রাপ্তির এই সহজলভ্যতা সৃষ্টি করছে কাজের সুযোগ। এরফলে গ্রামগঞ্জ ও মফস্বলের মানুষেরাও অংশ নিতে পারছে বিশ্ব মানের কাজগুলোতে সাথে সাথে নিজারও হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী।

পূর্বের পরিষেবাগুলোর পাশাপাশি প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন অনেক সেবা। এই সেবাগুলোর ব্যবহার করে অনায়াসে দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর কয়েকটি জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত মাধ্যম-

বিকাশঃ বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যম হচ্ছে বিকাশ। ব্র্যাক ব্যাংকের এই সহায়ক প্রতিষ্ঠানটি বিদেশ থেকে আসা গ্রাহকদের টাকাগুলো তাদের হাতের মতই এনে দিতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিকে প্রথমে সে দেশের বিকাশের অনুমোদিত তালিকাভুক্ত ব্যাংকের শাখা বা এজেন্টের নিকট যেতে হবে।

বিকাশের মাধ্যমে বিদেশ থেকে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো যায়। আর প্রতিমাসে সর্বমোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যায়। এই অর্থ প্রদানে বিকাশকে কোন প্রকার বাড়তি মূল্য দিতে হয় না। তবে সেই ব্যক্তিটির বাংলাদেশে পরিজনদের সেই টাকা ক্যাশ আউট করতে বিকাশের নির্ধারিত খরচটি দিতে হয়।

ওয়াইজঃ এর মাধ্যমটি নতুন হলেও সম্পূর্ণ ঝামেলা মুক্ত নিরবিচ্ছিন্ন টাকা ট্রান্সফার ব্যবস্থা্ই হচ্ছে ওয়াইজ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের অর্থ স্থানান্তরের জন্য ওয়াইজ হচ্ছে সবথেকে সহজ মাধ্যম এবং খুব জনপ্রিয় মাধ্যম। এটা খুবই আশ্চর্যজনক বিষয় যে, এই প্রুতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে আর বর্তমান প্রায় এর গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২০ মিলিয়নেরও বেশি। 

বর্তমান সময়ের বহুল ব্যবহৃত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় বলে এই মাধ্যমটির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্যের মাধ্যমে এর অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। যে কোন মুদ্রা বিনিময়ের সময় খুব অল্প পরিমাণে চার্জ কাটে, যার জন্য বিদেশীদের কাছে এই মাধ্যমটি প্রথম পছন্দ।

ছবি-২

কোন ব্যান্ড বা এজেন্টের সাহায্য ছাড়াই লেনদেন করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে আপনার হাতের মোবাইল ফোনটাই সকল লেনদেনের দায়িত্ব নেবে এবং দেশে প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠাবে। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার আপনার এক টাকার পরিবর্তে ২.৫% হারে আপনাকে রেমিটেন্স প্রদান করবে।

ট্যপট্যাপ সেন্ডঃ এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি অতিরিক্ত ফি প্রদানের ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে পারেন। এটি আমেরিকার ফিনান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত হলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের কার্যক্রম ২০১৯ সালে শুরু হয়। এই মাধ্যমটি সেরা মুদ্রা বিনিময় হার প্রদান করে প্রদান করে, যা গ্রাহকদের সবথেকে পছন্দ।

বিকাশসহ বাংলাদেশের স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব করে তুলেছে ট্যাপট্যাপ। এর মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মানি  স্যান্ড করলে বিশেষ বোনাসও পাওয়া যায়। প্রথম অ্যাকাউন্ট খুলে নির্দিষ্ট প্রোমো কোড ব্যবহার করে ফান্ড পাঠালেই এই বোনাস পাওয়া যায়।

স্ক্রিলঃ এটি সাধারণত জুমের মত একটি মাধ্যম যাকে পেপালের বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অর্থ উত্তোলন করার জন্য এই মাধ্যমটি চাওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মতো দেশ যেসব দেশে পেপালের সুবিধা থাকেনা সেসব দেশে এই মাধ্যমটি ব্যবহার করার সুবিধাজনক।

এর টাকা ট্রান্সফার ফি খুব কম যা অন্যদের থেকে আলাদা করে। এর সাথে সাথে সুরক্ষার দিক দিয়ে যথেষ্ট নিশ্চয়তা প্রদান করে। সাধারণ পেমেন্ট গেটওয়ের মত এটিরও মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে টাকা পাঠাতে অ্যাকাউন্টটি ব্যবসায়িক হতে হবে। সাধারণত কোন ফি কাটে না তবে গ্লোবাল পেমেন্ট ক্ষেত্রে টাকা প্রদানপূর্বক ফি ১.২৫% পর্যন্ত কাটতে পারে।

মানিগ্রামঃ বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠানোর এই মাধ্যমটিতে তিন লক্ষাধিকের বেশি এজেন্ট রয়েছে। পুরনো প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অধিকাংশ প্রবাসীদের এই মাধ্যমটির উপর আস্থা রয়েছে। এটি সাধারণত ব্যাংক ও মোবাইল ওয়ালেট এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ডিজিটাল মুদ্রা মানিগ্রাম করা হয়।

অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য গ্রাহকের কাগজপত্র এবং সেই দেশের মুদ্রার নির্দিষ্ট অর্থ নিয়ে মানিগ্রাম এজেন্ট এর কাছে যেতে হবে। মানিকগ্রাম এর ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড হলে প্রতি ১০০০ ইউএসডিতে ব্যাংক চার্জ ৩২.৯৯ ইউএসডি এবং ডেবিট কার্ড হলে ১.৯৯ ইউএসডি কাটবে। 

রেমিটলিঃ সবচেয়ে কম চার্জে দেশের টাকা পৌঁছানোর সেরা মাধ্যমের একটি। বিশ্বের অনেক দেশে এই মাধ্যমটি ব্যবহার করার ফলে বাংলাদেশেও এর অনুমোদন রয়েছে। এই মাধ্যমটি কতগুলো দেশে ব্যবহার করা হয় তা নিম্নে দেওয়া রয়েছে। এর মাধ্যমটির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চার্জ নেয় ২.৯৯ ডলার।

এই মাধ্যমটির মাধ্যমে ফান্ড ট্রান্সফার দুটি উপায় ব্যবহার করা হয় সেগুলো হল- এক্সপ্রেস এবং ইকোনমি। এক্সপ্রেস উপায়ে টাকা পাঠালে দ্রুত পৌঁছে যায় এবং ইকোনমি উপায়ে পাঠালে কিছুটা সময় লাগতেও পারে। অনেক সময় ইকোনোমি উপায়ে অল্প সময়ে ট্রান্সফার হয়ে হয়ে থাকে।

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নঃ ফান্ড ট্রান্সফারের পুরাতুন পরিসেবাগুলোর মধ্যে এই উপায়টি দারুন জনপ্রিয়। এখন মোবাইল অ্যাপ থাকায় বিদেশ হতে পাঠানো টাকার প্রক্রিয়াধীনন সময় কম লাগে। সেজন্য দেশের অধিকাংশ ব্যাংকগুলো এই উপয়ের মাধ্যমে তাদের এক্সচেঞ্জ সুবিধা প্রদান করে থাকে।

এর সিকিউরিটির জন্য যাকে টাকা দেওয়া হয় তাকে যথাযথ তথ্য প্রদান করতে হয় নির্দিষ্ট লোকেশন থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য। টাকা প্রদানের জন্য এজেন্ট-এর কাছে যেয়ে বা ব্যবহারকরি নিজেই মুদ্রা টাকায় রূপান্তর করে দেশে তার পরিজনদের নিকট পাঠাতে পারেন।

জুমঃ পেপাল মানি ট্রান্সফার গেটওয়ের বিকল্প হিসেবে এই উপায়কে বিবেচনা করা হয়। এটিও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর বেশ জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য একটি উপায়। খুব দ্রুততার সহিত লেনদেন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে এর ওয়েবসাইটে আপনার একটি অ্যাকউন্ট থাকতে হবে, যার একটি ড্যাশবোর্ড রয়েছে এবং সেখানে আপনাকে নিয়মিত হতে হবে, যা খুবই সহজ।

এই প্রক্রিয়ায় বিদেশ থেকে টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে ৯৯৯ ডলারের জন্য ৫.৯ ডলার ফি প্রদান করতে হয় এবং এর উপরে পাঠালে ট্রান্সফার চার্জ ৯.৯৯ ডলার হিসেবে কর্তন করা হয়।

রেমিটেন্স পাঠানো দেশ ও তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ

বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো দেশ ও তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের সুবিধাজনক ভাবে টাকা পাঠানোর সুযোগ প্রদান করে। নিম্নে প্রদর্শিত তালিকা নিয়মিত আপডেট হতে পারে, তাই সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার সুবিধাজনক। এখানে কিছু সাধারন তালিকাভুক্ত দেশ ও তাদের ব্যাংক সমূহ উল্লেখ করা হলো-

Country Name MTO Name
Australia Aussie Forex, Mycash Online, RIA, TransCash International, Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc, ACE Money Transfer
Austria RIA, Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc
Bahrain BFC Bank Ltd., RIA
Belgium RIA, Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc
Botswana Remitix Ltd
Brazil Wise
Brunei KHRS Brunei
Bulgaria Wise, WorldRemit Ltd.
Canada Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc, ACE Money Transfer, WorldRemit Ltd., Remit Choice, Remitbee, Taptap Send Ltd., Moneygram
China Payermax, Panda Remit, Wise
Croatia Wise, WorldRemit Ltd.
Cyprus Wise, RIA, WorldRemit Ltd.
Czech Repulic Wise, WorldRemit Ltd.
Denmark Wise, Remitly Inc, RIA, WorldRemit Ltd.
Estonia Wise, WorldRemit Ltd.
Finland Wise, Remitly Inc, WorldRemit Ltd., RIA
France Wise, Remitly Inc, WorldRemit Ltd., RIA
Germany Wise, Remitly Inc, WorldRemit Ltd., RIA
Greece RIA, Wise
Guernsey Wise
Hong Kong Wise, WorldRemit Ltd.
Hungary Wise, WorldRemit Ltd.
Iceland WorldRemit Ltd.
Indonesia Wise
Ireland Remitly Inc, RIA, Wise, WorldRemit Ltd.
Italy RIA, Remitly Inc, National Exchange, Wise, WorldRemit Ltd., Placid Express, NEC Money
Japan Japan Remit, N and P Co Ltd., Queen Bee, Wise, WorldRemit Ltd.
Jersey Wise
Kosovo Wise
Kuwait Al Mulla, Al Muzaini Exchange Co., Aman Exchange, ARY Exchange Company, Joyalukkas, Kuwait Bahrain International Exchange, Trans-Fast
Latvia Wise
Lithuania Wise, WorldRemit Ltd.
Luxembourg Wise, RIA
Malawi Remitix Limited
Malaysia RIA, Wise, WorldRemit Ltd., CBL Money Transfer Sdn. Bhd, Mycash Online, Mobilemoney Ripple, Merchantrade, Al Jadeed Exchange, Global Money Exchange Co. L.L.C, NBL Money Transfer, Aman Exchange Co. WLL, PLC, Placid Express, Touch'n Go
Maldives NBL Money Transfer Maldives, Commercial Bank of Maldives
Malta Wise, WorldRemit Ltd.
Netherlands Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc, RIA
New Zealand Wise, WorldRemit Ltd.
Northern Mariana Islands Wise
Norway Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc, RIA
Oman Al Jadeed Exchange, Bank Muscat, Global Money Exchange Co. L.L.C, Hamdan Exchange, Mustafa Sultan Exch., Jayalukkas, Purshottam Kanji Exchange, Unimoni Exchange, Oman International Exchange, Gulf Exchange Oman
Palau Wise
Philipines Wise
Poland WorldRemit Ltd., Moneygram
Portugal Wise, WorldRemit Ltd., RIA
Puerto Rico Wise
Qatar Gulf Exchange, Doha Exchange, Commercial Bank of Qatar
Romania Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc
Saudi Arab The Saudi British Bank, STC Pay, URpay, Mobile Pay
Singapore Agrani Exchange, DBS Bank Ltd., NBL Singapore, Nium, Prime Exchange Co. Pte Ltd., SG QuickPay Pte Ltd.
Slovakia Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc
Slovenia Wise, WorldRemit Ltd.
South Africa E9Pay Co. Ltd., GME Remittance Bangladesh, Gmoney Trans Co Ltd., Hanpass Co Ltd.
Spain Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc, Remit Choice, NEC Money by NCC, Taptap Send limited, Moneygram
Sweden Wise, WorldRemit Ltd., Remitly Inc, Remit Choice
Switzerland Wise, WorldRemit Ltd., RIA, ACE Money Transfer
Thailand Wise Wise
Turkey Wise
Ukrain Wise
UAE Al Ahalia Exchange, Al Ansari, Al Dahab Exchange, Al Fardan Exchange, Al Rostamani, GCC Remit Index Exchange, RIA, Wise, Worldwide CE
UK Sonali Bank Foreign Remittance, Remitly Inc, Wise, WorldRemit Ltd., NEC Money, Remit Choice, KMB, Taptap Send Ltd., NEC Mondy, Moneygram, Brac Sajan, ACE Money Transfer
USA Remitly Inc, Wise, WorldRemit Ltd., Sunman Global, Prabhu Inc, Sonali Bank Foreign Remittance, Placid Express, Taptap Send Ltd., PlacidExpress, NEC Money, Moneygram
Zambia Remitix Ltd.


বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলা এখন অনেক সহজ। প্রথমে, আপনার েএকটি স্মার্টফোন এবং বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) প্রয়োজন হবে। বিকাশ অ্যাপটি প্লেস্টোর হতে ডাউনলোড করে নিন এবং অ্যপটি ওপেন করুন। লগইন বা রেজিষ্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে আপনি যে দেশের অবস্থান করছেন সেই দেশ সিলেক্ট করুন এবং সেই দেশের মোবইল নম্বরটি দিন। আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড (OTP) যাবে, যা লিখে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।

এরপর আপনার পাসপোর্টের বিদেশে আগমনের স্ট্যাম্পের সাইজের ছবি আপলোড করুন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনের ও পেছনের অংশের ছবি তুলুন। সব তথ্য ঠিক থাকলে, পরবির্ত ধাপে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য দিন এবং ৫ ডিজিটের পিনন (PIN) সেট করুন। আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ শেষ।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম খুবই সহজ ও নিরাপদ। তবে প্রতিটি রেমিটেন্স প্রোভাইডারের জন্য নিয়ম ও প্রক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, সেজন্য সুনির্দিষ্ট প্রোভাইডারের গাইডলাইন অনুসরণ করায় শ্রেয়। এখন আসুন ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি জেনে নেই-

তালিকাভুক্ত রেমিটেন্স প্রোভাইডার নির্বাচনঃ প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সেই দেশ থেকে বিকাশ টাকা পাঠানোর জন্য কোন রেমিটেন্স প্রোভাইডার (Western Union, Xoom, Ria, Transfast ইত্যাদি) তালিকাভুক্ত রয়েছে কিনা।

রেমিট্যান্স প্রোভাইডারের মাধ্যমে লেনদেনঃ এরপর আপনাকে সেই দেশের তালিকাভুক্ত রেমিটেন্স প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এই প্রোভাইডারের মাধ্যমে বিকাশে সরাসরি টাকা পাঠানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে প্রোভাইডারের অ্যাপস, ওয়েবসাইট বা স্থানে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠানো সম্ভব।

প্রাপকের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার প্রদানঃ আপনাকে প্রাপকের সঠিক বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে হবে। এই বিকাশ নাম্বার এর সাথে সংশ্লিষ্ট নাম সঠিকভাবে মিল থাকা গুরুত্বপূর্ণ, যা লেনদেনকে পূর্ণতা প্রদান করে।

প্রেরণের ও প্রাপ্তির প্রক্রিয়াঃ আপনি টাকা প্রেরণের পর প্রাপকের বিকাশ একাউন্টে টাকা জমা হবে। সাধারণত এটি কয়েক মিনিট থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন হয়। প্রাপক তার বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন অথবা যেকোনো বিকাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।

টাকা প্রাপ্তির নোটিফিকেশনঃ প্রাপক টাকা পাওয়ার সাথে সাথে একটি এসএমএস নোটিফিকেশন পাবেন। যেখানে লেনদেনের বিস্তারিত বর্ণনা উল্লেখ থাকবে।

লেনদেনের সীমাঃ বিকাশে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি লেনদেনর সীমা থাকতে পারে যা মাসিক বা দৈনিক ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। এই বিষয়টি আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তবে এই সীমা প্রাপকের একাউন্টের ধরন ও স্থানীয় নিয়ম অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। এর মধ্যে রয়েছে প্রেরকের দেশ, প্রেরণের মাধ্যম এবং প্রেরণের পরিমাণের উপর। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পরে প্রিয়জন দেশে এটিএম থেকে সেই টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন হাজারে ৭ টাকা হারে চার্জ প্রদান করে। সাধারণত টাকা পাঠানোর খরচের দুটি অংশ থাকে। নিম্নে দুটি অংশ দেওয়া হলো-

রেমিটেন্স ফিঃ এটি হলো সেই ফি যা বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য প্রেরককে দিতে হয় ওই দেশেই। এটি সাধারণত প্রেরণের পরিমানের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হিসেবে ধরা হয়। এই ফি প্রেরণের মাধ্যমের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে যা আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

এক্সচেঞ্জ রেট মার্জিনঃ টাকা পাঠানোর সময় মুদ্রা পরিবর্তনের জন্য যে হার ব্যবহৃত হয়, সেখানে সাধারণত একটি মার্জিন থাকে। এটি হলো প্রকৃত বাজার মূল্যের চেয়ে কিছুটা কম রেটে দেওয়া হয়, যা প্রক্রিয়াটির খরচের অংশ হিসেবে ধরা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা এখন প্রিয়জনের বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত, যা যত খুশি ততবার ইচ্ছা। এছাড়াও বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো রেমিটেন্স এর উপর ২.৫% হারে সরকারি প্রণোদনা তা আপনি পাচ্ছেনই।

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কত দিন সময় লাগে

বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা আসতে কত দিন সময় লাগে তা জানলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন। এই টাকা আসছে সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে ২৪ ঘন্টার মত সময় লাগে। তবে এই সময়টি প্রেরকের অবস্থান, প্রেরনের মাধ্যম এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়ের উপর নির্ভর করে, যা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক ছুটির দিন অথবা অন্যান্য প্রযুক্তিগত কারণে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে, তবে সাধারণত এটি বর্তমানে খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়। যেহেতু বাংলাদেশের গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত সবস্থানেই অসংখ্য বিকাশ এজেন্ট রয়েছে সেহেতু প্রেরক টাকা পাঠানোর সাথে সাথেই প্রাপক তার বিকাশ একাউন্টে টাকা পেয়ে যান।

এই সময় কম লাগার কারণে দেশের বিভিন্নস্থানের মানুষের বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ফলে দেশের মানুষ যেমন তাদের স্বজনদের পাঠানো অর্থ খুব দ্রুত পেয়ে নিজের উন্নতি করছে সাথে সাথে দেশও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি সাধন করছে।

হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স না পাঠানোর কারণ

হুন্ডির মাধ্যমে রেমিটেন্স না পাঠানোর কারণ প্রধান কারণ দুইটি একটি হলো অবৈধতা এবং অন্যটি হলো ঝুঁকিপূর্ণ। হুন্ডি ব্যবস্থাটির কোন বৈধ বা সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। এর মাধ্যমে টাকা পাঠালে এতে কোন প্রমাণ বা রেকর্ড থাকে না যা প্রেরক ও প্রাপকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। এছাড়া আরো যেসব কারণ রয়েছে তা নিম্নে দেওয়া হলো-

  • আর্থিক ব্যবস্থাপনার অভাবঃ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ নেই তাই অর্থের সঠিক ব্যবহারে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • মুদ্রা মানের ভিন্নতাঃ হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকার মুদ্রা মানের পার্থক্য হতে পারে হলে প্রাপক কম টাকা পেতে পারে।
  • গোপনীয়তার অভাবঃ হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে গোপনীয়তার নিশ্চয়তা থাকে না, কারণ এটি কোন বৈধ প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার আয়তায় পড়ে না। এজন্য মাধ্যমটি জানাজানির সম্ভাব্যতা বেশি থাকে।
  • অর্থপাচারের ঝুঁকিঃ হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোতে অর্থপাচারের ঝুঁকি থাকে, যে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।

রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ

রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে। আপনারা আগেই জেনেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশ না বিশ্বের যে কোন দেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্স ভূমিকা রেখে থাকে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে, যা দেশের দারিদ্র্যের হার কমায় এবং দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করে। 

রেমিটেন্সের এই প্রবাহ বা পাঠানোর হার বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন আসুন জেনে নেই উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদক্ষেপ-

  • প্রণোদনা প্রদানঃ দেশের সব সেক্টরেই রেমিটেন্স পাঠানোকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ২.৫% রেমিটেন্স বোনাস দেওয়া হচ্ছে।
  • খরচ কমানোঃ রেমিটেন্স পাঠানোর খরচ কমানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেল এবং মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে এসব আধুনিক সুবিধাগুলো পাবেন।
  • হুন্ডি ব্যবস্থা বন্ধঃ হুন্ডি ব্যবস্থার মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত হয়। এই হুন্ডি ব্যবস্থা বন্ধ করার জন্য সরকার বিভিন্ন আইন ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
  • বৈধ চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করাঃ দেশের সরকার প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করছে। বৈধ চ্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীরা যেমন তাদের অর্থের উপর বেশি নিয়ন্ত্রণ পায় সেহেতু সময়ও কম লাগে।
  • দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধিঃ বিদেশ হতে রেমিটেন্স আসার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে জনশক্তি। তাই এই জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দক্ষ জনশক্তি বিদেশে চাহিদা বেশি এবং তাদের দ্বারা আয় বেশি করা সম্ভব।
  • প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধিঃ সরকার প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রবাসীদের জন্য ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম এবং প্রবাসীদের জন্য নিয়মিত মিটিং ও কর্মশালার ব্যবস্থা করে সবাইকে একত্র করা।
  • অবকাঠামো উন্নয়নঃ সরকার দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। অবকাঠামো উন্নয়ন হলে প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে, যা রেমিটেন্স আয়ের একটি উৎস হতে পারে।

রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যম সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যম বা বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ মাধ্যমগুলোর যেকোনো একটিকে আপনাকে অবশ্যই বেছে নিতে হবে। যেটা হবে বৈধ পথে, যা দেশকে, জাতিকে সর্বোপরি নিজেকে উন্নয়নের সহায়তা করবে। দেশে থাকা প্রবাসীদের পরিবার-পরিজনরা বিভিন্ন কাজে কর্মরত প্রবাসীদের উপর নির্ভর করে থাকে।

এই পোস্টে আমি চেষ্টা করেছি রেমিট্যান্স পাঠানোর বিভিন্ন মাধ্যম বা উপায় সম্পর্কে। আমি আশাকরি এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি বিদেশে অবস্থান করেন তাহলে কোন কোন উপায়ে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো যায় সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বিশ্বে টাকা পাঠানোর অসংখ্য মাধ্যম বা উপায় রয়েছে। আপনি যে দেশে থাকেন সে দেশে কোন মাধ্যমটি বেশি জনপ্রিয় সেটি আপনাকে প্রথমেই দেখতে হবে।

ছবি-৩

এরপর আমাদের দেশে কোনটি সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম সেটাও আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। এরপরেই আপনি টাকা পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে আমাদের দেশে সবথেকে বহুল প্রচলিত বিকাশ বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই আমার মতে, প্রাপকের ক্ষেত্রে বিকাশকেই বেছে নেওয়া উত্তম।


ভবিষ্যতে আপনাদের মাঝে আরো অন্য কোন পোস্ট অথবা এই পোস্টের বিস্তারিত নিয়ে উপস্থিত হবো। আজ এই পর্যন্তই। সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে........

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url