মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় অতি সহজে চিরতরে
অতি সহজে চিরতরে মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আমার এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়বেন তাহলে আপনি অপানার অজানা তথ্যটির সাথে সথে আরো অনেক কিছু জেনে যাবেন।
প্রত্যেক মেয়েদের এবং ছেলেদের স্বপ্ন থাকে যে তাদের চেহারা যেন সুন্দর হয়। কিন্তু সুন্দর চেহারার জন্য প্রয়োজন সুন্দর ত্বকের। মুখে যদি কালো দাগ বা ব্রণ থাকে তবে তা কারোরই ভালো লাগেনা। মুখে ব্রণ হওয়া একটি সাধারন সমস্যা। যা খুব সহজেই আপনারা দূর করতে পারবেন।
এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ ছেলেদের ও মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
- মুখে ব্রণের পরিচিতি
- মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ
- মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
- ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
- মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
- ৭ দিনে মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
- তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
- ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
- লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
- মেয়েদের ব্রণ দূর করার ওষুধের নাম
- মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম
- ব্রণের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো
- সহজেই মুখে ব্রণ দূর করার উপায় নিয়ে লেখকের মন্তব্য
মুখে ব্রণের পরিচিতি
মুখে ব্রণ দূর করতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে ব্রণ কি। সেবাসিয়াস গ্রন্থি সেবাম নামে একপ্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে। কোনো কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালীর মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে ওঠে যা ব্রণ বা Acne নামে পরিচিত। ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়।
বন্ধ নালীর মুখে জমাকৃত কোষগুলো আস্তে আস্তে কালো হয়ে গেলে তাকে কালো ফোটা বলে। প্রায়ই প্রাণের চারপাশে প্রদাহ শুরু হয় এবং রং লাল দেখায়। এর উপর জীবাণু সংক্রমণ ঘটলে পুঁজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভীর হতে পারে। এজন্য ব্রণের সংক্রমণ ছেড়ে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে।
মুখে ব্রণ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। তবে এটি সাধারণত কিশোর এবং যুবকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ব্রণের কারণে ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি, পুঁজপূর্ণ দানা এবং কালো বা সাদা হেড থাকে। এটি সাধারণত মুখে, কপালে, বুকে, পিঠে, কাঁধে এবং মাথায় হতে পারে।
মুখে ব্রণ হওয়ার কারণ
মুখে ব্রণ হওয়ার কারণগুলো সাধারণত ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থির অতিরিক্ত তেল উৎপাদন, লোমকূপের মধ্যে ময়লা ও মৃত ত্বক জমা হওয়ার ফলে হয়। তবে মনে রাখতে হবে এটি একটি সাধারণ সমস্যা হলেও সঠিক যত্ন ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। নিম্নে মুখে ব্রণ হওয়ার কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো-
- হরমোনের পরিবর্তনঃ কিশোর ও যুবকদের মধ্যে হরমোন পরিবর্তনের কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থি অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে, যা লোমকূপ বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ সৃষ্টি করে। মেয়েদের মধ্যে মাসিক চক্র, গর্ভাবস্থা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পীল ব্যবহারের ফলে হরমোন পরিবর্তন হতে পারে যা ব্রণের কারণ হিসেবে ধরা হয়।
- বেপরোয়া খাদ্যাভাস ও নিদ্রাহীনতাঃ ত্বকের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ বলে বিবেচনা করা হয় পানি কম খাওয়ার বদভ্যাসকে। এছাড়া তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া অস্বাস্থ্যকর খাবার, সকালের খাবার দুপুরে আর দুপুরের খাবার না খেয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বদভ্যাসও দায়ী। রাত জেগে থাকলে এর সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
- প্রসাধনী ও ত্বক পরিচর্যা পণ্যঃ কিছু প্রসাধনী ও স্কিন কেয়ার পণ্য লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যা ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। নন-কমেডোজেনিক পন্য ব্যবহার করা উচিত।
- তৈলাক্ত ত্বকঃ ত্বকে তৈলাক্তভাব থাকলে ত্বক আঠালো থাকে এবং বেশি তেল উৎপাদন হওয়ার কারণে ধুলাবালি সহজেই এই তেলের সংস্পর্শে এসে আটকে যায় এবং লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণ সৃষ্টি করে। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- মানসিক চাপঃ স্ট্রেস বা মানসিক চাপ ত্বকের অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে এবং ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- অপরিষ্কার মেকআপ ব্রাশের পুণঃ ব্যবহারঃ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আপনারা মেকআপ শেষে কিংবা প্রোগ্রাম শেষে বাসায় ফিরে মেকআপ ব্রাশ গুছিয়ে রাখার আগে সেগুলো সেনেটাইজ এবং পরিষ্কার করেন না। পরবর্তীতে আবার সেই একই ব্রাশ ব্যবহার করে মেকআপ করেন। ফলে পূর্বের মেকআপের কণাগুলো মারাত্মকভাবে ত্বকে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- ঔষধঃ কিছু ধরনের ওষুধ আছে যেমন স্টেরয়েড, লিথিয়াম এবং এন্ড্রোজেন-সমৃদ্ধ ঔষধ ব্রণের কারণ হতে পারে।
- অতিরিক্ত ধুলাবালির সংক্রমণঃ বর্তমান বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এবং সেই ধুলাবালির সাথে মিশ্রিত রোগজীবাণু সহজেই এপিডাার্মিসে অনুপ্রবেশ করে স্বাভাবিক কার্যকলাপ ব্যাহত করে ব্রণ সৃষ্টি করে।
- অযত্ন ও অবহেলাঃ প্রায় দেখা গেছে আপনারা বাস্তবতার কারণে প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন তো দূরে থাক সপ্তাহে একদিনও ত্বকের যত্ন নেওয়া সময় পান না। অযত্ন আর অবহেলার ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক এবং নির্জীব হয়ে যায়। তখনই ব্রণের জীবাণু আক্রমণ করে যার মূল কারণ সময়মতো ত্বকের অযত্ন ও অবহেলা।
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
মুখে ব্রণ হলে কিছু নির্দিষ্ট পণ্য এবং উপাদান ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ ও লালচেভাব দূর করে। বেঞ্জয়েল পেরোক্সাইড একটি কার্যকর উপাদান যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের লালচে ভাব কমায়। সালিসিলিক এসিড ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে লোমকূপ পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণের ফুসকুড়ি এবং ব্ল্যাকহেডস দূর করে।
রেটিনয়েডস ভিটামিন এ এর ডেরিভেটিভ যা ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ব্রণের ফুসকুড়ি ও ব্ল্যাকহেডস কমাতে সহায়ক। প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে টি ট্রি ওয়েল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে, হালকা ব্রণ দূর করতে সাহায্য কর, তবে এটি সরাসরি প্রয়োগ না করে ক্যারিয়ার ওয়ালের সাথে মিশে ব্যবহার করা উচিত।
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ ও লালচে ভাব কমায় এবং ত্বক ঠান্ডা রাখ। হানি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণের দাগ দূর করে। পাশাপাশি ত্বকের যত্নে মাইল্ড ক্লিনজার মুখ পরিষ্কার রাখতে সহায়ক এবং অতিরিক্ত তেল ও ময়না অপসারণ করে, এবং অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ত্বক আর্দ্র রাখে এবং ব্রণ বৃদ্ধি করে না।
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে।, যা নিয়মিত অনুসরণ করলে ব্রণ কমানো এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা সম্ভব। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখলে মুখে ব্রণ দূর করা সম্ভব। নিম্নে ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার কয়েকটি পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো -
- ত্বকের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাঃ প্রতিদিন অন্তত দুইবার মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ অপসারণে সহায়ক। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সালিসিলিক এসিড বা বেঞ্জয়েল পেরোক্সাইড সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- নিয়মিত এক্সফোলিয়েশনঃ সপ্তাহে ২-৩ বার এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব ব্যবহার করে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা উচিত। তবে অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশন করা ঠিক নয়, কারণ এটি ত্বককে শুষ্ক ও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
- টোনার ব্যবহারঃ একটি অ্যালকোহল মুক্ত টোনার ব্যবহার করা যেতে পারে যা ত্বকের পিএইচ স্তর পুনরুদ্ধার করে এবং লোমকূপ সংকুচিত করে।
- ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারঃ অয়েল ফ্রি ও নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত, যা ত্বক আদ্র রাখে কিন্তু লোমকূপ বন্ধ করে না।
- স্পট ট্রিটমেন্টঃ ব্রনের উপর সরাসরি বেঞ্জয়েল পেরোক্সাইড বা সালিসিলিক এসিড সমৃদ্ধ ট্রিটমেন্ট প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি ব্রণ শুকিয়ে দ্রুত কমাতে সহায়ক।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসঃ সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিত, বিশেষ করে শাকসবজি, ফলমূল ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো ব্রণ বৃদ্ধি করতে পারে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ প্রতিদিন পর্যন্ত পানি পান করা উচিত, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
- স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণঃ স্ট্রেস কামাতে ব্যায়াম, মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। পর্যাপ্ত ঘুম নিয়মিত করা গুরুত্বপূর্ণ
- সঠিক সেভিং পদ্ধতিঃ সেভিং করার সময় একটি ভালো মানের রেজার ব্যবহার করা উচিত এবং সেভিং ক্রিম বা জেল প্রয়োগ করা উচিত। সেভ করার পর ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
- প্রসাধনী ব্যবহারের সতর্কতাঃ নন-কমেডোজেনিক এবং ত্বক-বান্ধব প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত মেকআপ পরিহার করা এবং রাতে মেকআপ সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা উচিত।
- চিকিৎসকের পরামর্শঃ যদি ব্রণ খুব বেশি হয় এবং উপরের পদ্ধতি গুলো কাজ না করে, তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। তিনি আপনাকে ত্বকের অবস্থা অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করবেন।
মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য প্রথমে ত্বকের পরিছন্নতা বাজায় রাখা জরুরি। দিনে দুইবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে এবং অতিরিক্ত তেল জমতে না দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে হবে, তবে খুব বেশি স্ক্রাব করা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ব্রণ হলে অ্যান্টি-অ্যাকনে ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন স্যালিসিলিক এসিড বা বেনজয়েল পারক্সােইড যুক্ত প্রোডাক্ট। প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসার জন্য টি ট্রি অয়েল, অ্যালোভেরা জেল বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ শুকাতে সহায়ক। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখতে হবে।
স্ট্রেস কমানো এবং পর্যাপ্ত ঘুমও ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়াও মেয়েরা উপরে বর্ণিত ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার যেসব উপায় দেওয়া আছে সেগুলো অনুসরণ করতে পারে, কারণ ছেলেদের ও মেয়েদের জন্য ব্রণের জীবাণু একই। তবে যদি ব্রণ বেশি হয়ে থাকে এবং ঘরোয়া চিকিৎসা কাজ না করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৭ দিনে মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
৭ দিনে মুখে ব্রণ দূর করার জন্য সঠিক রুটিন অনুসরণ করা জরুরি। প্রতিদিন সকালে ও রাতে মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা উচিত যাতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর হয়। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফলমূল ও শাক সবজি খেতে হবে।
চিনি ও তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে দিনে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে এবং স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করা যেতে পারে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং ব্রণ দ্রুত সেরে উঠতে এই রুটিন সহায়ক হতে পারে তবে যদি ব্রণ গুরুতর হয়, তবে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্ট-এর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণ দূর করার জন্য উপরে কয়েকটি উপায় দেওয়া হয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে সেগুলো ফলো করেও ৭ দিনের মধ্যে ব্রণ দূর করতে পারেন। উপরে বর্ণিত উপায়গুলো ছাড়াও আরো কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণ করলে ভালো ফল পেতে পারেন সেগুলো হলো-
- নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখাঃ প্রতিদিন দুইবার মাইল্ড, অয়েল-ফ্রি-ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। এটি অতিরিক্ত তেল, ময়লা এবং মৃত ত্বক কোষ দূর করে যা লোমকূপ বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ সৃষ্টি করে।
- সানস্ক্রিন ব্যবহারঃ সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
- হাট দিয়ে মুখ স্পর্শ এড়িয়ে চলুনঃ ব্রণ খোঁচানো বা চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং ব্রণের সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
- মেকার সতর্কতার সহিত ব্যবহারঃ মেকআপ ব্যবহার করলে, নন-কমেডোজেনিক এবং ত্বক-বান্ধব প্রসাধনী ব্যবহার করুন এবং রাতে মেকআপ সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য নিয়মিত ও সঠিক ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, দিনে দু্ইবার মৃদু ও তেল নিয়ন্ত্রণকারী ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিস্কার করা উচিত, যা ত্বাকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে সহায়ক। স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনঞ্জায়েল পারক্সাইডযুক্ত ফেসওয়াশ ব্রণ কমাতে কার্যকর। ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে সপ্তাহে ২-৩ বার স্ক্রাব ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে খুব বেশি ঘষা থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে ত্বকের ক্ষতি না হয়।
টোনার ব্যবহার করা উচিত য ত্বাকের ছিদ্র বন্ধ করে এবং ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। নিয়মিত অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে কন্তিু তেলাক্ত না হয়। ব্রণের জন্য স্থানীয় ট্রিটমেন্ট হিসেবে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, বেনঞ্জয়েল পারক্সাইড বা টি ট্রি অয়েলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও, প্রচুর পানি পান করা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখা উচিত, বিশেষত চিনি ও তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা। মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চুল পরিস্কার রাখুন যাতে মুখে তেল ও ময়লা না জমে। রাতে ঘুমানোর আগে সবসময় মেকআপ পরিস্কার করে মুখ ধুতে হবে।
পর্যপ্ত ঘুম ও স্ট্রস নিয়ন্ত্রণে রাখা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এই রুটিন মেনে চললে তৈলাক্ত ব্রণ কমানো সম্ভব। তবে, যদি ব্রণ বেশি হয়ে থাকে এবং ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হয়, তবে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
ব্রণের দাগ দূর করার উপায় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। ব্রণ হওয়ার পরে মুখের কালো ছোপ ছোপ দাগ হয়। এ জাতীয় ব্রণ বা কালো দাগ হলে প্রথম থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ত্বকের ক্ষেত্রে অবহেলার ফল মারাত্মক হতে পারে। মুখের এসব কালো দাগ ও ব্রণ দূর করার জন্য নিম্নে কিছু টিপস দেওয়া হলো-
- ব্রণের দাগ ও ব্রনের উপর লবঙ্গ বাটা পানির সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে দিন।৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে দিনে একবার করে এক মাস পর্যন্ত লাগালে প্রাণের দাগ দূর হয়ে যাবে। লবঙ্গে ঝাঁঝ থাকে তাই লাগানোর প্রথম ৫-৭ মিনিট ত্বক জ্বলবে, কিন্তু এতে ঘাবড়ে যাবেন না। কিছুক্ষণ পর জানা ঠিক হয়ে যাবে।
- ২ চামচ বেসন, ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, ১ চা চামচ কমলার খোসা বাটা একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে মাখিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন এবং পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে ব্রনের দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
- আপেল এবং কমলার খোসা একসাথে বেটে এর সাথে ১ চামচ দুধ, ডিমের সাদা অংশ এবং কমলার রস মিশন। এবার মিশ্রণটিকে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে পানির সাহায্যে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন করলে দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
- পাকা পেঁপের শাঁস মুখে মেখে নিন। ১ চামচ পাকা পেঁপের শাঁস ও ১ চামচ শসার রস মুখে মেখে নিন এবং কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন করলে ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগ দূর হয়ে যাবে।
- একটি ডিম, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, একটি গোটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি মুখ, নখ, গলা, হাট ও ঘাড়ের কালো দাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
- ২ চামচ চিনা বাদাম বাটা, ২ চামচ দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কদিন ব্যবহার করলে ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার জন্য কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে। লেবুতে থাক সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করতে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহয়ক। প্রথমে একটি তাজা লেবু নিয়ে তা তেকে রস বের করে নিন। একটি পরিস্কার কটন বার বা কটন প্যাড লেবুর রসে ভিজিয়ে সরাসরি ব্রনের উপর লাগান।
১০-১৫ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা ভালো, যাতে লেবুর রস ত্বকে কাজ করার সময় পায়। তবে, লেবু সরাসরি ত্বকে লাগানোর আগে এটি পাতলা করে নিতে পারেন, বিশেষত যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়। লেবুর রস লাগানোর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরী, কারণ লেবুর রস ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।
এই পদ্ধতি নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের প্রজাহো কমে যাবে এবং ত্বকের দাগও হালকা হবে। তবে, যদি ত্বকে কোন প্রকার জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি অনুভূত হয়, তবে অবিলম্বে এটি ব্যবহার বন্ধ করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মেয়েদের ব্রণ দূর করার ওষুধের নাম
মেয়েদের ব্রণ দূর করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ পাওয়া যায়। এই ওষুধগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডার্মাটোলজিস্ট ত্বকের ধরণ এবং সমস্যার উপর ভিত্তি করে সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ করতে পারেন। কিছু সাধারন ও কার্যকর ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হলো -
- স্যালিসিলিক অ্যাসিডঃ ইহা সাধারণত ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং নতুন ব্রণ গঠনে বাধা দেয়। এই জাতীয় যেসব ওষুধ বাজার পাওয়া যায় তার মধ্যে Neutrogena Oil-Free Acne Wash, Clean & Clear Continuous Control Acne Cleanser ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- বেঞ্জয়েল পারক্সাইডঃ ইহা সাধারণত অ্যান্টি-অ্যাকনে উপাদান বা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখে। এই জাতীয় যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তার মধ্যে Benzac AC, Brevoxyl ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- কিন্ডামাইসিনঃ ইহা সাধারণত এক প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক যা গ্রহণের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। এই জাতীয় যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তার মধ্যে Clinac B Gel, Clindacin Gel ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- ট্রেটিনইনঃ ইহা সাধারণত ত্বকের কোষ পুনর্জীবিত করে এবং ব্রণ হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই জাতীয় যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তারমধ্যে Retin-A, A-Ret Gel ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- অ্যাডাপ্যলিনঃ ইহা সাধারণত ব্রণের জন্য ব্যবহৃত একটি রেটিনয়েড যা প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে থাকে।এই জাতীয় যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তারমধ্যে Differin Gel, Adapalene Gel ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- নিয়াসিনামাইডঃ ইহা সাধারণত ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এই জাতীয় যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তারমধ্যে Acnelyse Gel, Niacinamida Cream ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ক্রিম
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার জন্য কয়েকটি কার্যকর ক্রিম রয়েছে যা ত্বকের সমস্যা সমাধানের সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন পরিষ্কার ত্বকে ক্রিম প্রয়োগ করা উচিত এবং রাত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোধে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে ত্বকের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নিয়মিত ব্যবহার এবং একটি সুস্থ ত্বকের যত্ন রুটিন মেনে চলা জরুরি।
- স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও বেনজয়েল পারক্সাইডযুক্ত ক্রিমঃ এই ক্রিমগুলো গ্রাম কমাতে কার্যকর। স্যালিসিলিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ছিদ্র খোলা রাখে, আর বেনজয়েল পারক্সাইড ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
- রেটিনয়েড ক্রেমঃ রেটিনয়েড ক্রিম ব্রণ কমাতে এবং কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে এটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ত্বকের গঠন উন্নত করে।
- নায়াসিনামাইড ক্রিমঃ নায়াসিনামাইড ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের টোন সমান করে এবং কালো দাগ হালকা করতে সহায়ক। এটি ব্রণের দাগ ও হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে কার্যকর।
- ভিটামিন সি সিরামঃ ভিটামিন সি সিরাম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।
- হাইড্রোকুইনোন ক্রিমঃ হাইড্রোকুইনোন একটি শক্তিশালী উপাদান যা ত্বকের কালো দাগ ও মেলাজমা হালকা করতে ব্যবহৃত হয়। যদি ত্বকের মিলানিন উৎপাদন কমায়।
ব্রণের জন্য কোন ফেসওয়াশ ভালো
ব্রণের জন্য বাংলাদেশে কিছু কার্যকরী ফেসওয়াশ পাওয়া যায়, যা নিয়মিত ব্যবহারে তোকে গ্রহণ কমাতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। উল্লেখিত ফেসওয়াশ ছাড়াও আরো অনেক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ বাজার পাওয়া যায়। তবে ত্বকের ধরন এবং ব্রণের তীব্রতা অনুযায়ী সঠিক পণ্যটি নির্বাচন করা উচিত। নিম্নে কয়েকটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর ফেসওয়াশ এর নাম দেওয়া হলো -
- Neutrogena Oil-Free Acne Wash: এটি সাধারণত সালিসিলিক এসিড দ্বারা তৈরী যা, লোমকূপের ময়লা ও তেল দূর করে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।
- Clean & Clear Foaming Face Wash: এটি সাধারণত সালিসিলিক এসিড দ্বারা তৈরী যা, ত্বক পরিষ্কার করে এবং অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- Himalaya Purifying Neem Face Wash: এটি সাধারণত নিম এবং হলুদ দিয়ে তৈরি যা, প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে।
- Garnier Men Acno Fight 6 in 1 Anti-Acne Foam: এটি সাধারণত স্যালিসিলিক এসিড এবং হেরাবা রেপেয়ার দিয়ে তৈরী যা, ছেলেদের ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি, যা ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস এবং তেল নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক।
- The Body Shop Tea Tree Skin Clearing Facial Wash: এটি সাধারণত টি ট্রি অয়েল দিয়ে তৈরি যা, মুখে ব্রণ কমাতে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
- Nivea Men Oil Control Face Wash: এটি সাধারণত কার্নিটিন এবং সালিসিলিক এসিড দিয়ে তৈরি যা ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।
- AcneStar Face Wash: এটি সাধারণত সালিসিলিক এসিড এবং জিংক অক্সাইড নিয়ে গঠিত যা ব্রণ প্রতিরোধ এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।
অতি সহজেই চিরতরে মেয়েদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায় নিয়ে লেখকের মন্তব্য
সহজেই মুখে ব্রণ দূর করার জন্য একটি সম্মানিত ত্বকের যত্ন রুটিন অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে, মুখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে, এর জন্য দ্বীনের দুবার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে যাতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর হয়। স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনঞ্জয়েল পারক্সাইডযুক্ত ফেসওয়াশ ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য উপযোগী হতে পারে হতে পারে, কারণ এগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, তবে অতিরিক্ত স্ক্রাবিং থেকে বিরত থাকতে হবে যাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। প্রাকৃতিক উপাদান যেমন টি ট্রি অয়েল, অ্যালোভেরা জেল, মধু ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এগুলো প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ শুকাতে সহায়ক। ত্বককে হাইড্রেট রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। চিনি ও তেলযুক্ত খাবার এরিয়া চলা উচিত এবং দিনে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
স্ট্রেস কমানোর জন্য যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করা যেতে পারে। যদি ব্রণ গুরুতর হয় বা ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হয়, তবে ডার্মাটোলজিস্ট-এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক যত্ন ও চিকিৎসায় মুখের ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। ভবিষ্যতে আরো কোন পোস্ট অথবা ব্রণ নিয়ে অজানা তথ্য জানানোর পোস্ট নিয়ে হাজির হব।
সেপর্যন্ত সবাই সুস্থ্য থাকবেন, ভাল থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ.......
অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url