OrdinaryITPostAd

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম মাসে ২০ হাজারের উপরে

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকামের জন্য আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং আপনার হাতে যদি কাজ করার জন্য সময় থাকে তাহলে আমার এই পোষ্টটি আপনার জন্য। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মহিলারা ঘরে বসে বিশ হাজার থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় প্রতি মাসে।

ছবি-১

তাহলে আপনার এখন করণীয় একটাই আমার এই পোস্টটি খুব মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। এখানে আমি মেয়েদের ঘরে বসে সহজেই কয়েকটি সহজ উপায়ের সাহায্যে কিভাবে বিশ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় তা বলার চেষ্টা করব।

এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

মহিলারা ঘরে বসে অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারে। এই ইনকামটি পার্ট টাইম অথবা ফুল টাইম দুইভাবে করা সম্ভব। এটা নির্ভর করছে সংসারের কাজের শেষে আপনি কতটুকু অবসর পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে অনলাইন একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারো। তবে অফলাইনের এই ইনকাম করা সম্ভব।

সাধারণত মেয়েদের জন্য ঘরে বসে ইনকাম করার যতটা সহজ মনে করা হয় আসলে ব্যাপারটা ততটা সহজ নয়। এর জন্য মহিলাদের বিভিন্ন কাজ ম্যানেজ করে অবসর সময় বের করতে হয়। আপনি যদি অনলাইনে পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং কোন একটি প্ল্যাটফর্মে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ঘরে বসে ইনকামের সুযোগটি নিতে পারেন।

আপনার যদি ইন্টারনেটের উপর দক্ষতা থেকে থাকে কিন্তু কিভাবে কাজ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। তাহলে আমার এই পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আপনি হয়তো আপনার পছন্দের কোন একটি উপায় খুঁজে পেতে পারেন যেখান থেকে ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব।

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকামের সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমান এই ঊর্ধ্ব দ্রব্যমূল্য বাজারে টিকে থাকতে হলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও ইনকাম করার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আপনি যদি মহিলা হয়ে থাকেন তাহলে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ঘরে বসে ইনকামের যেমন অনেক সুবিধা রয়েছে তেমন কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এখন আসুন জেনে নেই ঘরে বসে ইনকাম করতে গেলে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় - 

মেয়েদের ঘরে বসে ইনকাম করার সুবিধা সমূহঃ

  • অবসর সময়কে সঠিকভাবে সদ্ব্যবহার করা যায় ফলে জীবনটা গতিশীল হয়।
  • সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে কাজ করা যায় তাই কাজ করে মনে শান্তি পাওয়া যায়।
  • চাকরির সময় প্রয়োজন মত পরিবর্তন করা যায় ফলে সময়ের কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না।
  • পরিবারকে সময় দেওয়ার পরও কাজ করে ইনকাম করা যায় যা পরিবারের মাসিক ব্যায়ে একটি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
  • প্রতিদিন ঘরে বসেই কাজ করতে হয়ে তাই অফিসে যাতায়াত করার প্রয়োজন হয় না।
  • কাজটি যদি অনলাইনে হয়ে থাকে তাহলে পেমেন্ট বা বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ভোগান্তির সৃষ্টি হয় না।
  • কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের স্বাধীনতা থাকে যা মহিলাদের জন্য খুব উপকারি।
  • কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবন এর সমন্বয় করে কাজ করা হয় ফলে মহিলারা খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার অসুবিধা সমূহঃ
  • কাজের শুরুতেই বিভিন্ন বিষয়গুলো বুঝতে সমস্যা হয় এবং সময়ও বেশি প্রয়োজন হয়।
  • কাজগুলো যেহেতু ঘরে বসে করা হয় সেহেতু অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিকনির্দেশনা পেতে সময় লাগে।
  • যেহেতু ঘরে বসে কাজ করা হয় সেহেতু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথায় কাজের প্রতি মনোসংযোগ ব্যহত হয় ফলে কাজটি শেষ হতে সময় বেশি লাগে।
  • ঘরে বসে কাজ করার জন্য অনেক সময় ক্লাইন্টদের নিকট হতে অবহেলিত হতে হয়।
  • ইচ্ছা থাকা সত্তেও অনেক সময় কাজের সম্পূর্ণ  টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয় না কারণ সরকার কিছু অংশ ভ্যাট ট্যাক্স হিসেবে কর্তন করে।

অনুবাদ করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

আপনি যদি বিভিন্ন ভাষায় (বাংলা ভাষার পাশাপাশি উর্দু, হিন্দি, ফার্সি স্প্যানিশ, জাপানি, করিয়ান, চায়না ইত্যাদি) পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে অনুবাদের কাজটিকে ঘরে বসে ইনকাম করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

আপনার এই ভাষার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভাষা অনুবাদের কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। শুরুতেই অনলাইন থেকে কাজ পেতে কিছুটা সময় লাগবে কিন্তু পরে যখন কাজ পেতে থাকবেন তখন ইনকাম মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

এই কাজটির মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা মেয়েদের জন্য খুব সহজ এবং গোপন একটি উপায়। তবে আপনাকে অনলাইন হতে কাজটি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে গিয়ে আপনার ভাষার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।

ক্লাইন্টরা যখন আপনার এই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দেখে আপনার মাধ্যমিক ভাষা অনুপাদ করতে চাইবে তখন আপনি তাদের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ ধার্য করে তাদের ভাষা অনুবাদের কাজটি করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।এখন আসুন জেনে নেই অনুবাদ করার জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • শুরুতেই তেমন কোনো মুলধনের  প্রয়োজন হয় না।
  • শুরুতেই প্রচুর পরিমাণে ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।
  • বিভিন্ন ভাষা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।
  • অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে একাউন্ট থাকতে হবে। যেখানে আপনি ক্লাইন্টকে আপনার ভাষা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
  • ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড অথবা মাস্টার কার্ড থাকতে হবে।

অনলাইন পাঠদান করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

আপনার যদি পাঠদান করা একটি পছন্দের প্লাটফর্ম হয়ে থাকে কিন্তু বাসা থেকে বের হতে সমস্যা হয়। তাহলে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে পাঠদান করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এই উপায়টি যেকোন মহিলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ এবং সবথেকে নিরাপদ। কারণ ইন্টারনেট ভিত্তিক পাঠদান হচ্ছে বর্তমান সময়ে সবথেকে জনপ্রিয় একটি উপায়।

করোনা পরবর্তী কালীন সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের পর থেকে লেখাপড়ার জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সেই নির্ভরশীলতা এবং আপনার পছন্দকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে মাসে ২০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন। 

এখানে উল্লেখ্য যে, যাতায়াতের সময়, খরচ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবকগন এবং শিক্ষকগন উভয়ই অনলাইনে পাঠদানের ‍উপর প্রচুর আগ্রহ প্রকাশ করে।এই আগ্রহকে একজন মহিলা হিসেবে আপনিও কাজে লাগাতে পারেন ইনকামের ক্ষেত্রে। এখন আসুন জেনে নেই অনলাইন পাঠদান করার জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • প্রথমে আপনাকে কোন একটি বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ হতে হবে।
  • ক্লাস নেওয়ার যেসব মাধ্যম (জুম, গুগল মিট, ইত্যাদি) রয়েছে সেসব মাধ্যমটি প্রিমিয়াম/রেজিষ্টার ভার্সন হতে হবে।
  • কিছুকিছু বিষয়ভিত্তিক টপিক্স-এর উপর ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরী করতে হবে।
  • কম্পিউটার/ল্যাপটপের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালানোর ক্ষেত্রে পারদর্শী হতে হবে।
  • একটি ভালো মানের মাইক্রোফোন ও হেডফোন থাকতে হবে।
  • ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে তার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
  • ছাত্র পরিচিতি থাকতে হবে, প্রয়োজন হলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাড পরিচালনা করতে হবে।

বেকারি ব্যবসা করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

করোনা পরবর্তী সময়ে অনেকেই বেকারির খাবার ক্রয় করার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে বিগত চার বছরে বাসাভিত্তিক বেকারির সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেড়েই চলেছে। এখন মানুষ জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী ইত্যাদি অনুষ্ঠানের জন্য বাসায় তৈরী প্যাটিস, ডেসার্ট, কেক, টার্টস, কুকিজ, চকোলেট ইত্যাদি অর্ডার করতে পছন্দ করছে।

এই পছন্দ চাহিদার কথা বিবেচনা করে আপনিও কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ট্রেনিং সম্পন্ন করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথম অবস্থাতে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। 

দক্ষতা অর্জন শেষে আপনি নিজের একটি বাসাভিত্তিক প্যাস্ট্রি স্টোর/কেকের দোকান খুলতে পারেন। এখন আসুন জেনে নেই বেকারি ব্যবসার জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • প্রথমে আপনার পছন্দের বেকারি পন্যের উপর ট্রেনিং নিতে হবে।
  • বেকারি ব্যবসার নির্দিষ্ট পন্য তৈরীর জন্য যে যে কাচাঁমাল প্রয়োজন তা বাজার হতে ক্রয় করতে হবে।
  • গ্রাহকদের কাছে পন্য পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত ডেলিভারি ম্যান এর নিয়োগ দিতে হবে।
  • পণ্যের গুণগত মান এবং ডেলিভারি দেওয়ার সময়ের উপর বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
  • ব্যবসার আকার যদি খুব বেশি হয় তখন প্রয়োজন অনুযায়ী পন্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে “ফুডপান্ডার” মত বিভিন্ন সেবামূলক অ্যাপে নিজের কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে হবে।
  • নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে যেখানে বেকারি পন্যের অ্যাড এবং গ্রাহকদের ফিডব্যকের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

টিফিন সার্ভিস প্রদান করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

আপনি যদি রান্নাবান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে টিফিন সার্ভিস প্রদান করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। প্রত্যেক মহিলাই সাধারণত এই গুণের অধিকারী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ক্লায়েন্টের জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ রাখতে পারেন।

বাংলাদেশে আজকাল অনেক চাকুরিজীবী আছে যারা বাসায় নিয়মিত খাবার রান্না করার সময় পায় না। তাই তারা বাধ্য হয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে থাকে। এসব চাকুরিজীবীদেরকে টিফিন সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের চাহিদা পূরণ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

তবে আপনি যেহেতু মহিলা তাই এই কাজের জন্য সর্বনিম্ন তিনজন লোক নিয়োগ দিতে হবে। ক্লাইন্টদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একজন, কাঁচাবাজার হতে তড়িতরকারি কেনার জন্য একজন এবং বিভিন্ন ক্লায়েন্ট-এর খাবার মেনু অনুযায়ী খাবার সমন্বয় করার জন্য একজন প্রয়োজন হবে। এখন আসুন জেনে নেই টিফিন সার্ভিস প্রদানে কি কি প্রয়োজনঃ

  • শুরুতেই কিছুটা মূলধনের প্রয়োজন হয়। তবে আপনি যদি প্রি-পেইড বুকিং সিস্টেমে কিছু অফার দিয়ে থাকেন তাহলে এই মূলধন নাও লাগতে পারে।
  • এই কাজের জন্য সর্বনিম্ন তিনজন লোক নিয়োগ দিতে হবে।
  • ব্যবসার প্রসার বাড়াতে আপনি অনলাইনের সাহায্য নিতে পারেন।
  • প্যাকেজের অফারগুলো কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, যেন কাস্টমাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার মেনু নির্বাচন করতে পারে।

বিউটি পার্লার দিয়ে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

বর্তমান সময়ের মেয়েরা তাদের সৌন্দর্যতা সম্পর্কে খুবই সচেতন। তাই তারা তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন বিউটি পার্লারে যেয়ে থাকে। আপনি যদি শহরে বসবাস করেন তাহলে খুব সহজেই আপনিও এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

আজকাল গ্রামের মেয়েরাও তাদের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন। তাই আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন তাহলে গ্রামের বাজারে এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শহরের থেকে গ্রামে কিছুটা কম ইনকাম হতে পারে।

ছবি-২

দৈনন্দিন, মাসিক অথবা বিশেষ প্রয়োজনে মেয়েরা পার্লারে যেয়ে তাদের সৈন্দর্য বৃদ্ধি করে। সেজন্যই বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অলিতে গলিতে মেয়েরা পার্লার খুলে ইনকাম করে। মেয়েদের জন্য এই পদ্ধতিটি খুব ভলো ও নিরাপদ। এখন আসুন জেনে নেই বিউটি পার্লার তৈরী করতে কি কি প্রয়োজনঃ

  • প্রথমে আপনার বিউটি পার্লারে কাজ করার বাস্তব ট্রেনিং থাকতে হবে।
  • বিউটি পার্লারের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ব্রয় করতে হবে।
  • শীততপ নিয়ন্ত্রিত একটি রুমের থাকতে
  • যদি কাস্টমারের চাপ বেশি থাকে তাহলে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ দিতে হবে।
  • রুমে প্রয়োজনে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • রুমে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • শহরের লোকালয়ের রুমের অবস্থান হলে ভালো।
  • কাস্টমার বৃদ্ধি করার স্বার্থে প্রয়োজনে অনলাইনে অ্যাড পরিচালনা করতে হবে।

রান্নাবান্নার ভিডিও বানিয়ে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

বর্তমানে অনেক মেয়েদের নতুন নতুন রান্না শেখার প্রতি দুর্বলতা ও আগ্রহ থাকে। এছাড়া এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে কিন্তু রান্না করতে পারে না। তাই তাদের জন্য রান্না শেখাটা অনেক জরুরি হয়ে পড়ে। সেজন্য তারা অনলাইনের মাধ্যমে রান্নাবান্নার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।

এছাড়াও যারা রান্না জানে তারা চেষ্টা করে তাদের অবসর সময়টাতে কাজে লাগিয়ে অনলাইন হতে ভিডিও দেখে আরো ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন মজাদার খাবার রান্না করতে। যা তার বাচ্চারা ও জামাই খুব তৃপ্তির সহিত খায় এবং সবাই একসাথে আনন্দ উপভোগ করে। 

তাই আপনি যদি একজন ভালো রাধুনী হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করার নিয়ম বা পদ্ধতিগুলো ভিডিও করে ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে প্রচার করেও ঘরে বসে ২০ হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।

রান্না করাটা যেহেতু মেয়েদের একটি নিত্যদিনের সঙ্গী সেহেতু আমার মতে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘরে বসে ইনকাম করার সবথেকে সহজ ও সেরা উপায় হল এইটি। এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন রান্না করে পরিবারের মানুষদের খাওয়ানো হয় অপরদিকে টাকাও ইনকাম করা যায়। এখন আসুন জেনে নেই রান্নাবান্নার ভিডিও তৈরী করতে কি কি প্রয়োজনঃ

  • রান্নাবান্না সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • একটি ভালো মানের ভিডিও ক্যামেরা অথবা মোবাইল ফোন করতে হবে।
  • রান্নাবান্নার জন্য ভালভাবে চিন্তাভাবনা করে রেসিপি তৈরি করতে হবে।
  • নিদৃষ্ট রেসিপি অনুযায়ী বাজার করতে হবে।
  • অনলাইনে বিশেষ করে ইউটিউবে এবং ফেসবুকে একাউন্ট থাকতে হবে।
  • যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে সেই ওয়েবসাইটে নিজের রান্নাবান্নার স্যাম্পল প্রদর্শন করতে হবে।

কাপড় সেলাই করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

কাপড় সেলাই করা মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় ও সহজ উপায়। বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেলাইয়ের কাজ করার চাহিদা বেড়েই চলেছে। যা মহিলাদের অত্ত্বনির্ভশীল করে তুলতে সাহয্য করে।

আপনি যদি একজন সেলাই কাজে আগ্রহী মহিলা হয়ে থাকেন এবং সেলাই কাজ সম্পর্কে আপনার ভাল জ্ঞান থাকে তাহলে আপনিও ঘরে বসে কাপড় সেলাই করে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এই কাজটির মাধ্যমে আপনারা পরিবারের সকলের কাপড় সেলাইয়ের কাজ করতে পারবেন সাথে সাথে ক্লাইন্টদের কাপড়ের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ইচ্ছা করলে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনার সেলাইয়ের কাজ প্রদর্শন করে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার যদি কাপড় সেলাইয়ের প্রচুর আগ্রহ থাকে কিন্তু সেলাই পারেন না। তাহলে আপনি ইচ্ছা করলেই যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা অধিদপ্তর ইত্যাদি থেকে সেলাইয়ের কাজ শিখতে পারেন। প্রশিক্ষণ শেষে তারা সেলাইয়ের কাজের জন্য বিভিন্ন সহায়তা করে থাকে।এখন আসুন জেনে নেই কাপড় সেলাই করার জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • কাপড় সেলাই না জানলে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে হবে।
  • একটি ভালো মানের সেলাই মেশিন ক্রয় করতে হবে। ইলেকট্রিক এবং ম্যানুয়াল দুই ধরনের সেলাই মেশিনই প্রয়োজন।
  • বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সেলাইয়ের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সেলাই মেশিন আছে সেগুলো ক্রয় করতে হবে।
  • অনলাইনে কাপড় বিক্রয় করতে হলে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে একাউন্ট থাকতে হবে।
  • যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটে নিজের সেলাইয়ের কাজের ডিজাইনগুলো প্রদর্শন করতে হবে।

গৃহপালিত পশুপালন করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

আপনি যদি গ্রামে বসবাস করেন এবং আপনার যদি গৃহপালিত পশু পালন করার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনিও বাড়িতে পশু পালন করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি শহরে বসবাস করেন তাহলে আপনার পক্ষে গৃহপালিত পশু পালন করে ইনকাম করা কিছুটা কঠিন হয়ে পরবে।

বর্তমান এবং অতীতেও অনেক মহিলা আছে যারা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু পালন করে। যার মাধ্যমে তারা নিজেরা যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমন সেই গৃহপালিত পশু ও পশুর বিভিন্ন উপকরণ বিক্রয় করে সংসার পরিচালনায় সহায়াতা করতে পারছে।

গৃহপালিত পশু হিসাবে হাঁস, মুরগি, ছাগল, ভেড়া, গরু, কোয়েল ইত্যাদির জন্য বসবাস করার বাড়ীর পাশেই ছোট খামার করে এদের পালন করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে ঘরে কাজ করে ২০ হাজারের বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

এসব পশু হতে প্রাপ্ত ডিম, দুধ ও মাংস দিয়ে যেমন নিজের পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে পারেন তেমন এগুলো বিক্রয় করেও ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনার যদি কোন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় তাহলে  দেশে অনেক এনজিও, ‍যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ইত্যাদি আছে যারা আপনাকে দক্ষ করে তুলবে। এখন আসুন জেনে নেই গৃহপালিত পশু পালনের জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • প্রশিক্ষণ না থাকলে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে।
  • পশু পালনের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে।
  • হাঁস জাতীয় প্রাণীর জন্য পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • গৃহপালিত পশুর বিভিন্ন রোগের জন্য প্রয়োজনের পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • বিভিন্ন রোগবালায়ের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে অনলাইন হতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে পরে অবশ্যই স্থানীয় পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • বর্তমানে বিভিন্ন রোগবালায়ের ক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন টিপস পাওয়া যায় সেগুলো যাচাই বাছাই করে ব্যবহার করতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে যাতে তাদের কাছ থেকে চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হয়।
  • পশুর বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে অনলাইনে সাহায্য নিতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একমাত্র মাধ্যম যার সাহায্যে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়।

তবে কাজটি করার জন্য আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে এবং ডিজাইন কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। এর জন্য আপনার অবশ্যই একটি খুব ভালো মানের কম্পিউটার এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ হয়ে থাকে এর মধ্যে লোগো ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ও স্টোরি ডিজাইন, ভিজিটিং কার্ড, আইডি কার্ড, ভর্তি ফরম, বিবাহ কার্ড,  ক্রেস্ট ডিজাইন, রাজনৈতিক ও বিভিন্ন দিবসের ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

আপনার যদি গ্রাফিক ডিজাইন এর উপর আগ্রহ থাকে কিন্তু ডিজাইন সম্পর্কে কিছুই জানেন না।তাহলে আপনি কোন একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ট্রেনিং সম্পন্ন করে দক্ষতা অজর্ন করতে পারেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করতে হবে। 

 ক্লায়েন্টরা যখন আপনার কাজের প্রোফাইল দেখবে তখন তারা তাদের কাজের বিনিময়ে আপনাকে কিছু চার্জ প্রদান করবে। যার ফলে আপনি ঘরে বসেই প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।এখন আসুন জেনে নেই গৃহপালিত পশু পালনের জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • প্রশিক্ষণ ও প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজের গ্রাফিক্স ডিজাইনের দক্ষতাকে বাড়াতে হবে।
  • ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে।
  • দ্রুতগতির একটি ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় (ইউটিউব, ফেসবুক, ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে) নিজের অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন সফটওয়্যার যেমন ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, কোরালড্র ইত্যাদির ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে।

ফিটনেস সেন্টরের মাধ্যমে মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

আমরা জানি সুস্থতায় সকল সুখের মূল। এই মন্ত্রকে কাজে লাগিয়েই ছেলেদের মত মেয়েরাও তাদের নিজেদের শারীরিক ফিটনেস নিয়ে খুবই চিন্তিত। তাই তারা দৈনিক একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যায় করে শরীরকে ফিট রাখার জন্য। 

মহিলাদের শরীর নিয়ে চিন্তাকে মুক্ত করতে আপনি সেন্টারের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনি কে প্রথমে এ বিষয়ে উপর অভিজ্ঞ হতে হবে এবং বিভিন্ন গ্রাম সম্পর্কে যথেষ্ট নলেজ থাকতে হবে।

বর্তমান সময়ে শরীর শিক্ষা রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়ে থাকে সে যন্ত্রপাতি সম্পর্কে আপনার ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হয়। এজন্য দরকার হলে আপনাকে এই বিষয়ের উপর ভালো ট্রেনারের আন্ডারে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এখন আসুন জেনে নেই ফিটনেস সেন্টারের জন্য কি কি প্রয়োজনঃ

  • মুক্ত আলো বাতাস যুক্ত একটি রুম থাকতে হবে।
  • ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি থাকতে হবে।
  • পর্যন্ত পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • আধুনিক যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয় সেগুলো থাকতে হবে।
  • নিজস্ব যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সে ওয়েবসাইটে ফিটনেস সেন্টারের এড পরিচালনা করতে হবে।

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম নিয়ে লেখকের মতামত

বর্তমান বিশ্বে বেকারত্ব সমস্যা একটি বড় সমস্যার নাম। বাংলাদেশে এই সমস্যা আরো প্রকট। একটি সংসারে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও যদি ঘরে বসে ইনকাম না করে তাহলে সংসারকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে। সেক্ষেত্রে ছেলেদেরকে অসৎ উপায় অবলম্বন করতে হয়।

যেহেতু সরকারি/বেসরকারি চাকুরির তুলনায় প্রার্থী অনেক বেশি সেহেতু চাকুরির পিছনে দৌড়াদৌড়ি না করে যদি নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারা যায় তাহলে নিজের ও দেশের অনেক উপকার হয়। এক্ষেত্রে মহিলারাও যদি ঘরে বসে ইনকাম করে সংসারের খরচকে ভাগাভাগি করে নেয় তাহলে খুব সহজেই সংসার পরিচালনা করা সম্ভব।

ছবি-৩

আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছি মহিলারা কিভাবে সহজে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবে। এই পোষ্টে অনেকগুলো উপায়ের কথা বলা হয়েছে। এরমধ্যে আপনার কাছে যে উপায়টা সবথেকে সহজ মনেহয় সেটাকে বেছে নিয়ে নিজের সংসারে কাজে লাগাতে পারেন। আমি সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি যে আপনারা যদি একটু ধৈর্যের সহিত এবং একটু পরিশ্রম করেন তাহলে ২০ হাজার টাকা নয় তার থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।


ধন্যবাদ সবাইকে। সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন...

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url