চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-কিডনির জন্য কতটা ভাল
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আপনি কি কিডনি সমস্যা ভুগছেন। তাহলে আমি হাজির হয়েছি আপনাদের সকল কিছু জানাতে ও সমস্যা সমাধান করতে। আপনাদের শুধুমাত্র এই পোস্টটি প্রথম হাতে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে পড়তে হবে।
বর্তমান বিশ্বে চিয়া সিড সকলের কাছে সুপার ফুড নামে পরিচিত। আপনারা অনেকেই এখন
খাবারের পুষ্টিগুণ ব্যাপারে খুবই সচেতন। তাই আপনারা আপনাদের খাদ্যতলিকায় চিয়া
সিডকে অন্তভূক্ত করতে পারেন।
এই পোস্টে যা যা থাকছেঃ চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- চিয়া সিড কি এবং চিয়া সিডের বাংলা নাম
- কিডনির জন্য চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়
- কিডনির জন্য চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ
- চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড খাওযার উপকারিতা
- ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- চিয়া সিড খাওয়ার সময় কখন উপযুক্ত
- কিডনির জন্য চিয়া সিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
- কিডনির জন্য চিয়া সিডের লেখকের মাতামত
চিয়া সিড কি এবং চিয়া সিডের বাংলা নাম
কিডনির জন্য চিয়া সিড মূলত মরুভূমিতে জন্মানো ”সালবিয়া” নামক এক ধরনের
উদ্ভিদের বীজ। যা আমেরিকা ও মেক্সিকোর অনেক অঞ্চলেই পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল হতেই
এই চিয়া সিড মানুষের খাবার তালিকা ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাচীন ”আজটেক” জাতির খাবারের প্রধান তালিকাতে
চিয়া সিড থাকতো। তাদের কাছে এটি সোনার চেয়েও অনেক মূল্যবান ছিল। তারা মনে করতেন
এই খাবার তাদের শক্তি ও সাহসের প্রধান উৎস। তাই চিয়া সিডকে অনেক সময় ”সুপার ফুড” বলা হয়ে থাকে।
এই বীজ সব ধরনের আবহাওয়াতেই হয় বলে এতে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। এই বীজটি
সাধাণত অতি ক্ষুদ্র আকারের কালো রঙের হয়ে থাকে তবে তার ভেতরে কয়েকটি সাদা বীজও
থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা শরীরের আনেক উপকার করে।
সাধারণত চিয়া সিড বাংলায় চিয়া বীজ নামে পরিচিত। অনেকেই চিয়া বীজকে তোকমা দানা
ভেবে ভূল করে। আসলে চিয়া বীজ ও তোকমা দানা দুইটা আলাদা বীজ। আপনারা যদি দুটিকে
পাশাপাশি রাখেন তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
কিডনির জন্য চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়
কিডনির জন্য চিয়া সিড আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না। ইহা মূলত আমেরিকা ও মেক্সিকো
হতে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। আমদানি করা হলেও তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে ইহা কম
দামেই পাওয়া যায়। আপনারা চাইলে আপনাদের আশেপাশের দোকান থেকে ক্রয় করতে পারেন।
আপনারা যদি লোকাল হতে অনলাইন শপিং-এর মাধ্যমে চিয়া সিড ক্রয় করেন তাহলে অনেক
সময় সেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। তাই আপনারা চিয়া সিড কেনার সময়
অবশ্যই লোকাল মার্কেট এবং অনলাইন শপিং মার্কেটের দাম যাচাই করে তারপর ক্রয়
করবেন।
অনলাইনে আন্তর্জাতিক কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপানারা চিয়া সিড ক্রয় করতে পারেন তবে
সেক্ষেত্রে আপনাদের ভিসা কার্ড থাকতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক অনলাইন
শপিং ওয়েবসাইট আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আপনাদের জন্য দেওয়া হল -
- ডারাজ
- আজকেরডিল
- চালডাল
- রকমারি
- স্বপ্ন
- ক্লিকবিডি
- প্রিয়সপ
কিডনির জন্য চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ
কিডনির জন্য চিয়া সিড বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। নিম্নে সর্বমোট ১০০
গ্রামের চিয়া সিডের প্রধান পুষ্টি উপাদান গুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো যা
আপনাদের দৈনন্দিন চাহিদার কত অংশ পূরণ করে তাও উল্লেখ করা হলো-
- ভিটামিন -
- ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন) ০.৬৬ মিলিগ্রাম (৫৫%)
- ভিটামিন বি-৩ (নিয়াসিন) ৮.৮৩ মিলিগ্রাম (৫৫%)
- খনিজ -
- ক্যালসিয়াম ৬৩১ মিলিগ্রাম (৬৩%)
- ম্যাঙ্গানিজ ২.৭২ মিলিগ্রাম (১১৮%)
- ম্যাগনেসিয়াম ৩৩৫ মিলিগ্রাম (৮৪%)
- ফসফরাস ৮৬০ মিলিগ্রাম (১২৩%)
- জিঙ্ক ৪.৫৮ মিলিগ্রাম (৪২%)
- আয়রন ৭.৭২ মিলিগ্রাম (৪৩%)
- পটাসিয়াম ৪০৭ মিলিগ্রাম (১২%)।
- অন্যান্য পুষ্টি উপাদান -
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ১৭.৮৩ গ্রাম
- ফাইবার ৩৪.৪ গ্রাম
- প্রোটিন ১৬.৫৪ গ্রাম।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড কিডনি রোগীদের জন্য কিছুটা উপকারিতা বয়ে আনতে পারে। তবে কিডনি
রোগীদের চিয়া সিড খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং সঠিক
নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। এখন আসুন জেনে নেই কিডনি রোগীদের চিয়া সিড খাবার
সাধারণ নিয়ম-
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিয়া সিড খাওয়া উচিত
- প্রতিদিন এক টেবিল চামচের বেশি চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়
- চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া উচিত
- চিয়া সিড গুঁড়া করে খাওয়া উত্তম
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
কিডনির জন্য চিয়া সিড পরিমাণ মতো খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী
হয়ে থাকে। তবে অনেকে কেবলমাত্র ওজন কমানোর জন্যই খেয়ে থাকেন। শরীরকে
সুস্থ রাখার জন্য চিয়া সিড খুবই প্রোয়োজন। আসুন আমরা জেনে নেই চিয়া সিড আরও কি
কি উপকার করে-
- ওজন নিয়ন্ত্রণ - ওজন নিয়ন্ত্রণে চিয়া সিড সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ওজন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সাহায্য করে।
- হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে - চিয়া সিডের অভ্যন্তরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ট্রােইগ্লিসারাইড ও রক্তের কোলেস্টরেলের মাত্রা দারুনভাবে নিয়ন্ত্রণে করতে পারে। ফলে হৃদপিন্ডের কার্যকারিতা বাড়ে এবং হৃদপিণ্ড সুষ্ঠ এবং সবল থাকে।
- ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ - বর্তমান সময়ে ডায়া ডায়াবেটিক একটি কমন রোগ। চিয়া সিড রক্তের ভেতরে ইনসুলিনের সম্প্রসারণ বাড়িয়ে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে মূল ভুমিকা পালন করে থাকে।
-
হাড় গঠন করতে - দেহের হাড়গুলো সুস্থ ও মজবুত রাখার জন্য
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারের বিকল্প নেই। চিয়া সিড আপনার জন্য হতে পারে
ক্যালসিয়ামের চাহিদা পুরনের হাতিয়ার।
-
রক্ত স্বল্পতা দূরীকরণ - আপনি যদি রক্ত স্বল্পতা জনিত সমস্যায়
থাকেন তাহলে আপনার জন্য চিয়া সিড একটি উত্তম খাবার। কারণ চিয়া সিডের
ভেতরে রয়েছে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধের মূল উপাদান আয়রন।
-
চুলের যত্নে - চুলের রুক্ষতা ও সূষ্কতা কাটিয়ে চুল পড়া রোধে ও
চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য চিয়া সিডে থাকা প্রোটিনগুলো অত্যন্ত
কার্যকারী ভুমিকা পালন করে থাকে।
-
কিডনির রোগ প্রতিরোধ - কিডনির কর্মদক্ষতা ও কিডনির স্বাস্থ্য
বজায় রাখার জন্য চিয়া সিডে থাকা উপাদানগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে
থাকে।
-
ত্বক ও পেশির যত্নে - ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করতে এবং পেশিকে আরো
শক্ত করতে চিয়া সিডে থাকা প্রোটিনগুলো প্রচুর কাজ করে। শরীরের আদ্রতা বজায়
রেখে ত্বকের বলিরেখাকে দূর করে ও ত্বককে প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করার জন্য
বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে।
-
বাচ্চাদের বিকাশে - বাচ্চাদের জন্য চিয়া সিডের উপকারিতা প্রচুর।
চিয়া সিডে থাকা বিভিন্ন ভিটামিনগুলো বাচ্চাদের মস্তিস্কের বৃদ্ধি ও বিকাশে
দারুন অবদান রাখে।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
কিডনির জন্য চিয়া সিড খেলে ওজন অবশ্যই কমে। তবে এর জন্য চিয়া সিড খাওয়ার কিছু
পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। সকালে খালি পেটে ও রাতে ঘুমানোর আগে নিয়ম অনুসারে এক
গ্লাস পানির সাথে দুই চা চামচ চিয়া সিড এবং দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে
ওজন কমাতে পারবেন।
সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে চিয়া সিড ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ভালো ফলাফল পাওয়া
যায়। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় ক্ষুধা নিবারণ হয়। এর কোন নিজস্ব
স্বাদ নেই তাই আপনারা চিয়া সিড যেকোনো শরবত, টক দই, কাস্টার্ড বা অন্যান্য
খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ১০০ গ্রাম গ্যাসে খাওয়া উচিত। প্রতিদিন ব্যায়ামের
পাশাপাশি খাবারের মেনুতে চিয়া সিডকে রাখার জন্য পুষ্টিবিদরা সব সময় পরামর্শ
দিয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই চিয়া সিড ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকায়
ফলে আমাদের হজম ক্ষমতার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
তাই হজম ক্ষমতা বাড়ানোর ফলে শরীরের মেদ কমিয়ে ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে।
এছাড়াও আপনারা যদি লেবু মিশ্রিত পানিতে চিয়া সিড ভিজিয়ে নিয়মিতভাবে সঠিক
নিয়মে মিশ্রণটি পান করি তাহলে দ্বিগুন হারে আপনাদের শরীরের চর্বি ক্ষয়
হয়ে আপনাদের ওজন কমে যাবে।
চিয়া সিড খাওয়ার সময় কখন উপযুক্ত
চিয়া সিড যে কোন সময় খাওয়া যেতে পারে। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই পানি বা অন্য তরলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। যেন ইহা একটু ফুলে উঠে এবং হজমে সমস্যা না করে। তারপরও চিয়া সিড খাওয়ার কয়েকটি সময় এবং উপায় আছে যা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি করে উপভোগ করতে সাহায্য করে।
- সকালেঃ চিয়া সিড সকালের নাস্তায় যুক্ত করা যেতে পারে। ইহা শরীরকে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিতে সহায়তা করে।
- খালি পেটেঃ খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়া গেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
- ওয়ার্কআউটের আগে এবং পরেঃ ওয়ার্কআউটের আগে চিয়া সিড খেলে এটি শক্তি বাড়ায় এবং পরে খেলে এটি পেশি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
- স্মুদি এবং দইয়েঃ চিয়া সিড স্মুদি বা দইয়ে মিশিয়ে খাওয়া যায়, যা সহজেই হজম হয় এবং পুষ্টি যোগায়।
- সালাদে এবং স্যুপেঃ চিয়া সিড সালাদ বা স্যুপের উপরে ছিটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- পানি বা জুসে ভিজিয়েঃ চিয়া সিড পনিতে বা জুসে ভিজিয়ে খাওয়া ভালো কারণ এতে ইহা সহজে হজম হয় এবং পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে।
কিডনির জন্য চিয়া সিডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিডনির জন্য চিয়া সিড পরিমিত আকারে ব্যবহার করলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার
সম্ভাবনা নেই। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না, তাই চিয়া সিড অতিরিক্ত খেলে
শরীরের বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-
- চুলকানি
- এলার্জি
- ত্বকের সমস্যা
- পেটের সমস্যা
- রক্ত পাতলা হয়ে যায়
- চিয়া সিডে ফাইবার থাকার কারণে তরল পদার্থের সাথে মিশিয়ে না খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় ইহা বেশি গ্রহণ করলে শরীরের ক্যলরি বৃদ্ধি পায় এবং ওজন বহুগুনে বেড়ে যায়
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা কিছু রয়েছে। কিডনির জন্য চিয়া সিড উপকারি তাবে তার ব্যবহার শরীরে হতে হবে পরিমিত আকারে। তাই
বিশেষ করে কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিয়া সিড উচিত হবে কিনা এবং খেলে কতটুকু
পরিমাণে খেলে নিরাপদ হবে তা নির্ভর করবে রোগের পর্যায়ের ওপর। আসুন এখন জেনে নেই
কিডনি রোগীদের জন্য চিয়া সিডের ক্ষতিকর কয়েকটি দিক-
- ফসফরাস - চিয়া সিডে ফসফরাসের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু কিডনি রোগীদের রক্তে ফসফরাসের পরিমাণ সীমিত রাখা জরুরি। তাই শরীরের ফসফরাসের মাত্রা বেড়ে গেলে হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে, হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম হতে পারে এবং রক্তনালীতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে।
- পটাশিয়াম - চিয়া সিডে পটাশয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। কিডনি রোগীর শরীর হতে পটাশিয়াম সঠিকভাবে বেরিয়ে যেতে না পারলে রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদপিন্ডের সমস্যা, মাংসপেশীর দুর্বলতা এবং প্যারালাইসিস হতে পারে।
- অন্যান্য ক্ষতি - চিয়া সিডে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই কিডনি রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ফাইবার হজমের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। চিয়া সিড রক্ত জমাট বাঁধার ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে।
কিডনির জন্য চিয়া সিডের লেখকের মাতামত
কিডনি রোগ মানুষের শরীরে একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। তাই এই রোগ সম্পর্কে
আপনাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। শুধুমাত্র মনের মধ্যে ভুল ধারণা নিয়ে না রেখে
কোন কান খাবার খেলে কিডনি ভাল থাকবে এবং কোন কোন খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর
সেগুলো আপনাদের খুব ভালোভাবে জানতে হবে।
কিডনির জন্য চিয়া সিডের অতিরিক্ত গ্রহণ সমস্যার কারণে আপনাদের মধ্যে যাদের
কিডনির সমস্যা আছে তারা বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু খেতে পারেন। এর মধ্যে আখরোট, বাদাম, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখী বীজ, তিল ইত্যাদী উল্লেখযোগ্য। এই বিকল্পগুলোতে খাবারগুলোতে
ফসফরাস এবং পটাশিয়াম এর পরিমাণ কম থাকে।
সর্বশেষ আপনাদের প্রতি আমার একটিই পরামর্শ কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে, ”আপনারা চিয়া সিড গ্রহণের পূর্বে আবশ্য অবশ্যই ভালো ডাক্টারের পরামর্শ নিয়ে
গ্রহণ করবেন”
অজানা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url